বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জ, ছাতক ও জগন্নাথপুরসহ তিনটি পৌরসভায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম ছিল। তবে দুপুর থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে নারী ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। বেলা একটার মধ্যে প্রতিটি কেন্দ্রেই প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি ভোট কাস্ট হয়েছে। তিন পৌরসভার ৫৪টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ঝূকিপূর্ণ চিহ্নিত ৪৪টি ভোট কেন্দ্রে ৫ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনটির মধ্যে কেবল জগন্নাথপুর পৌরসভায়ই প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হচ্ছে। নির্বাচনে ১০জন মেয়র, ১২০ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৬ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই একজন সাব ইন্সপেক্টরসহ ৭ জন পুলিশ, ব্যাটালিয়ান আনসার, সাধারণ আনসারসহ মোট ১৯ জনের দায়িত্ব পালন করছে। তিনটি পৌরসভায়ই র্যাব ও বিজিবির টহল রয়েছে। ভোট কেন্দ্রের বাইরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশের মোবাইল টিম। তিনটি পৌরসভায় ৩ প্লাটুন বিজিবিসহ মোবাইল টিম ও রিজার্ভে টিম রয়েছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেছন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কাজ করছে বিজিবি।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভায় ২৩ কেন্দ্রের মধ্যে ১৯ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ চিহিৃত করা হয়েছে। জগন্নাথপুর পৌরসভায় ১২ কেন্দ্রের মধ্যে ৭ টি ঝুঁকিপূর্ণ চিহিৃত করা হয়েছে। ছাতক পৌরসভার ১৯ কেন্দ্রের মধ্যে ৯ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, ৯ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ চিহিৃত করা হয়েছে। ৩ পৌর এলাকায় ৩ জন প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে আইনি দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ প্রদান করেছে নির্বাচন কমিশন।
সুনামগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেণ ৪৭ হাজার ১৫ জন ভোটার। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ২৩ হাজার ২৩৮ এবং মহিলা ভোটার ২৩ হাজার ৭৭৭ জন। ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে ১৯টি কেন্দ্রে ৩০ হাজার ২৮০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। ছাতক পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম চৌধুরী ও বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী রাশিদা আহমদ ন্যান্সি প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। অপরদিকে প্রথমবারের মতো ইভিএম পদ্ধতিতে জগন্নাথপুরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখানে মোট ভোটার ২৮ হাজার, ৬শ’ ৪২ জন। ৫ জন মেয়র প্রার্থী এখানে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, তিনটি পৌরসভায় পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।