হাওর ডেস্ক ::
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিভিন্ন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে বা বিদ্রোহী প্রার্থীদের ইন্ধন দিয়ে যারা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন তাদেরকে শোকজ করা হবে।
শুক্রবার ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো বলেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে তাদেরকে শোকজের জবাব দিতে হবে। জবাব সন্তোষজনক না হলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে দলের যৌথ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা বিদ্রোহী প্রার্থীকে সহযোগিতা করলে বা ইন্ধন দিলে তার বিরুদ্ধে সংগঠনকে ব্যবস্থা নিতে বলা হবে। তারা তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
জাতীয় পার্টি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা সংসদের বিরোধী দল। তাদের আসন সংখ্যাও কম নয়। এরশাদের অবর্তমানে কী হবে সে বিষয়ে জাতীয় পার্টি সিদ্ধান্ত নেবে। তারা রাজনীতিতে টিকে থাকবে কি থাকবে না সেটা একেবারই তাদের ব্যাপার। এরশাদের মামলাটি আইনের বিষয়। যখন তার পতন হয় তখনই গণতান্ত্রিক উপায়ে ৫টি আসনে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়া এবারও তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এক্ষেত্রে এরশাদের অস্তিত্বের বাস্তবতাকে তো অস্বীকার করতে পারব না।
বন্যা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে প্রত্যেক স্থানে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়ভাবেও নেতাকর্মীদের ত্রাণ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারিভাবে বন্যা উপদ্রুত প্রতিটি জেলায় ত্রাণ পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, উপ-দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।