স্টাফ রিপোর্টার::
শাল্লার বাহাড়া ইউনিয়ন পরিষদে হচ্ছেটা কি এমন প্রশ্ন এখন উপজেলা সদরের সবার মুখে মুখে। বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত আভা রানী তালুকদার নামে এক ইউপি সদস্য ১ নাম্বার ওয়ার্ড কর্তৃক বয়কটের পর এবার চেয়ারম্যান কর্তৃক স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ এনেছে দুই সদস্য নরেশ অধিকারী, আভা রানী তালুকদার। তবে চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরী অবশ্য বলেছেন তার সৃ্ুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য দু্র্নীতি বাজ সদস্যরা মিথ্যা বলাবলি করছে।
এনিয়ে এলাকার জনসাধারণ বলছে তাদের পাল্টা পাল্টি অভিযোগের বিষয়গুলো তদন্ত হওয়া দরকার। গত ৩০ জুন একটি অনলাইনে ইউপি চেয়ারম্যান বিধান চৌধুরীকে নিয়ে একটি স্বাক্ষর জালিয়াতি সংবাদ প্রকাশ হয়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান বিধান চোধুরী সংবাদের বিষয়বস্তু সত্য নয় মর্মে ১ জুলাই সোমবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেনের নিকট লিখিত ভাবে অবহিত করণে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন বিজিডি কার্ড বিতরণের যে চিঠি তিনি পেয়েছেন তাতে ৫৪০ জন বিজিডি কার্ডধারীকে বিতরণের বিষয়টি লিখা ছিল। সে অনুযায়ী তিনি কাজ ও করেছেন। কিন্তু সংবাদটিতে ইউপি সদস্য নরেশ অধিকারী ও মহিলা সদস্য আভা রানী তালুকদার আমাকে হেয় পতিপন্ন করার জন্য বক্তব্য দিয়েছে যে বিজিডি কার্ড বিতরণের ৩৯০ জনের একটি চিঠিতে নাকি তিনি (চেয়ারম্যান) নিজেই জাল স্বাক্ষর করেছেন।
এনিয়ে বিধান চৌধুরী বলেন, পরিষদের ২ জন সদস্য তাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে তাকে নিয়ে বানোয়াট অসত্য মানহানিকর বক্তব্য দিয়েছে। তাদের বক্তব্যের প্রতিবাদ করতেই তিনি অভিযোগ করেছেন। তিনি আরো বলেন ইউপি সদস্য নরেশ অধিকারী ৪০ দিনের কর্মসূচীর দুই লাখ টাকার কাজ করেনি, অথচ সব টাকা উত্তোলন করেছে। তার দু্র্নীতির প্রতিবাদ করার কারণে সে আমার নামে মিথ্যা বলছে। আর আভা রানী বহু বার বিভিন্ন দু্র্নীতি অনিয়মের বিষয়ে শালিস করায় সে আমার উপর ক্ষুব্ধ তাই এসব করছে।
এনিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মুক্তাদির হোসেন আবেদনের কথা শিকার করে বলেন, বাহাড়া ইউনিয়নের বিষয়বস্ত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে তিনি এপ্রতিবেদককে জানান।