হাওর ডেস্ক ::
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সব ধরনের চেষ্টার পরেও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস থেকে সৃষ্ট রোগ কভিড-১৯। চীনের পরে এবার ইতালিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে রোগটিতে আক্রান্তের সংখ্যা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, চীনের পরে ইতালিতেই সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস।
বিবিসি জানিয়েছে, গোটা বিশ্বে ৮০ হাজারের বেশি মানুষ কভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে এখন পর্যন্ত রোগটি ছড়িয়েছে প্রায় ৪০টি দেশে।
ইতালিতে করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি ছড়িয়েছে বাণিজ্যিক এলাকা লম্বার্ডি ও ভেনেতোতে।
সংক্রমণ ঠেকাতে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও সিনেমা হল বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার। সেইসঙ্গে বাতিল করা হয়েছে অসংখ্য অনুষ্ঠান। মোটকথা যেখানে জনসমাগম হওয়ার কথা ছিল, সেসব বাতিল বা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
সংক্রমিত এলাকায় রয়েছে ১১টি শহর। এসব শহরের ৫৫ হাজার মানুষকে কোয়ারেনটাইন করে রাখা হয়েছে।
এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইতালির সব শহরে। রাতের মিলান যেখানে সবচেয়ে জমজমাট থাকে, সেই মিলানই রাত নামতেই হয়ে যায় সুনসান। জনসমাগম হয় এমন এলাকা এড়িয়ে ছলছেন শহরটির মানুষ।
গত দুদিনে ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গেছে। এগুলো হলো অস্ট্রিয়া, ক্রোয়েশিয়া, গ্রিস, নরওয়ে, সুইজারল্যান্ড, জর্জিয়া ও উত্তর মেসিডোনিয়া। এসব দেশে যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগি পাওয়া গেছে তাদের বেশিরভাগই ইতালি ভ্রমণ করেছিলেন। ফলে ইউরোপে ইতালি ভ্রমণের বিষয়ে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে। সতর্ক রয়েছে সবগুলো দেশ।