ধর্মপাশা প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় মানবিক সহায়তা নিতে আসা এতিম আলী নামের মধ্য বয়স্ক এক ব্যক্তিকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য (৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড) আলেহা বেগম। এতিম আলী ওই ইউনিয়নের জলুষা গ্রামের বাসিন্দা তাহের আলীর ছেলে। রোববার বিকেলে উপজেলার মধ্যনগর খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। লাঞ্চিত হওয়ার পর সহায়তা না নিয়েই ফিরে যান এতিম আলী।
জানা যায়, ওইদিন চামরদানী ইউনিয়নের ভিজিডি কার্ডধারীদের মাঝে মার্চ ও এপ্রিল মাসের চাল এবং করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের ত্রাণ বিতরণের জন্য উপকারভোগীদের মধ্যনগর খাদ্যগুদাম প্রাঙ্গণে ডাকা হয়। সকাল থেকে উপকারভোগীরা সেখানে এসে অপক্ষো করতে থাকে। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা বিতরণ কার্যক্রমে দেরি করায় এতিম আলী বিকেল চারটার দিকে ইউপি সদস্য আলেহা বেগমের সাথে কথা বলেন। আলেহা বেগম অপেক্ষা করতে বলনে। কিন্তু এতিম আলী অপেক্ষা করতে রাজি না হয়ে তার সঙ্গে তর্কে জড়ান। এতেই ক্ষিপ্তি হন আলেহা বেগম। আর এতিম আলীকে পাঞ্জাবির কলার ধরে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেন তিনি। এ সময় অন্য উপকারভোগীরাসহ ওই ইউনিয়নের একজন ইউপি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সমালোচনার ঝড় উঠে।
রোববার রাত আটটা ২০ মিনিটের দিকে ওই ইউপি সদস্যের মুঠোফোন থেকে নিজেকে সন্তু মিয়া (এতিম) পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকে বলেন, ‘এটার আমাদের ফুফু ভাইজির ঘটনা। আমি রাগে ফুফুকে কিছু বলে ফেলেছিলাম। ফুফু হিসেবে আমাকে মারতেওতো পারে।’
চামরদানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকিরুল আজাদ মান্না বলেন, ‘জলুষা গ্রামের তাহের আলীর ছেলে এতিম আলীর সাথে এমনটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কি কারণে এমনটি ঘটেছে তা বলতে পারছি না। তবে উপকারভোগীদের সাথে এমন আচরণ কোনোভাবেই কাম্য নয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আবু তালেব বলেন, ‘ওই ইউপি সদস্য ও ওই ব্যক্তির মাঝে কিছু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছিল। বিষয়টি তারা সংশোধন করে নিয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছে তারা।’