স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. বরকতুল্লাহ খান বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে গুজব ছড়িয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। দেশজুড়ে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির প্রত্যেকটি ঘটনা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশ্লেষণ করেছে। কোনো ঘটনাতেই ধৃত আহত ব্যক্তি কিংবা মৃত ব্যক্তিদের কেউই অপহরণকারী ছিলেন না। ছেলেধরা একটি গুজব এই গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। আপনি নিজেও জানেন না, গণপিটুনিতে অংশ নিয়ে আপনি হত্যা মামলার আসামি হয়ে যাচ্ছেন। যে অপরাধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রয়েছে। গুজব প্রতিরোধে প্রশাসন জনসাধারনকে উদ্বুদ্ধ করছে, যে কোনো পরিস্থিতিতে যেন পুলিশের সহায়তা নেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যর্থতায় নিরাশ না হয়ে সফলতা না পাওয়ার আগ পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিজের সুপ্ত প্রতিভাকে জাগিয়ে তুলার মাধ্যমেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। অভিভাবক, শিক্ষকদের উপদেশ পালনের মাধ্যমে নিজেকে মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে সমাজের উন্নয়নে অংশীদার হতে হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীদের পুলিশে যোগদান উপলক্ষ্যে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
পৌর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. শেরগুল আহমেদের সভাপতিত্বে ও শরীল চর্চা শিক্ষক আলমগীর হোসেন, বাংলা প্রভাষক তৈয়বুর রহমান তানিমের যৌথ সঞ্চালনায় এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, সদর থানার ওসি শহীদুর রহমান।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক শাহ আবু নাসের। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারি অধ্যাপক রামানুজ রায় সাজু, নোয়াজ উদ্দিন, শুভঙ্কর তালুকদার মান্না, শেখ আলমগীর রাকিব প্রমুখ।
শেষে পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ‘র বিদায় উপলক্ষ্যে সম্মননা ও পুলিশে নিয়োগ পাওয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।