1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

আসামের এনআরসি থেকে হিন্দু বাঙালিরাই বাদ পড়ছেন বেশি!

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৯, ৬.১৪ এএম
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
নথি-সংকটের কারণে আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা থেকে হিন্দু বাঙালিরাই বেশি বাদ পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বাঙালি হিন্দু নেতারা। সারা আসাম বাঙালি ঐক্যমঞ্চ, বাঙালি যুব-ছাত্র ফেডারেশ, বেঙ্গলি ইউনাইটেড ফোরাম তালিকা প্রকাশের আগের দিন শুক্রবার এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। গুয়াহাটি থেকে প্রকাশিত স্থানীয় বাংলা সংবাদমাধ্যম যুগশঙ্খ এখবর জানিয়েছে।
চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) প্রকাশের দিনটিকে ঘিরে উদ্বেগে রয়েছেন খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়া রাজ্যের প্রায় ৪১ লাখ মানুষ। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় অনলাইনে এই তালিকা প্রকাশ করার কথা রয়েছে। অবশ্য সম্প্রতি ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে ঘোষণা করেছে চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়লেও এখনই কাউকে বিদেশি বলে ঘোষণা করা হবে না। ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিলের সুযোগ পাবেন তারা।
বাঙালি নেতারা অভিযোগ করেছেন, শেষ মুহূর্তে শরণার্থীর প্রমাণপত্র, নাগরিক সনদ, রিলিফ ইনজিবিলিটি সার্টিফিকেটের মতো নথি আমলে নেওয়া হয়নি। ফলে তালিকা থেকে হিন্দু বাঙালিরাই বেশি পড়বেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটির খবরে বলা হয়েছে, নাগরিকত্ব প্রমাণে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গে লিগ্যাসি যারা ব্যবহার করেছেন তাদের আবেদন গ্রাহ্য করা হয়নি। বিশেষ করে ত্রিপুরার ভোটার তালিকার প্রতিলিপি, জমির নথিপত্র ইত্যাদি বাতিলের খাতায় ফেলা হয়েছে। অস্পষ্ট স্বাক্ষর, ক্রমিক নম্বরে গণ্ডগোল বা ছাপা অস্পষ্ট হলেও সেগুলো খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
সারা আসাম বাঙালি যুব-ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক নেতা চিত্ত পাল বলেন, আমাদের অনুমান বলছেন চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়ছে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। এদের মধ্যে ১৭-১৮ লাখ হিন্দু বাঙালির নাম বাদ পড়বে। তার দাবি, নাগরিকত্ব প্রমাণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র নেই হিন্দু বাঙালিদের কাছে।
এনআরসি থেকে বিপুল সংখ্যক হিন্দু বাঙালিদের বাদ পড়ায় কয়েকজন বিজেপি নেতা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। গত সপ্তাহে আসামের মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র সরকার নতুন আইনের কথা বিবেচনা করছে। যার ফলে যারা তালিকায় স্থান পাওয়া বিদেশিদের বাদ দেওয়া যায় এবং বাদ পড়া সত্যিকার নাগরিকদের অন্তর্ভূক্ত করা যায়।
গত বছরের ৩১ জুলাই এনআরসি-র যে দ্বিতীয় খসড়া তালিকা বের করা হয়েছিল, তাতে ৪১ লাখের কাছাকাছি মানুষের নাম বাদ পড়লেও সেখানে কোন ধর্মের মানুষ কতজন ছিলেন সেই সরকারি পরিসংখ্যান আজ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি। তবে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নানা খবর থেকে ধারণা করা হয়, ওই ৪১ লাখের মধ্যে ২৭ লাখেরও বেশি হিন্দু ও মোটামুটি ১৩ লাখের মতো মুসলিমের নাম ছিল। ‘হিন্দুত্ববাদী’ দল বিজেপির ঘোষিত অবস্থানই যেখানে বাংলাদেশ থেকে আগত হিন্দুদেরই শুধু নাগরিকত্ব দেওয়া – সেখানে এই তথ্য তাদের জন্য চূড়ান্ত অস্বস্তিকর। অনেক পর্যবেক্ষকই মনে করছেন, এনআরসি প্রক্রিয়ার পেছনে মূল রাজনৈতিক লক্ষই ছিল আসামের বাঙালি মুসলিমদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া।– অথচ রাজ্যের বাঙালি হিন্দুদের চেয়ে বাঙালি মুসলিমরা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি নথিপত্র দিতে পেরেছেন এবং নিজেদের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পেরেছেন।
আসাম বিজেপির হিন্দু বাঙালি নেতা ও বিধায়ক শিলাদিত্য দেব বলেছেন, ‘যে হিন্দুরা ১৯৭১-র ১৪ মার্চের আগে ভারতে এসেছেন তারা আপনা থেকেই নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু তাদের প্রতি এনআরসি কর্মকর্তাদের কোনও সহানুভূতি নেই, তারা পড়ে আছেন শুধু ৭১-র পরে আসা মুসলিমদের নিয়ে। ফলে গোটা ব্যাপারটা যেন একটা ‘ডকুমেন্টেশন এক্সারসাইজে’ পরিণত হয়েছে – নাগরিক শনাক্তকরণ আর নেই। মানে যে যেভাবে পারে একটা কাগজ বা দলিল ম্যানেজ করেই নাগরিক হয়ে যাচ্ছে – অথচ যারা পঞ্চাশ-ষাট বছর ধরে আসামে আছেন তারা কাগজ দেখাতে না-পেরে তালিকা থেকে বাদ পড়ছেন!’
আসামে যে ১৮ শতাংশ হিন্দু বাঙালি ভোটব্যাঙ্ক রয়েছে তাদের বিজেপির সমর্থক বলেই গণ্য করা হয়। তিন মাস আগের সাধারণ নির্বাচনে রাজ্যের ১৪টির মধ্যে বিজেপি যে ৯টি আসন জিতেছিল, সেটাও এই হিন্দু বাঙালিদের ভরসায়। ভোটার তালিকা থেকে বাঙালি মুসলিমদের বাদ পড়া নিয়ে অবশ্য বিজেপি বিচলিত নয়। কারণ তাদেরকে কখনওই তারা নিজেদের সমর্থক বলে গণ্য করেনি, তাদের ভোট পাওয়ার চেষ্টাও করেনি।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!