1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৪ পূর্বাহ্ন

সিল্কসিটিতে ঘুরাঘুরি

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১৬, ৩.০৫ পিএম
  • ৬৯৮ বার পড়া হয়েছে

Rajsahi
।। সাথী চৌধুরী ।। মানুষ দেশ বিদেশ ঘুরার কত পরিকল্পনা করে, ঘুরে ঘুরে দেখেও এই পৃথিবীটা। আমি অভাজন, এত সামর্থ্য কোথায় ? তাই নিজের দেশটাই ভাল করে দেখার সাধ হয়। কিন্তু সাধ থাকলেই তো হয় না সাধ্যও লাগে। এ ক্ষাত্রে সাধ্য নানা রকম যেমন অর্থ, সঙ্গী এবং সময়। অর্থের যোগান যদি বা হলো, সঙ্গী জুটে না। সঙ্গী জোটে তো সময় জুটে না, সময় জুটেতো সঙ্গী জুটেনা। তাই নিজের দেশ, তার প্রকৃতি আর তার মানুষকে দেখার সাধ মেটে না। শুধু কবির কবিতা মগজটাকে কুরে কুরে খায় – দেখা হয় না চুক্ষ মেলিয়া, ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া ,বাড়ীর কাছের আরশীনগর।
মুখ খুললেই কথা হয়, যদি মনের মানুষ মিলে। সুনামগঞ্জের এক লোককবি তাঁর গানে বলেছেন-
‘‘—– পাষান মনরে বুঝাইও, তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও।
যদি সে হয় সুজন, তার কাছে যাইও মনরে——-
তুমি রসিক পাইলে, রসের কথা কইও,
ও পাষাণ মনরে বুঝাইও, তুমি চিনিয়া মানুষের সঙ্গ লইও।

সেই সুজন মানুষ, রসিক মানুষ, আরশীনগরের পড়শীর কাছে যাওয়ার জন্য তার কাছে রসের কথা বলার জন্য মন আকুলি বিকুলি করে। কিন্তু আরশীনগরের পড়শীর সাথে কথা বলা হয় না। কারণ তার কাছে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন যে রসদ, গেরাম বেড়ে অগাধ পানি, তার আবার কিনারা নাই, পাড়ি যে দেবো তায় একটা নাও বৈঠাও নাই। নাই একটু সময়। তাই মনরে বুঝাইয়া চলি।
একদিন একজন আরশীনগরের পড়শী, মনের মানুষ, রসিক মানুষ, যে সুজন তার সাথে কয়েকটাদিন কাটাবার আশায় আর মনের ভেতর যে বাস করে আরশীনগর তার খোঁজে পথে বের হলাম। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা কমলাপুর স্টেশন। সিল্কসিটি ট্রেনে চড়ে বসলাম রাজশাহীর উদ্দেশ্যে। অচেনা জায়গা, দূরপাল্লার যাত্রা কিন্তু ভ্রমণ সহজ হয়ে গেল বন্ধু, সুজন, মনের মানুষ, রসিক মানুষ ফারহাত জাহানকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে। গন্তব্য রাজশাহীতে তাঁরই অস্থায়ী নিবাসে। সিল্কসিটি ছুটে চলেছে সিল্কি রাস্তা। আমরা বাদাম খাচ্ছি, কফি খাচ্ছি, কথা বলছি নানান বিষয়ে। আমাদের ভাল লাগা মন্দ লাগা,পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ বিশেষ করে সুনামগঞ্জের হাওর বাওর আদিবাসী পল্লীতে আমাদের একসাথে পথচলা আর সমকালীন প্রসঙ্গ। এবং যত যাই হোক আমরা একসাথে কয়েক ঘন্টা থাকলে সচরাচর যা হয় আমার কন্ঠে উকিল মুন্সীর সেই বিখ্যাত গান – ‘আমার গায়ে যত দুঃখ সয়/বন্ধুয়ারে কর তোমার মনে যাহা লয়’ সেটা ফারহাতকে শুনতেই হবে। ইতোমধ্যে বিকেলের আলো ফুরিয়ে এসেছে আর সিল্কসিটি তখন যমুনা সেতু পাড়ি দিচ্ছে। নয়ন ভরে দেখলাম যমুনা সেতুর রূপ। তারপর যখন বাইরে অন্ধকার ঘনিয়ে এলো আর আমাদের কথা বলায় ক্লান্তি লাগলো তখন ট্রেন এক একটা স্টেশনের নাম ঘোষণা করে আর গুগল সার্চ করে সেই স্টেশনের অবস্থান কোন জেলার কোন উপজেলায় সেটা জানার চেষ্টা করতে করতে একসময় রাজশাহী এসে পৌছালো। রাত তখন সাড়ে নটা দশটা প্রায়।
ফারহাতের বাসা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। কাজলা না কি যেন বলে জায়গাটার নাম এখন ভুলে গেছি। বাসার মালিক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রফেসর দম্পতি। সঙ্গীতানুরাগী এবং সজ্জন। দোতলার একটি অংশ ভাড়া নিয়েছে ফারহাত। একজনের জন্য প্রয়োজনের তুলনায় বেশীই ঘরদোর। নতুন বাসা ঝকঝকে থকথকে আর নিরাভরণ। ঘরে ঢুকেই আমিতো তার প্রেমে পড়ে গেলাম। কিন্তু আমার জন্য আরও চমক অপেক্ষা করছিল। থাক সে কথা পরে বলি। অক্টোবরের মাঝামাঝি রাজশাহীর রাত বেশ ঠান্ডা। একটু শীত শীত করতে লাগলো। তবু ফ্রেশ হওয়ার জন্য ¯œান করে জার্নির ক্লান্তি মোচন করতে শুয়ে পড়লাম। আর ফারহাত হাত মুখ ধুয়ে একটু ফ্রেশ হয়ে রান্নায় ব্যস্ত হলো। রান্না শেষে ¯œান করে আমাকে যখন খেতে ডাকলো তখন রাত বারোটা। ঘরের মেঝেতে পাটি বিছিয়ে ফুলবাবু হয়ে খেতে বসে গেলাম আমরা। মুসুর ডাল আর পোলাও চালের তৈরি ভূনা খিচুড়ি সাথে ডিম ভাজা। খেতে যেন অমৃত। খেতে খেতে মনে হলো যে চুল বাঁধতে জানে সে ভাল রাঁধেও। সত্যি ফারহাত চমৎকার রাধূনী (শব্দটা নারীবাচক কিন্তু বাংলায় এই মূহূর্তে এর কোন নিরপেক্ষ শব্দ মনে পড়ছে না।) খেতে খেতে আবার মনে পড়ে গেল অনেকদিন আগের এক রাতের কথা। প্রায় একযুগ আগে ফারহাত যখন সুনামগঞ্জে যখন কাজ করতো তখন একদিন দোয়ারাজার উপজেলার জুমগাঁও আদিবাসী পল্লীতে গিয়ে ফিরতে অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল। তাই সেদিন রাতে ফারহাতের বিলপাড়ের বাসায় থেকে যাই। সেদিনও খেতে খেতে রাত বারোটা বেজেছিল। মেনু ছিল এই ভূনা খিচুড়ি তবে সাথে ছিল বেগুন ও ইলিশ ভাজা। তো যাই হোক রাজশাহীতে রাতের খাওয়া শেষ করে আমরা শুয়ে পড়লাম পরদিন ভোরে উঠতে হবে বলে।
ঘুম ভেঙ্গে গেল নানারকম পাখীর কিচিরমিচির শুনে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমার বাসার আশেপাশে সকালবেলা কিচির মিচির দূরে থাক একটা কাকের কা কাও শুনতে পাইনা। পাখীদের কলরব আমাকে আরও দূর অতীতে নিয়ে গেল। একটা আনন্দময় অনূভুতি নিয়ে বিছানা ছেড়ে বাসার সামনের দিকের দরজা খুলে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়ালাম। পূব আকাশে ভোরের লাল আভা ছড়াচ্ছে। চোখ জুড়িয়ে গেল। বারান্দার নীচে একটি সরু রাস্তা। রাস্তারর ওপারে একসাথে অনেকগুলো আমগাছ ঘন সবুজ পাতায় ছেয়ে আছে। তারই ফাঁঁক বসে দোয়েল, টুনটুনি, চড়ুই, বুলবুলি ফিঙ্গে তার স্বরে সারেগামা সাধছে। কিছুক্ষণ পাখিদের ভৈরবী আলাপ শুনে এবার ঘরের পশ্চিমের দরজা খুলে দিলাম। এদিকেও একফালি চমৎকার বারান্দা। দরজা খুলে অভিভূত হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। বারান্দার নীচে বিশাল এক পুকুর নাকি একে দীঘি বলবো ভাবতে পারছিলাম না। তা পুকুর বা দীঘি যা-ই বলি তার উত্তর পাড়ে ছোট ছোট ঝোপ জঙ্গল। তার ভেতর দিয়েই একটি পায়ে চলার পথ আছে। কিন্তু পথ নির্জন। শুধু ঝোপের ভেতর থেকে পুকুরের জলে ঝাপ দিচ্ছে অনেকগুলো মাছরাঙ্গা। একটির পর একটি। ঝাপ দিচ্ছে আর ঠোঁট ভরে নিয়ে আসছে রূপালী রূপালী মাছ। ওদের ঝাপ ঝোপ আর মাছ ধরা দেখছি অমনি কোথা থেকে একপাল পাতি হাঁস এল প্যাক প্যাক, প্যাক প্যাক করে নির্জনতা ভেঙ্গে দিল আর গা ঝাড়া দিয়ে কচুরিপানার ওপর বসে থাকা সাদা বকগুলো উড়ে গেল। আর এতক্ষণ গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে শুধু মাথাটা ভাসিয়ে সারা জল জুড়ে চুপচাপ সাতাঁর কাটছিল যেসব পানকৌড়ি দৃষ্টির ক্ষীণতার জন্য এতক্ষণ যাদের আমি দেখতে পাচ্ছিলাম না তারা সকলে একসাথে ডুব দিয়ে জলের তলায় তলিয়ে গেল। কিন্তু সে ক্ষনিকের জন্য। তারা আবার ভেসে উঠল। সাদা বক ও কানিবক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে বিপদজ্জনক কিছু না থাকায় আবার উড়ে এসে কচুরি পানা জুড়ে বসে ধ্যানমগ্ন হলো। আর আমি ত পাগলপারা, কাকে থুয়ে কাকে দেখি ? মাছরাঙ্গা,পানকৌড়ি সাদাবক নাকি পাতিহাঁসের খেলা। আনন্দে ভরে গেল মন আর মনের অজান্তেই স্মরণ হলো রবিঠাকুরের গান – আনমনে গেয়ে উঠলাম, ‘‘জগতে আনন্দ যজ্ঞে আমার নিমন্ত্রণ, ধন্য হলো ধন্য হলো মানব জনম। নয়ন আমার রূপের পুরে, সাধ মিটায়ে বেড়ায় ঘুরে, শ্রবণ আমার গভীর সুরে মগন।’’ গান গাইছি আর পানকৌড়ির ডুব সাঁতার দেখছি। অমা হঠাৎ দেখি কবি সত্যেন্দ্রনাথ এসে উপস্থিত। না না সত্যেন্দ্রনাথ সশরীরে আসেন নি ছোটবেলার পড়া ছড়া- চুপচাপ ঐ ডুব দেয় পানকৌটি, দেয় ডুব টুপটাপ ঘোমটার বৌটি। বৌটির অবশ্য ঘোমটা নেই সে কোন দিনমজুর এর বৌ অথবা নিজেও কোন মজুর বা শ্রমিক শ্রেনীর কেউ হবে হয়তো। তাই সরকারি ঘাটে আরও অনেকের সাথে ¯œান করতে এসেছে এবং তার ফিরে যাওয়ার তাড়া আছে । শরীর মাঞ্জন না করে সে টুপটাপ কটি ডুব দিয়ে খুব দ্রুত গতিতে কাপড় পাল্টে চলে গেল।
ততক্ষণে ফারহাতও জেগে উঠেছে। কফি তৈরি করে সে আমায় ডাকলো, দিদি আসেন। আমরা কফি খেয়ে খুব দ্রুত রেডি হয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়লাম কাঁকনহাটের উদ্দেশ্যে। সেখানে দিনব্যাপী আদিবাসী নৃত্য প্রতিযোগীতা এবং নাট্য উৎসব। বিরাট আয়োজন। আমরা সারাদিন সেখানেই কাটাবো আর দুপুরে সেই বাজারের বাচ্চুর হোটেলের বিখ্যাত মুরগীর মাংস দিয়ে লাঞ্চ করবো সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে পথে বের হলাম। সেই পথের সাথী হলো ঢাকা থেকে আসা মুশফিক, তার বউ কামনা -বড় লক্ষী আর শান্ত মেয়ে, ফারহাতের গবেষণা সহযোগী আদিবাসী তরুণ হুরেন মুর্মু, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আসাদুল্লা গালিব। দিনভর চোখ জুড়িয়ে মন ভরিয়ে দেখলাম আদিবাসীদের নৃত্যসঙ্গীত ও নাট্যউৎসব। হুরেন মুর্মুর বউ ববিতা সরেন আরও কজন নাট্যকর্মীর সাথে পরিচয় হলো। সেখান থেকে রাজশাহী ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা। আমি ছাড়া সকলে কাকনহাট বাজারে কলাই রুটি দিয়ে ডিনার সেরেছে। বাসায় ফিরে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লাম কারন পরদিন সকাল সকাল উঠে বেরিয়ে আবার বেরিয়ে পড়তে হবে। পরদিনের সিডিউল অনেক লম্বা। আমরা ঘুরবো পুঠিয়ার রাজবাড়ী, হাওয়া খানা, নাটোরের রাজবাড়ী আর চলনবিল। সিডিউল মোতাবেক সবই দেখা হলো। শুধু নাটোর শহরে গিয়ে নাটোরের কাঁচাগোল্লা খাওয়া হলো না। তবে গালিবের কাছে বিখ্যাত সেই পচুর হোটেলে দুপুরের খাওয়াটা চমৎকার হলো।
আমাদের এত সমস্ত ঘুরাঘুরির চমৎকার প্ল্যানটা তৈরি করেছিল ফারহাত নিজে। নাটোর ঘুরে আসার পরদিন আমাদের গন্তব্য আদিবাসী পল্লী আদারপাড়া। এই আদারপাড়া গ্রামের কথা ফারহতের মুখে এত শুনেছি যে সেটা দেখার আগে থেকেই তার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। যখন নিজের চোখে দেখলাম নয়ন মন সবটাই স্বার্থক হলো। গ্রামের মানুষগুলো কি সহজ সরল অনাড়ম্বর। সেখানে পরিচয় হলো সাধুমণির সাথে। খুব তেজস্বী নারী। নিজের ভাষা সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে সে সযতেœ লালন করে আর যারা এর প্রতি উদাসীন বা অবহেলা করে সে বিষয়ে তার জোরালো প্রতিবাদ ব্যক্ত করলো।
এরপরদিন সারা দিন ফারহাতের বাসায় শুয়ে বসে দিন কাটালাম। এর মধ্যে সকাল দুপুর তার ঘরের পশ্চিমের বারান্দায় বসে পানকৌড়ি আর পাতিহাঁসের ডুবসাঁতার দেখলাম, দেখলাম ধ্যনমগ্ন কানিবক আর মাছরাঙ্গার ঝোপঝাপ। সন্ধ্যায় পদ্মার পাড় ঘুরতে গেলাম। নৌকায় করে পদ্মার বুকেও ভাসলাম কিছুক্ষণ। ভাসতে ভাসতে পশ্চিম আকাশে সূর্যাসত্ম দেখতে দেখতে রবিঠাকুরকেও স্মরণ করলাম। প্দ্মার সাথে তাঁর নাড়ীর যোগ ছিল কিনা। পদ্মা ঘুরে এলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ফোকলোর বিভাগে অধ্যাপক সুস্মিতা চক্রবর্তীর কক্ষ সেখানে পরিচয় হলো আরো কয়েকজনের সাথে। তারপর সেখান থেকে সুস্মিতাদিসহ ফোকলোর বিভাগের অপর শিক্ষক মিঃ কনক এর বাসায় । মিঃ কনকের বউ এর হাতের তৈরি অনেক রকম পিঠা খাওয়া হলো। ফারহাত সুস্মিতাদি আর কনক ভাইকে বলেছে আমি ফোক গান গাইতে পারি। আসলে ফারহাত নিজে ফোক গান বিশেষ করে হাওর অঞ্চলের গানের ভীষণ ভক্ত আর দারুন সমজদার। অনুরোধ এলো শুনাতে হবে গান। এড়ানোর কোন সুযোগ নেই। এরই মধ্যে বাসার ছাদে পাটি পেতে আড্ডা ও গানের আয়োজন হয়ে গেছে। ঘুরে ফিরে সেই উকিল মুন্সী- আমার গায়ে যত দুঃখ সয়, হেমাঙ্গ বিশ্বাসের – সোনা বন্ধুরে আমি তোমার নাম লইয়া কান্দি- রাধারমণের কারে দেখাবো মনের দুঃখ গো আমি বুক চিরিয়া–এসবের সাথে লালনের গান- সহজ মানুষ ভজে দেখ না রে মন দিব্য জ্ঞানে। গানে আড্ডায় দারুণ একটা সন্ধ্যা কাটলো। চার পাঁচ দিনের ভ্রমণে আমি খুঁঁজ পেলাম আমার আরশী নগর খুঁঁজ পেলাম আরশীনগরের কত পড়শীকে। মনটা ভরিয়ে ফিরে এলাম বাড়িতে। কর্মস্থলে। কর্মস্থল মানে নয়টা পাঁচটার চাকরি। বাড়ি মানে ঘর গেরস্থালি রান্নাঘর । সেই থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড় এর চাপে আরশীনগর যায় মিলিয়ে পড়শী যায় হারিয়ে।
লেখক: কবি ও নারী নেত্রী।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!