1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

এমপি মানিকের কল্যাণে সরকারের সামাজিক সুরক্ষার সুষম বরাদ্দে খুশি জনগণ

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১.২০ পিএম
  • ১৫৩ বার পড়া হয়েছে

আনিনুল ইসলাম আজির, ছাতকঃ
৭৫ পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২৩বছর পর রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পায় আওয়ামীলীগ। এসময় বঙ্গবন্ধুর তনয়া শেখ হাসিনার কল্যাণধর্মী পরিকল্পনায় দেশে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনী কর্মসুচী গ্রহন করে বিভিন্ন ধরনের ভাতা পদ্ধতি চালু করে সরকার। যার উদ্দেশ্য ছিলো কর্মক্ষম, অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে সহায়তা প্রদান। এরই অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছিলো মুক্তিযোদ্ধা, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা। দেশের ন্যায় সুনামগঞ্জ-৫ নির্বাচনী আসনের জন সাধারনকে এসব ভাতার আওতায় আনে উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ। ২০০৮ ও ২০১৪ সালে আবারো দেশবাসীর সেবা করার সুযোগ পায় আওয়ামীলীগ। এখানে বৃদ্ধি পায় সব ধরনের ভাতাভোগী, কিডনী, ক্যানসার ও হার্টের মতো জটিল রোগীদের রোগী কল্যাণ তহবিলের অর্থ সহয়তা প্রাপ্তদের সংখ্যা। বিশেষ করে এমপি মানিকের দুর্দর্শী নেতৃত্বে ছাতকে গত ১০বছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা যেমন বৃদ্ধি পেয়েছে তেমনি সরকারও বাড়িয়েছে ভাতার পরিমান। ১৯৯৬সালে সংসদ সদস্য থাকাকালেও প্রকৃত সুবিধাভোগী নির্বাচন করে ছাতকে এই কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন তিনি।২০০৭-২০০৮ অর্থ বছরের পুর্বে এখানে বয়স্ক ভাতাভোগী ছিলেন ৫হাজার ৮শ’জন গত ১০বছরে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ৯হাজার ৬শ’ ২১জনে। ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত ভাতার পরিমান ছিলো জনপ্রতি মাসিক ৩শ’ টাকা, বর্তমানে বৃদ্ধি করা হয়েছে ৫শ’ টাকায়। বিধবা এবং স্বামী নিগৃহীতা ভাতাভোগী ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত ছিলেন ১হাজার ৯শ’ ২০জন ও ভাতার পরিমান ৩শ’ টাকা। বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়ে ২হাজার ৬শ’ ১৩জনকে প্রদান করা হচ্ছে ৫শ’ টাকা করে। ভাতাভোগী সুবিধার আওতায় ২০০৮সাল পর্যন্ত অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধির সংখ্যা ছিলো ১হাজার ৫০জন, মাসিক ভাতার পরিমান ৩শ’ টাকা, বর্তমানে মাসিক ৫শ’ টাকা হারে এ সুবিধা ভোগ করছেন ২হাজার ২শ’ ১৯জন। ২০০৭-২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত প্রতিবন্ধি শিক্ষা উপবৃত্তি ভোগী ৬১জন শিক্ষার্থীকে শ্রেনীভেদে মাসিকহারে ৩শ’ ৫০টাকা, ৪শ’ ৫০টাকা, ৫শ’ টাকা প্রদান করা হতো। বর্তমানে বৃদ্ধি পেয়ে এ সুবিধা ভোগীর সংখ্যা ১শ’ ৩১জনে উন্নীত ও টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে যথাক্রমে প্রাথমিকে ৫শ’ টাকা, মাধ্যমিকে ৬শ’ টাকা, উচ্চ মাধ্যমিকে ৭শ’ টাকা ও উচ্চতর স্তরে ১২শ’ টাকা। বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর বিশেষ ভাতা কোনো সময়ই চালু ছিলোনা। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৪৮জনকে এ সুবিধার আওতায় এনে জনপ্রতি মাসিকহারে ৫শ’ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। একইভাবে বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর শিক্ষা ভাতা ১ম বারের মতো প্রাথমিক স্তরে চালু করে ১০জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হচ্ছে মাসিকহারে ৫শ’ টাকা করে। হিজড়া জনগোষ্ঠীও কোন সময় ভাতা সুবিধার আওতায় ছিলোনা। ২০০৯ সাল থেকে ১ম বারের মতো এ ভাতা চালু করে ১২জন হিজড়াকে জনপ্রতি মাসিকহারে ৫শ’ টাকা সহায়তা দেয়া হচ্ছে।২০০৭-২০০৮ অর্থ বছর পর্যন্ত ৩শ’ ৬৫জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মানী ভাতা মাসিক ২হাজার টাকা করে প্রদান করা হতো। ২০০৯সাল থেকে এ সংখ্যা বৃদ্ধি করায় ৪শ’ ৮০জনকে জনপ্রতি মাসিক ১০হাজার টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে। কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ২০০৭-২০০৮ সাল পর্যন্ত সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করা হয়েছিল ৪৪লাখ ১৭হাজার ২শ’ ৫৫টাকা। ২০০৯সাল থেকে এ পর্যন্ত এর পরিমান বৃদ্ধি পেয়েছে ১কোটি ১লাখ ১৭হাজার ২শ’ ৫৫টাকায়। দগ্ধ ও প্রতিবন্ধিদের মাঝে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ ২০০৭-২০০৮সাল পর্যন্ত ছিলো ৮লাখ, যা বৃদ্ধি করে বিতরণ করা হয়েছে ১৬লাখ ১হাজার ৮শ’ ৩৭টাকা। চন্দ সম্প্রদায় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে আগে কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ছিলো না, নতুনভাবে এ পদ্ধতি চালু করায় ৪টি ট্রেডে ৮০জন ওস্তাদ ও ১৬০জন সাগরেদকে ৬মাসব্যাপী হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। প্রশিক্ষণকালে ৮০জন ওস্তাদকে জনপ্রতি মাসিক ৮শ’ টাকা হারে ও ১৬০জন সাগরেদকে জনপ্রতি মাসিকহারে ১হাজার ৬শ’ ৬৭টাকা সম্মানী ও মজুরী ভাতা দেয়া হয়েছে। ১ম বারের মতো ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রম চালু করে ৯জন ভিক্ষুককে জনপ্রতি মাসিকহারে ১হাজার ৫শ’ টাকা প্রদান করছে সরকার। এছাড়াও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের অন্যান্য আর্থিক সুবিধা তো রয়েছেই। ইউনিয়ন ও জনগোষ্ঠী হিসেব কষে একই ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার লোকজনও।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!