বিশেষ প্রতিনিধি::
ছাতকে সুরমা নদীতে চাঁদাবাজি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে গুলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে ছাতক থানার ওসি ও চার পুলিশসহ অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। সংঘর্ষে ছাতক পৌর শ্রমিক লীগ সদস্য সাহাবুদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
ঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ছাতক পৌর শহরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি বর্ষণ করেছে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। একজন বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে এক পক্ষের সংঙ্গে সিলেটের পেশাদার সন্ত্রাসীরাও সশস্ত্র হয়ে বন্ধুকযুদ্ধে অংশ নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। সংঘর্ষে চলাকালে শামীম চৌধুরী পক্ষের গুলিতে শ্রমিক লীগ সদস্য ভ্যানচালক বুকে গুলিবিদ্ধ হন, পরে মারা যান।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ছাতকে সুরমা নদীতে বালু-পাথর বাহী নৌকা থেকে চাঁদা উত্তোলন নিয়ে মেয়র কালাম চৌধুরী ও তার কাউন্সিলদের সঙ্গে শামীম চৌধুরী পক্ষের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে দুই পক্ষ রাত ৯টার দিকে সংঘর্ষে জড়ায়। দেশিয় অস্ত্রের সঙ্গে দুই পক্ষেই বন্দুক নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তবে ছাতকে বরখাস্তকৃত একজন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সিলেট থেকে পেশাদার সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বন্দুক নিয়ে পৌর মেয়র-কাউন্সিলদের পক্ষের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধে অবতীর্ণ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। এই গ্রুপের গুলিতেই বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক দরিদ্র ভ্যানচালক গুরুতর আহত হওয়ার পর মারা যান। প্রায় আধাঘন্টা ব্যপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ৩০জন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত অর্ধশত আহত হয়। গুলিবিদ্ধ আহতদের মধ্যে ছাতক থানার ওসি, দুই এসআইসহ একজন কনেস্টেবলও রয়েছেন। গুলিবিদ্ধ আহত অন্তত ২০ জন ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ছাতক থানার ওসি ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে নিজেই গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ছাতক থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাদানে গ্যাস ও ফাকা গুলি ছুড়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে তিনিও আহত হয়েছেন বলে জানান। গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহতের খবরটিও তিনি নিশ্চিত করেছেন।