স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রচারণায় অংশ নিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদকের সামনেই সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্র লীগের বিলুপ্ত কমিটির নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে দিরাই উপজেলার কলেজ রোড এলাকায় সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার নির্বাচনী পথসভায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহষ্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ-২ আসনের উপনির্বাচনে প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে দিরাই আসেন কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন। দুপুরে একটি পথসভা চলাকালে সময় বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী স্মরণ ও সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাজুল কাজীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরে দুইজন হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। পরে উভয়ের সমর্থকরাও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ায় হাঙ্গামার সৃষ্টি হয়। একে অন্যের দিকে চেয়ার ছুড়ে মারেন এবং নেতৃবৃন্দ একে অপরকে কিলঘুষি মারেন। এ ঘটনায় হতবাক হয়ে যান কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইনসহ পথসভায় উপস্থিত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এসময় তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে উভয় পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন জেলা ছাত্র লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী। কিন্তু উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে না পেরে তিনি সরে আসেন।
জেলা ছাত্র লীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ চৌধুরী বলেন, তুচ্চ বিষয় নিয়ে সভাপতি ও সাংগঠনিক সম্পাদক (বিলুপ্ত কমিটি) কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। আমি তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করেও পারিনি। এই ঘটনা আমাদের সংগঠনের ভাবর্মূতি ক্ষুণœ করেছে।
ফজলে রাব্বী স্মরণের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।