স্টাফ রিপোর্টার::
অসহায় অশীতিপর বৃদ্ধা মোছাঃ ময়েশা বিবি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ। পান্ডুর অবয়বে দারিদ্র্যের ছাপ। স্বামী খলিল মিয়া মারা গেছেন বহু আগে। শাল্লার প্রত্যন্ত গ্রাম চব্বিশায় অসহায় এক ছেলে সন্তান নিয়ে তার বসবাস। পরিবারের উপার্যনক্ষম সেই সদস্যও দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানাবন্দি। এমতাবস্থায় দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি বৃহষ্পতিবার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ এর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসেন। তার শুকিয়ে যাওয়া চোখে অশ্রুর বান নেই। কিন্তু অবয়বজুড়ে ব্যথার ছাপ। ওই অসহায় নারী জেলা প্রশাসককে জানান, কিছু দিন পূর্বে তার একমাত্র ছেলে আহত হয়ে হাটাচলা করতে পারছে না, নিজেরও কাজ করার মতো ক্ষমতা নেই তার। বসবাসের জন্য যে ঘরটি রয়েছে তাতে ছাউনি নষ্ট হয়ে গেছে। রোদ-বৃষ্টিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিতান্তই কষ্টে দিন যাপন করছেন তিনি। বর্তমানে শীতের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘরে বসবাস করা সম্ভব হচ্ছে না। রোদ-বৃষ্টি ও তীব্র শীত থেকে রক্ষার জন্য বসতঘরটি মেরামতের আবেদন জানান। অসহায় মহিলার বিষয়ে জেলা প্রশাসক তাৎক্ষণিক খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসক তার সাথে কথা বলে বুঝতে পারেন মহিলা অভুক্ত রয়েছেন। তিনি তাৎক্ষণিক তাকে শুকনো খাবার খাইয়ে দেন। জরাজীর্ণ ঘরটি মেরামতের জন্য নিজের পকেট থেকে প্রদান করেন কিছু আর্থিক সহায়তা। নিজের ব্যক্তিগত ত্রাণ ভান্ডার থেকে প্রদান করেন শীতবস্ত্র। বসতঘরটি সংস্কারের জন্য ঢেউটিন ও আর্থিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে জেলা প্রশাসকের এমন ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ওই অসহায় নারী প্রাণ ভরে দোয়া করেন।