স্টাফ রিপোর্টার::
গত রবিবার সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সঙ্গে মতবিনিময় করেছিলেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার। জেলার আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বখাটেদের পারিবারিকভাবে শাসন করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে তার বক্তব্যকে ভিন্নখাতে নিয়ে ভুলভাবে উপস্থাপন করে সুনামগঞ্জে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কয়েকটি অনলাইন। মঙ্গলবার আবারও এ বিষয়ে সুনামগঞ্জের সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান। এ সময় তিনি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, খারাপ হেয়ার কাটিং দেখলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলেছি কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন না। তবে বিভিন্ন অনলাইনে এই মিথ্যা তথ্য দিয়েই সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। এ সময় লাজবাব ছিলেন সাংবাদিকরা। যারা না জেনে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন তারাও চুপসে ছিলেন।
পুলিশ সুপার বলেন, আতঙ্ক ও গুজব ছড়ানো সাংবাদিকদের কাজ নয়। সংবাদকর্মীরা গুজব ও আতঙ্কের বিষয়ে জনগণকে সচেতন করবেন। তিনি সাংবাদিকদের আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, আমি মাঝে মধ্যেই আমার একশন বিষয়ে কথা বলতে ও সাংবাদিকদের মতামত নিতে ডাকব। কোন অভিযানে যাতে নীরিহ মানুষজন হয়রানির শিকার না হন সেটা আমরা দেখব। আমাদের কেউ অন্যায় করলে তাকেও ছাড় দেওয়া হবেনা। তবে জনগণের কল্যাণে ও অপরাধ প্রবণতা রোধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এসপি বলেন, আমাদের সময় ছাত্ররা ছিল আইডল। তাকে দেখলেই মানুষ সমীহ করতো। আমি চাই ছাত্ররা লেখাপড়ার টেবিলে থাকবে। দেখলেই বখাটে ও সন্ত্রাসী লাগবে এমন চুলের কাট শোভনীয় নয়। স্কুল কলেজের সামনে মোটর সাইকেলে এমন বখাটেদের মহড়া দেখলে আমি অভিভাবক ডেকে তাদেরকে শায়েস্থা করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু মিথ্যা তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমার একার পক্ষে আইন শৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা সম্ভব নয়। জনগণেরও সহযোগিতা প্রয়োজন। সবাই মিলেই সুনামগঞ্জকে সুন্দর রাখতে হবে।
উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ জেলায় আইন শৃঙ্খলার স্বার্থে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় স্বস্থি ফিরেছে বলে মন্তব্য করেন। পুলিশের ধারাবাহিক এই অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে সাংবাদিকবৃন্দ নৌপথে চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজিতে নিয়োজিত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের চিহ্নিতকরণ, মাদক কারবারি ও পরিবহন সন্ত্রাসী-চাদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান পিপিএম, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, প্রেসক্লাব সভাপতি পঙ্কজ দে, সহ-সভাপতি আবেদ মাহমুদ চৌধুরী, যমুনা টিভির প্রতিনিধি মাহমুদুর রহমান তারেক, আমাদের সময়ের প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার, হাওরাঞ্চলের কথা সম্পাদক মাহতাব উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ প্রতিদিন প্রতিনিধি মাছুম হেলাল, আলোকিত বাংলাদেশ প্রতিনিধি আশিকুর রহমান পীর প্রমুখ।