হাওর ডেস্ক ::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে বিভক্ত হতে চান না ওই ইউনিয়নের তিন গ্রামের মানুষ। আজ সোমবার এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুমের নিকট লিখিকতভাবে একটি আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছে।
আবেদনপত্র থেকে জানা যায়, জগন্নাথপুরের রানীগঞ্জ ইউনিয়ন থেকে কয়েকটি ওয়ার্ড বিভক্ত হয়ে নতুন ইউনিয়ন পরিষদ গঠনের লক্ষ্যে এলাকায় প্রচারণা চলছে। এরমধ্যে ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডও বিভক্ত হচ্ছে বলে এমন খবর এলাকায় শুনা যাচ্ছে। কিন্তু ভৌগলিক অবস্থানের দিক থেকে ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলমপুর, নোয়াগাঁও ও বালিশ্রীগ্রামীর সুযোগ-সুবিদা রানীগঞ্জের সঙ্গে। এজন্য নতুন ইউনিয়ন পরিষদের অর্ন্তভুক্ত হতে চান না নয় গ্রামের মানুষ। এ বিষয়ে তিন গ্রামের লোকজনের পক্ষ থেকে আজ সোমবার জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিতভাবে আবেদন করা হয়।
রানীগঞ্জ ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা গুলজার মিয়া জানান, ইউনিয়নের ভৌগলিক বিবেচনায় রানীগঞ্জের সঙ্গে আমাদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের তিন গ্রামের জনসাধারণের যাতায়াতসহ সকল ধরনের সুযোগ-সুবিদা ভালো। এজন্য ইউনিয়ন থেকে বিভক্ত হতে এলাকার লোকজন চাইছেন না। তাই বিষয়টি আমরা লিখিতভাবে প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।
রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা বলেন, ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ গঠিত হয়েছে। ইউনিয়নের জনসংখ্যা ৩৬ হাজার। ইউনিয়ন বিভক্তের বিষয়ে আমার কোনো কিছু জানা নেই।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজুল আলম মাসুম বলেন, এলাকাবাসীর লিখিত একটি আবেদনপত্র পেয়েছি।