আমিনুল ইসলাম আজির, ছাতক
২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের ইশতেহারে দেশবাসীকে ১০টাকা কেজি ধরে চাল খাওয়ানোর ঘোষণা দিয়েছিলো দলটি। প্রতিশ্রুতির প্রতি আস্থা রেখে দেশের জন সাধারন নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে রাষ্ট্রসেবার সুযোগ দেয় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসুরী শেখ হাসিনাকে। ১০টাকা কেজিতে চাল দেয়ার ইশতেহার বাস্তবায়নে ছাতক-দোয়ারাবাসীও আওয়ামীলীগের প্রার্থী মুহিবুর রহমান মানিককে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে। নিজ এলাকার লোকজন যাতে বেশী করে ১০টাকা কেজির চাল পায়, এজন্যে জাতীয় সংসদে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখেন মুহিবুর রহমান মানিক এমপি। ছাতক-দোয়ারায় বৃদ্ধি পায় সুবিধাভোগীর সংখ্যা। ছাতক উপজেলা খাদ্য বিভাগ এখানের কার্ডধারী ১৪হাজার ৫১জন মানুষকে ১০টাকা কেজিতে জনপ্রতি মাসে ৩০কেজি চাল তুলে দিতে সক্ষম হয়। গত বন্যা ও প্রাকৃতিক দর্যোগ মোকাবেলা ও নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট লাঘবে ১টি পৌরসভা ও ১৩টি ইউনিয়নে ১৪জন ওএমএস ডিলার নিয়োগ দিয়ে প্রতি মাসে প্রায় ন্যায্য মুল্যে (বাজারের চেয়ে অর্ধেক মুল্য) ২হাজার ৫শ’ ১৫ মে.টন চাল বিক্রি করা হয়েছে, যা ২০০৯-২০১০সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিলো ৩০৬মে.টন। ২০০৯-২০১০ পর্যন্ত যেখানে ভিজিএফ( বিনামুল্যে সহায়তা প্রদান) বিতরণ করা হয় ২৯৯ থেকে ৩৫০মে.টন, ২০১৭-২০১৮ পর্যন্ত তা বৃদ্ধি হয়েছে ৪হাজার ১শ’ ৯৭মে.টন। এছাড়া ২০১৭ সালে ১৩ মাস যাবৎ বন্যায় ফসল হারা প্রায় ১৫হাজার পরিবারকে প্রতি মাসে নগদ ৫শ’ টাকা ও ৩০কেজি করে চাল প্রদান করা হয়। ২০০৯-২০১০ সালে ভিজিডি(একটি পরিবারকে টানা দুই বছর প্রতি মাসে ৩০কেজি করে বিনামুল্যে চাল প্রদান) দেয়া হতো ১৯৫মে.টন, বৃদ্ধি পেয়ে ২০১৮সাল পর্যন্ত ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয় ৫১৪.৮০০মেট্রিকটন। সুবিধা কৃষকেরা যাতে উপযুক্ত দাম পান এজন্যে সরকারীভাবে বাজার মুল্য নির্ধারণ করে ধান ক্রয় সরকারের দায়িত্ব গ্রহনের আগে যেখানে ছিলো ৫৩০মে.টন। সেখানে গত ১০বছরে তা বেড়ে সংগ্রহের পরিমান দাড়িয়েছে ২হাজার ৪শ’মে.টন। পন্য পরিমাপে দ্রুততা ও শতভাগ সঠিক ওজন নিরূপনে প্রথম বারের চালু করা হয় ডিজিটাল স্কেলের ব্যবস্থা। মানুষকে সরকার প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধায় বিলি বিতরণ স্বচ্ছ ও সহজতর এবং শ্রমিকদের বহন ক্ষমতা বিবেচনা করার লক্ষ্যে প্রচলন করা হয় ৩০কেজির বস্তা। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে অফিস আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে কম্পিউটার, প্রিন্টার ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরবরাহ। অসাধু মহল কর্তৃক নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মুল্য বাড়িয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ও খাদ্য মজুদ ব্যবস্থাপনাকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্যে খাদ্য শস্য লাইসেন্স প্রথা চালু। মজুদ ব্যবস্থাপনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সারা দেশের ন্যায় এখানে ৫শ’মে.টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন ১টি খাদ্য গু দাম নির্মানাধীন রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, যেকোন এলাকার চেয়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলা ও দারিদ্র-অসহায় পরিবারকে সহায়তা প্রদানে বেশী সুবিধার আওতায় এসেছেন এখানের লোকজন। সংসদে এমপি মুহিবুর রহমান মানিকের সোচ্চার ভুমিকার ফলেই ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে এ সুবিধা প্রদান সম্ভব হয়েছে। জনগোষ্ঠী অনুপাতে একই সুবিধা ভোগ করেছেন দোয়ারাবাজার উপজেলার লোকজনও।