বিশেষ প্রতিনিধি::
জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়ে তৃণমূলের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে দলীয় মনোনয়ন পেলেননা সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জামালগঞ্জের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম শামীম। তার বদলে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন প্রয়াত উপজেলা পরিষদ পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ আল আজাদের পুত্র ইকবাল আল আজাদ। এবারও উপজেলায় নৌকা না পাওয়ায় শামীমের সমর্থকরা হতাশ হলেও ইউসুফ আল আজাদের সমর্থকরা তার ছেলেকে নৌকার কা-ারি করায় খুশি হয়েছেন। তবে রেজাউল করিম শামীম এবার বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না বলে তার বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত উপজেলা নির্বাচনেও দলীয় প্রতীক নৌকা পাওয়ার জন্য জোরালো তদবির করেন রেজাউল করিম শামীম। কিন্তু স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য এডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার রেজাউল করিম শামীমের প্রতি বিরাগভাজন হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তিনি নৌকা না পেয়েই বিদ্রোহী প্রার্থী হন। নির্বাচনী মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্ধিতা গড়ে তুলেন তিনি। বিপরিতে দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীরাও ইউসুফ আল আজাদের পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালান। শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হোন ইউসুফ আল আজাদ। গত ফেব্রুয়ারি মাসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। তবে করোনার কারণে যথাসময়ে নির্বাচন করতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। আগামী ২০ অক্টোবর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করায় নড়েচড়ে বসেন প্রার্থীরা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দিতে ভোটাভুটি করে। ভোটাভুটিতে ৬১ ভোটের মধ্যে ৫৭ ভোট পেয়ে তৃণমূল প্রার্থী মনোনীত হন রেজাউল করিম শামীম। ইকবাল আল আজাদ পান ৮ ভোট। এতে দলীয় মনোনয়ন বিষয়ে আশাবাদী হয়ে ওঠেন রেজাউল করিম শামীম ও তার অনুসারীরা। তাছাড়া সম্প্রতি স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের সঙ্গেও রেজাউল করিম শামীমের সম্পর্কের উন্নতি হওয়ায় দলীয় মনোনয়ন তিনিই পাচ্ছেন এমন ধারণা ছিল তৃণমূল আওয়ামী লীগে। তবে শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ইকবাল আল আজাদকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় সব জল্পনার অবসান হয়েছে।
দলীয় মনোনয়ন পেয়ে ইকবাল আল আজাদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে নৌকা পেয়ে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞ। বাবার অনুসারীরা প্রাণ ভরে দোয়া করছিলেন। তাছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরাও আমার মনোনয়নের জন্য চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড আমাকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। আমি এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের দোয়া ও ভালবাসায় অবশ্যই নেত্রীকে নৌকা উপহার দিতে পারব।
রেজাউল করিম শামীমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে তার বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, তিনি দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হবেন না।