তাহিরপুর প্রতিনিধি :
তাহিরপুর উপজেলার পল্লীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১জন নিহত ও ৪জন আহত হওয়ার ঘটনায় ৮জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, নিহতের বড় ভাই উপজেলার ৫নং বাদাঘাট ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের মৃত নেকবর ওরফে নিম্বু সিকদারের ছেলে নবী হোসেন সিকদার। একই গ্রামের লায়েছ সিকদারের ছেলে হাবিবুর সিকদারকে প্রধান আসামী করে শনিবার দুপুরে তাহিরপুর থানায় মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধার পর বাড়ীর পিছনের হাওর থেকে গরু নিয়ে বাড়ী আসার সময় লেম্বু সিকদারের ছেলে কালাম সিকদারের পথরোধ করে পূর্ব বিরোধের জের ধরে গালমন্দ শুরু করে ইছবপুর গ্রামের লায়েছ সিকদারের ছেলে মনির সিকদার (২৮) ও হাবিবুর সিকদারের ছেলে রাজু সিকদার (২০)। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। ঘটনার খবর পেয়ে লায়েছ সিকদারের ছেলে হাবিবুরের নেতৃত্বে ১০/১২জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে কালামের উপর এলোপাতারি হামলা করে। এখবর পেয়ে নিহত হানিফ ও তার ভাই কবির ঘটনাস্থলে গেলে তাদেরকেও মারধর করে গুরতর আহত করে। আহত অবস্থায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক ডা. হাফিজুর রহমান তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। রাতে হানিফের অবস্থার অবনতি হলে তাকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করার সময় সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালেই হানিফ মারা যায়। হানিফের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে হাবিবুরসহ তার আতœীয় স্বজনরা পলাতক রয়েছে। নিহত হানিফ সিকদারের লাশ ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার রাতে ইছবপুর গ্রামের গোরস্থানে দাফন করা হয়।
তাহিরপুর অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারে পুলিশী চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।