আল-হেলাল::
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রার্থী করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এর পক্ষে মাঠ পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রদানের দাবী উঠেছে। প্রতিদিন বাসায় এসে মাঠপর্যায়ের এই মূলধারার নেতার সাথে দলীয় নেতাকর্মী সমর্থকরা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে দলীয় মনোনয়ন চাওয়ার জন্য তাকে উৎসাহিত করছেন। তারা বলছেন,জন্মসূত্রে সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকা জামালগঞ্জ-ধর্মপাশা ও তাহিরপুর আসনের বাসিন্দা হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলায় এবং স্বাধীনতার পর থেকে শহরের হাছননগর আবাসিক এলাকাধীন বাসভবনে অবস্থান করে দলের কাজে সার্বক্ষনিকভাবে নিয়োজিত থাকার কারনে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় প্রাকৃতিকভাবেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন এই নেতা। জানা যায়,মূলধারার আওয়ামীলীগ নেতা করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল ১৯৬১ ইং সনের ২৬ অক্টোবর তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের পৈলেনপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম কৌশিক চৌধুরী ও মাতা পৃথী চৌধুরী। তিনি ১৯৭৬ ইং সনে বাদাঘাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। ১৯৭৮ সালে সুনামগঞ্জ কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৮০ইং সনে একই কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। এসএসসি পাশের পরই উচ্চ শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে তিনি তৎকালীন মহকুমা সদরে এসে প্রথমে সুনামগঞ্জ কলেজের কৃষ্ণচন্দ্র স্মৃতি ছাত্রাবাসে উঠেন। ৭৮ ইং সনে ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষা লাভ করানোর উদ্দেশ্যে শহরে বাড়ির জায়গা ক্রয় করে বাসা নির্মাণ করেন তার পিতা। তখন থেকেই তাদের বাসাবাড়িটি বলতে গেলে আওয়ামীলীগের কার্যালয় হিসেবে গড়ে উঠে। কলেজ আঙ্গিনায় পা রেখেই তিনি সর্বপ্রথম সুনামগঞ্জ মহকুমা ছাত্রলীগের আহবায়ক পীর মতিউর রহমানের হাত ধরে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৭৯ সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন। এবং ৮০ সালে কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচেন ছাত্রলীগ প্যানেলে নাট্য ও আপ্যায়ন সম্পাদক পদে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। ১৯৮৩ সালে ছাত্রলীগের মহকুমা কমিটিতে (জালাল-জাহাঙ্গীর ) সক্রিয়ভাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৭ সালে মহকুমা যুবলীগের পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মনোনিত হন। ১৯৯৯ সালে নির্বাচিত হন জেলা কৃষক লীগের জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক পদে। ২০১১ সাল থেকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তিনি কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৭ সালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটি গঠনের পর এই কমিটির কয়েকটি পদ শুন্য হলে তৎকালীন নেতাদের মৃত্যুজনিত কারনে দলের শূন্য পদে তাকে সদস্য হিসাবে কোঅপ্ট করা হয়। ২০১৬ সালের সর্বশেষ জেলা আওয়ামীলীগের গঠিত কমিটিতে তিনি কৃষি বিষয়ক সম্পাদক পদে মনোনিত হন। রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তিনি সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের নির্বাচিত সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করেন। ধর্মীয় সংগঠণ আন্তর্জাতিক শ্রী শ্রী অদ্বৈত জন্মধাম পরিচালনা কমিটি তাহিরপুরের সভাপতি পদে চলমান দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি জেলা সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটি, মূল্য সংযোজন কর কমিটি ও জেলা ধানচাল ক্রয় কমিটির সদস্য পদে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। তিনি বেসরকারী কারা পরিদর্শক,বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি,সিলেট বিভাগ উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাঠাগার লাইব্রেরী সুনামগঞ্জ এর আজীবন সদস্য পদে জড়িত রয়েছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠণ এফবিসিসিআই এর সাবেক জেনারেল বডির মেম্বারও ছিলেন তিনি। তিনি নিজে শুধু একা নয় তার পুরো পরিবারবর্গই জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত মাটি ও মানুষের সংগঠন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। সহোদরদের মধ্যে দিলীপ চৌধুরী তথ্য ও প্রযুক্তি লীগের জেলা কমিটির বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক,অমল চৌধুরী জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য, চাচাতো ভাই পংকজ চৌধুরী সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি,রিংকু চৌধুরী জেলা সৈনিক লীগের সাধারন সম্পাদক ও মিন্টু চৌধুরী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। প্রিয় দল আওয়ামীলীগ করার কারণে ১৯৯০ এ স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কাকা শুকুমার তালুকদার ও ৩ সহোদরসহ গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন তিনি। এর আগে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে ছাত্রলীগ করার কারণে তাকে গ্রেফতার হতে হয়। সামরিক শাসনামলে জননিরাপত্তাসহ বিভিন্ন হয়রানীমূলক মামলার আসামী হতে হয় তাকে। সকলের প্রিয় নেতা করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল একজন স্পষ্টবাদী সুবক্তা। ১৯৭০ ইং সনে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র থাকাবস্থায় ইউপি সদর বাদাঘাট বাজারে তিনি নৌকা ও আওয়ামীলীগের পক্ষে শ্লোগান ধরেন। বীর বাঙ্গালী অস্ত্র ধরো বাংলাদেশ স্বাধীন করো,তোমার আমার ঠিকানা পদ্মা মেঘনা যমুনা ইত্যাদি শ্লোগান ধ্বনীই তিনি জপ করতেন সারাক্ষণ। তৎকালীন এমএনএ প্রার্থী দেওয়ান ওবায়দুর রাজা চৌধুরী ও এমপিএ প্রার্থী আব্দুজ জহুরের পক্ষে বাজারে বাজারে পাড়া মহল্লায় অনুষ্ঠিত গণ সংযোগে নৌকার পক্ষে তরুন নিবেদিত কর্মী হিসেবে তিনি প্রচারাভিযানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭৩ ইং থেকে সম্প্রতি শেষ হওয়া একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সুনামগঞ্জ জেলার ৫টি আসনে দলীয় এমপি প্রার্থীদের পক্ষে একাধিক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বক্তৃতা দিয়ে অর্জন করেছেন যথেষ্ট সুনাম ও সুখ্যাতি। ৭৫ পরবর্তী কঠিন দু:সময়ে,৯০ এর এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে,৯১ সালে জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে,২০০১ সালে জামাত জোট সরকার বিরোধী আন্দোলনে,২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়নের আন্দোলনসহ সকল গণ আন্দোলনে তিনি সব সময়ই সুনামগঞ্জের রাজপথে সামনের সারীতে ছিলেন এবং এখনও আছেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করার পর হামলা মামলা জেল জুলুম হুলিয়ার কারণে মহকুমা সদর সুনামগঞ্জে আওয়ামীলীগ রাজনীতি বলতে গেলে বন্ধ থাকে। দলীয় কার্যালয়তো দূরে থাক এই সময়ে গোপনীয়ভাবে বসে অফিস করার মতো কোন জায়গা ছিলনা। সুনামগঞ্জ মহকুমা আওয়ামীলীগের এ ক্রান্তিলগ্নে বাবুল চৌধুরীর বাসভবনটিই ছিল আওয়ামীলীগের অঘোষিত কার্যালয়। এসময় আওয়ামীলীগ নেতাদের পাশাপাশি মহকুমা ছাত্রলীগের আহবায়ক পীর মতিউর রহমান তার নিজের হাতে পোস্টার লিখে দিতেন। এই পোস্টারগুলো দেয়ালে দেয়ালে সাঁটাতেন করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল,সুবীর তালুকদার বাপ্টু,সুদীপ কুমার ভদ্র কাঞ্চন,জয়ন্ত কুমার সেন শংকর,জসীম উদ্দিন ও ফারুক আহমদগং সহ তৎকালীন সময়ের সাড়াজাগানো ছাত্রলীগ নেতারা। এই সময় মহকুমা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কর্মকান্ডের প্রাণভ্রমরা ছিলেন এসব ছাত্রলীগ নেতারা। এছাড়াও আব্দুল হাই পীর ও শওকত আলীসহ আরো অনেকে দেয়াল লিখন,পোস্টার সাটানো,ব্যানার লিখনসহ সাংগঠনিক কর্মকান্ডে তাকে সহযোগীতা করতেন। তাদের সকলের চালিকাশক্তি ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মারুফ চৌধুরী,আমির হোসেন রেজা,সামাল মিয়া,শাহীন চৌধুরী,বশির আহমদ,কামরুজ্জামান দারা,ওয়েস আহমদ,রেঞ্জার পুত্র হেলাল আহমদ,প্রদীপ দাস,রাশেদ বখত নজরুল প্রমুখ। তারা ৭৫ এর পরে ছাত্রলীগকে পূণর্জাগরনে ভূমিকা রাখেন। এসব সিনিয়র নেতাদের প্রিয় ছাত্রলীগ কর্মী করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল ছাত্র রাজনীতির শুরুতে টিনের চুঙ্গা ফুকিয়ে সভা ডাকতেন। প্রত্যেকটি জনসভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি যেমন তার আস্থা ও বিশ্বাস জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কথা সাহসী সুন্দর কন্ঠে উপস্থাপন করে থাকেন তেমনি দলীয় নেতাকর্মীদেরকে তাদের প্রিয় কথাটিই শুনিয়ে থাকেন। সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলহাজ্ব আব্দুস সামাদ আজাদ ছাড়াও সুলতান মোহাম্মদ মনসুর,শরীফ শাহাবুদ্দিন,রায় রমেশসহ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের অনেক কেন্দ্রীয় নেতারা বিভিন্ন সময় তার বাসায় আতিথ্য গ্রহন করেছেন। বিরোধী দলের নেত্রী থাকাবস্থায় কেন্দ্রীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা যখনই সুনামগঞ্জ ও সিলেটে সভা সমাবেশ করেছেন তখনই নেত্রীর সফরসুচিকে বাস্তবায়ন করতে গ্রাম থেকে গ্রামাঞ্চলে সাংগঠনিক কর্মকান্ডে ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। এছাড়া ৯৬ সালের সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ৪ বারে ক্ষমতায় আসা শেখ হাসিনার সরকারের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত করেছেন তিনি। দলীয় প্রধান জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী,এমপি, কেন্দ্রীয় নেতা,বিভাগীয় পর্যায়ের রাজনীতিবিদ,জেলা থানা ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও গ্রাম পর্যায়ের নেতাকর্মীরা তাকে এক নামে চেনেন জানেন। বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের ৭১ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির মধ্যে অধিকাংশরাই সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন,জাসদ,বাসদ ও বাকশালের কর্মী ছিলেন। তাদের সকলের মধ্যে মধ্যে সরাসরি শেখ হাসিনার আদর্শিত মূলধারার একমাত্র ছাত্রলীগ নেতাই হচ্ছেন তিনি। ত্যাগ ও আদর্শের প্রশ্নে নীতির রাজনীতিতে আজীবন আপসহীন এই নেতা ২০০৮,২০১৪ ও ২০১৮ সালে আওয়ামীলীগের পার্লামেন্টারী বোর্ডের কাছে ৩ বার দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু কালো টাকার মালিক না হওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের এই প্রকৃত সৈনিককে মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ গ্রামগঞ্জের মুজিব আদর্শের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ও নৌকার সমর্থকরা মনে করেন,ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে সুনামগঞ্জ জেলায় যেসব নেতারা নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের অনেকের চাইতে সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য নির্ভরশীল নেতা হচ্ছেন করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। সুনামগঞ্জ ১ নির্বাচনী এলাকার সর্বাধিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র হচ্ছে বাদাঘাট ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে তার বাপদাদার বসত ভিটে। সেখানকার জনগনের দাবী বাবুলদা কে নৌকার মনোনয়ন দিন,পাশ করানোর দায়িত্ব আমাদের। প্রয়োজনে তার জন্য ১০ কোটি টাকা নির্বাচনী বাজেট ব্যয় করবে বাদাঘাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এমন মন্তব্যই করেছেন কয়েকজন আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন বিএনপির নেতাকর্মীরা বলেন,বাবুল দা একজন পরিচ্ছন্ন সৎ রাজনীতিবিদ তিনি হিন্দু না মুসলমান নাকি আওয়ামীলীগ বিএনপি সেটি বড় কথা নয় এরকম ত্যাগী নেতা যেদল থেকেই প্রার্থী হোননা কেন তাহিরপুর উপজেলার মানুষ তাকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করবে এ্টা চ্যালেঞ্জ করে দাবী করা যায়। আওয়ামীলীগ নেতাকর্মী সমর্থকরা বলেন,জীবনে তিনি এমপি,চেয়ারম্যান কোনটাই হননি। কিন্তু সাধারন মানুষের কাজ বলতে যা বুঝায় তা এমপি চেয়ারম্যান না হয়েও তিনি নিয়মিত করে যাচ্ছেন। তিনি মিথ্যা বলেননা এটাই তার যোগ্যতা,দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে ভাল পায় ভরসাস্থল মনে করে এটাই তার দক্ষতা। তিনি কারো আমানত খেয়ানত করেননি আওয়ামীলীগ বিএনপি সকলেই তাকে চেনে জানে ও বিশ্বাস করে এটাই তার জনপ্রিয়তা। স্থানীয় একজন সাংবাদিক বলেন,সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের নৌকার মাঝি হতে চান শেখ হাসিনার অতি বিশ^স্ত ভ্যানগার্ড র্নিলোভ পরিচ্ছন্ন ও ত্যাগী নেতা করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। করুণা শব্দের অর্থ হচ্ছে দয়া আর স্ন্ধিু শব্দের অর্থ হচ্ছে সাগর মানে দয়ার সাগর এই আক্ষরিক অর্থেই ছোটবেলা তার পিতামাতা নাম রেখেছিলেন করুণা সিন্ধু চৌধুরী ডাক নাম বাবলু হিসেবে। উপজেলার বৈলনপুর গ্রামে একটি সম্রান্ত হিন্দু জমিদার পরিবারে পিতা স্বর্গীয় কৌশিক চৌধুরী ও মাতা প্রীতি চৌধুরীর ঘর আলোকিত করে জন্মগ্রহন করেন এই করুণা। তিনভাই ও দুইবোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি জেলার কোন অসহায় মানুষজন কোন কাজ নিয়ে তার কাছে গেলে তিনি তার সাধ্যমতো পকেটের টাকা খরচ করে উপকার করার চেষ্টা করেছেন। তিনি একজন স্বজ্জন,র্নিলোভ,পরিচ্ছন্ন ,ত্যাগী ও সৎ নেতা হিসেবে জেলাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। সদা হাস্যজ্জল এই মানুষটি বিনয়ের সাথে তার আচার আচরণ ও চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ দিয়ে তার আদর্শিক অভিরাম রাজনৈতিক পথচলা শুধুমাত্রই মানুষের কল্যাণে । ফলে একজন সুবক্তা করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে প্রতিটি দিন ও ক্ষণ শুধুমাত্র মানুষের পাশে থেকেই নিরলসভাবে কাজ চালিয়ে যাওয়াই তার একান্ত প্রচেষ্টা। দীর্ঘকাল ধরে তার প্রাণের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত তিনি ইচ্ছে করলে অনেক টাকাকড়ি কামাতে পারতেন কিন্তু তিনি তার দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর্শিক একজন রাজনৈতিক ভ্যানগার্ড হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম ও বিশাল কর্মীবাহিনীদের নিয়ে পথচলায় আজ তিনি নিঃস্ব। পৈত্রিক সম্পত্তির উপার্জন থেকে টাকা এনে সংগঠনের পেছনে ও অসহায় মানুষজনের কল্যাণে ব্যায় করতে দেখা গেছে।কিন্তু তিনি কখনো পথভ্রষ্ট হয়ে টাকার পাহাড় গড়ার স্বপ্নেঁ বিভোর হননি,বরং তিনি আদর্শিক একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে জেলাবাসীর হৃদয়ে জায়গা করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত আগামী মার্চে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে করুণ সিন্ধু চৌধুরী বাবুল সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চাইছেন তৃনমূল আ,লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের জনসাধারনে দাবীর প্রেক্ষিতে। এর আগে তিনি সুনামগঞ্জ ১আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ থেকে তিন তিন বার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন যদিও মনোনয়ন পাননি তবে থেমে থাকেন নি তিনি । শেখ হাসিনার একজন নিবেদিত ভ্যানগার্ড হিসেবে এই বাবুল নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে বিরামহীনভাবে ছুটে বেরিয়েছেন গ্রাম থেকে গ্রামান্তরের সাধারন মানুষের কাছে ফলে সম্প্রতি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীদের বিজয়ে তার ভূমিকা ছিল অবিস্মরনীয়। তিনি প্রতিটি মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন সম্প্রতি জাতীয় নির্বাচনের নির্বাচনী প্রতিটি প্রচার প্রচারনায়। সাধারণ মানুষের সমর্থনে নিয়ে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জনমত জরিপে অনেক অনেক এগিয়ে আছেন এই ত্যাগী ও নিবেদিত কর্মীবান্ধব নেতা শেখ হাসিনার আর্দশের ভ্যানগার্ড কুরনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল। তাহিরপুর উপজেলাবাসীর বিভিন্ন জনের সাথে কথা বলে জানা যায় জনপ্রিয় জননেতা করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুলকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে যদি দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয় তাহলে তৃনমূলে কারো মধ্যে কোন দ্বিধাদ্বন্ধ থাকবে না বরং তিনি প্রার্থী হলে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে বলে সর্বমহলে আলোচিত হচ্ছে। কারন জনপ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল সম্পর্কে তার অতিথি কর্মকান্ড গুলো সবার জানা। দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ প্রয়োজন। করুনাসিন্ধু চৌধুরী বাবুল মুজিবাদর্শের এমনই একজন খাটি সোনার মানুষ যিনি তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হলে ঐ উপজেলা ছাড়াও সুনামগঞ্জ জেলাবাসী সবচেয়ে বেশী উন্নয়নমুখী ও উপকৃত হবেন মলে অনেকে মনে করেন।