স্টাফ রিপোর্টার::
রিয়াদ আহমেদ। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার ধামোধরতপি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এই শিক্ষার্থীকে দেখলে মনে হয় সদ্য কুসুমের ভেতর থেকে বেরিয়ে এসেছে ফুটফুটে এক শিশু। অন্তর্ভেদী চাহনি দৃষ্টি কেড়ে নেয়। সতত চঞ্চল। সারাক্ষণ স্কুল ক্যাম্পাসে বন্ধুদের সঙ্গে হৈচৈ আর গোল্লাছুটে মাতিয়ে রাখে। পড়ালেখায়ও ভালো। তাই বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকই তাকে ¯েœহ করেন। সদা চঞ্চল এই কোমলমতি হাসি হাসি মুখের শিশুর ঠোটের হাসি মিইয়ে যেতে বসেছে। দূরারোগ্য ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে এখন সারাক্ষণ বিছানায় শায়িত থাকে।
রিয়াদ আহমেদ বর্তমানে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২২ নং ওয়ার্ডে ডাক্তার প্রসেনজিৎ দে’র তত্বাবধানে চিকিৎসায় নিয়োজিত। তার হতদরিদ্র পিতা আবুল কালামের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় সংকুলান করা সম্ভব নয়। তাই সমাজের বিত্তমানদের সহায়তা কামনা করেছে তার পরিবার।
কোমলমতি রিয়াদ জানেনা তার কঠিন রোগের কথা। এই কঠিন রোগ বুঝার ক্ষমতাও নেই তার। তাই দ্রুত সেড়ে ওঠবে এমনটাই ভাবছে সে। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন টানা তিনমাস তার চিকিৎসার প্রয়োজন। পরে তিন বছর তাকে ডাক্তারের তত্বাবধানে থাকতে হবে।
রিয়াদের পিতা জানান, ডাক্তার তাকে জানিয়েছেন রিয়াদকে বাঁচাতে হলে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এই টাকা তার পরিবারের পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। সহায়তার জন্য পরিবার সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য প্রয়োজন। সহায়তার জন্য এই নম্বরে ০১৭৫৪৮৮৯১২৩ যোগাযোগের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।
আসুন, একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীর পাশে দাড়াই। সাধ্যমতো তাকে সহায়তা করে নিষ্পাপ সুন্দর জীবনে ফিরতে সহায়তা করি।