1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কোটা আন্দোলনে নিহত আবু সাঈদের পরিবার পেল সাড়ে ৭ লাখ টাকার চেক শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলিনি, আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী কোটা আন্দোলনের দুই সমন্বয়কের সঙ্গে সরকার পতনের আলোচনা হয় ভিপি নুরের! শিক্ষিত প্রজন্মের কাছে আমরা সম্মান চাই: বীর মুক্তিযোদ্ধা রুমা চক্রবর্তী এমপি এভাবে রাষ্ট্রের ধ্বংস মানতে পারছি না: প্রধানমন্ত্রী আন্দালিব রহমান পার্থ ৫ দিনের রিমান্ডে কোটা আন্দোলন সহিংসতায় নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী : কাদের গবেষক দীপংকর মোহান্ত সুনামগঞ্জ পিটিআইয়ে সুপার হয়ে আসায় কবি লেখকদের ফুলেল শুভেচ্ছা সুনামগঞ্জে শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ শীথিল সিলেটসহ ১১ অঞ্চলে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস

বিপ্লবী বরুণ রায়ের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৬, ৩.২৭ এএম
  • ৫৩১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
আজ ৮ ডিসেম্বর। এই দিনে হাওরভাটির বিপ্লবী ও দেশখ্যাত বাম কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ কমরেড বরুণ রায়ের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৯ সালের এই দিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আমৃত্যু তিনি মেহনতি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি ও তাদের ন্যায্য অধিকারের দাবিতে লড়াই করে গেছেন।
মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষে কমরেড বরুণ রায় স্মৃতি সংসদ স্মরণ সভার আয়োজন করেছে। শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগার মিলনায়তনে এ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক আন্দোলনের কিংবদন্তী পুরুষ কমরেড প্রসূন কান্তি বরুণ রায়। তেভাগা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ভাসানপানি আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধসহ কৃষক-শ্রমিক-মেহনতি জনতার মুক্তির সংগ্রামের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশ নিয়েছিলেন। বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে তাঁকে অনেক সময় কারাবরণ করতে হয়েছে। শুধু পাকিস্তান আমলেই তিনি ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন।
কমরেড বরুণ রায় ১৯২২ সালের ১০ নভেম্বর জামালগঞ্জ উপজেলার বেহেলী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা করুণাসিন্ধু রায়। করুণাসিন্ধু রায় একটি সামন্ত পরিবারে জন্ম নিলেও বেছে নিয়েছিলেন কৃষক প্রজার পক্ষের রাজনীতি। তিনি আসাম প্রাদেশিক পরিষদের এমএলএ ছিলেন।
বরুণ রায় কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া মোগরা হাইস্কুল থেকে তিনি ১৯৪২ সালে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। বিদ্যালয়ে পড়াশোনাকালে তিনি প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের সাথে যুক্ত হন। আন্তরিকতা ও সাংগঠনিক দক্ষতার কারণে অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি নেতৃত্বের কাতারে চলে আসতে সক্ষম হন। ছাত্র ফেডারেশনের কর্মী হিসাবে বরুণ রায় কমিউনিস্ট পার্টির সং¯পর্শে আসেন। মাত্র ২০ বছর বয়সে ১৯৪২ সালে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির পূর্ণ সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৪২ সালে স্বাধীনতা দিবস পালন করার সময় তাঁকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। বরুণ রায় আইএ ভর্তি হন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে। এই কলেজ থেকে তিনি ১৯৪৭ সালে আইএ পাস করেন। ১৯৪৮ সালে সিলেট তিনি এমসি কলেজে বিএ প্রথম বর্ষে ভর্তি হন। এ সময় তিনি পার্টি ও ছাত্র ফেডারেশনের কাজে নিজেকে একজন সার্বক্ষণিক হিসেবে নিযুক্ত করেন।
১৯৪৯ সালে তিনি পুনরায় গ্রেপ্তার হন। ৫২’র ভাষা আন্দোলনেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় একটানা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত তিনি জেলে ছিলেন। এরপর মুক্তি পেলেও রাখা হয় নজরবন্দি করে। ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে তিনি বিপুল ভোটে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান সামরিক ফরমান জারি করলে বরুণ রায়কে আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় দীর্ঘ ৫ বছর কারাগারে থাকতে হয়। ১৯৬৮-৬৯ সালে গণআন্দোলনের সময় তিনি প্রকাশ্যে চলাফেরা থেকে বিরত থাকেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ‘ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়নের’ যৌথ গেরিলা বাহিনীর সংগঠকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮০ সালে জেনারেল জিয়াউর রহমানের আমলে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (১৫ দলের প্রার্থী হিসাবে) কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী হিসাবে তিনি সুনামগঞ্জ-১ আসন থেকে জয়লাভ করেন। ১৯৮৭ সালে এরশাদবিরোধী আন্দোলন চলাকালে তাঁকে আবার গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়। তিনি ১৯৯০ সালে বার্ধক্যের কারণে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর নেন। শেষ বয়সে তিনি মণি সিংহ-ফরহাদ স্মৃতি ট্রাস্টের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তাঁর স্ত্রী শীলা রায় নারীনেত্রী এবং একমাত্র ছেলে সাগর রায় বর্তমানে প্রবাসী।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!