1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

ইমেইজ সংকটে জমিয়ত নেতা মাওলানা পাশা

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১.১২ এএম
  • ২১২ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি ::
লন্ডনপ্রবাসী অধ্যুষিত সুনামগঞ্জ-৩ (জগন্নাথপুর-দক্ষিণ সুনামগঞ্জ) আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী এখন ইমেইজ সংকটে ভোগছেন। গত মঙ্গলবার আবাসন প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির একদিন পর বাদীর বামলার অভিযোগ মেনে নিয়ে তিনি তার অনুকুলে ১০ লাখ টাকার চেক আদালতে জমা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। সচেতন ভোটার ও আইনজ্ঞরা বলছেন মামলার প্রেক্ষিতে বাদীর অভিযোগ মেনে নেওয়া অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ার সমার্থক। এদিকে এ ঘটনার পর তার নির্বাচনী এলাকায় সুধী সমাজের মধ্যেও মিশ্র প্রত্রিক্রিয়া লক্ষ্য করা গেছে। তারাও তার নানাভাবে অন্যান্য বিষয়েরও সমালোচনা করছেন।
মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (মুফতি ওয়াক্কাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি। গত চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি এই আসনে জাতীয় নেতা আব্দুস সামাদ আজাদ মারা গেলে উপ নির্বাচনে ২ বছরের জন্য এমপি নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন বর্জন করেছিল আওয়ামী লীগ। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে বিপুল ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এবারও বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাকে এই আসনে মনোনয়ন দিলেও এখনো বিএনপির নেতাকর্মীরা তার থেকে দূরে রয়েছেন। ঐক্যবদ্ধ বিএনপিকে প্রচারণায় লক্ষ্য করা যাচ্ছেনা। বিএনপি নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক মাঠে না থাকা নিয়ে তার সমালোচনা করেছেন।
এদিকে এলাকার ভোটার ও সচেতন লোকজনও মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর বিভিন্ন কাজে অনিয়ম দুর্নীতির সমালোচনা করেছেন। সিলেটে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরী নিয়মিত শিক্ষকদের বেতন-ভাতা না দিয়ে তাদের খাটিয়ে বিদায় করার একাধিক অভিযোগ আছে। সম্প্রতি কলকলি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান একটি সভায় বক্তব্য দিয়েছেন চারদলীয় জোট সরকারের সময়ে তিনি বিদ্যুতের জন্য মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীকে ঘুষ দিয়েছিলেন। তাছাড়া রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার নামে তিনি লন্ডন থেকে মোটা অংকের টাকা এনে নয়ছয় করেছেন এমন একাধিক অভিযোগ আছে। এ নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় লেখালেখিও হয়েছে।
তবে সম্প্রতি ভোটের মাঠে হেচৈ পড়েছে লন্ডনপ্রবাসীর কাছ থেকে ৩২ লাখ টাকা আবাসন ব্যবসার নামে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগটি। লন্ডনে পরিচয়ের সুবাদে ঢাকা বনানী এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী তালুকদারের কাছ থেকে ৩২ লাখ ২০ হাজার টাকা বিভিন্ন সময়ে মাতৃভূমি হাউজিং ডেভেলপমেন্ট কম্পানিতে পরিচালক করার নামে এই টাকা আনেন। এক পর্যায়ে তাকে না জানিয়েই আবাসন কম্পানিটি বিক্রি করে দেন পাশা। ব্যবসায়ী তার টাকা ফেরত চাইলেও কিছু টাকা দেওয়ার পর তিনি অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় গত ১৩ ডিসেম্বর সিলেট সিএমএম আদালতে প্রতারণার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন মোহাম্মদ আলী। এ ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলার পরই নির্বাচনী মাঠ থেকে গ্রেপ্তার আতঙ্কে আতœগোপনে গিয়ে তিনি পরদিন ১৯ ডিসেম্বর বাদীর অনুকুলে ১০ লাখ টাকার চেক আদালতে দাখিল করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার মামলার চেক যাছাই বাছাই করে বাদীকে তার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দেওয়ার স্বার্থে জামিন মঞ্জুর করেন। তবে এ ঘটনাকে মাওলান পাশা রাজনৈতিকভাবে হয়রানি হিসেবে ভোটারদের বলতে চাইলেও সচেতন ভোটার ও আইনজ্ঞরা বলছেন শাহীনুর পাশা দোষী বলেই ১০ লাখ টাকার চেক বাদীর অনুকুলে জমা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। এতে প্রমাণিত হয়েছে তিনি বাদীর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন। তাই টাকা জমা দিয়ে জামিন নিয়েছেন।
সিলেটে অবস্থানরত মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এক শিক্ষিকার ভাই রাফি বলেন, আমার বোন কয়েক বছর মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেছেন প্রভাষক হিসেবে। তিনি কখনো নিয়মিত বেতন দেননি। দীর্ঘদিন বেতন না দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমার এক সাংবাদিক বড় ভাইকে জানালে তিনি ফোন করে মাওলানা পাশাকে ফোন করার পর তিনি কিছু বেতন দিতে বাধ্য হন। আরো পাওনা বেতন না নিয়েই আমার বোন চাকুরি ছেড়ে চলে আসেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগ নেতা সালেহ আহমদ বলেন, মাওলানা শাহীনুর পাশা একজন সমালোচিত ব্যক্তি। তিনি অপরাধী বলেই মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর বাদীর অনুকুলে আদালতে টাকা জমা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। তিনি অপরাধী না হলে এটা করতেন না। এখন এই মামলা ও ঘটনাকে রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করে ফায়দা নিতে চাচ্ছেন তিনি। কিন্তু সচেতন জনগণ তাকে প্রতারক হিসেবে বিবেচনা করছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা যুবকমা-ের সভাপতি ওবায়দুর রহমান কুবাদ বলেন, রোহিঙ্গাদের সহযোগিতার নামে মোটা অংকের টাকা লন্ডন থেকে এনেছিলেন তিনি। এই টাকাও নয়ছয় হয়েছে বলে লেখালেখি হয়েছে। একজন মাওলানার কাছে এমন প্রতারণা আমরা আশা করিনা।
সিলেট বারের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট শহীদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, গত বুধবার মাওলানা শাহীনুর পাশা ১০ লাখ টাকার একটি চেক আদালতে দিয়েছেন বাদীর অনুকুলে। এ থেকেই প্রমাণিত হয় বাদির অভিযোগটি সত্য এবং তিনি দোষী। না হলে তিনি কেন আদালতে বাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১০ লক্ষ টাকা দিবেন।
মাওলানা শাহীনুর পাশা চৌধুরীর মোবাইল ফোনে এই প্রতিবেদক একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি। তবে গত বুধবার জামিন নিয়ে সন্ধ্যায় তিনি রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ইছগাও এলাকায় নির্বাচনী সভায় বলেছেন, মামলাটি ষড়যন্ত্রমূলক। তাকে ভোটের মাঠে সমালোচিত করতেই এই মামলা করা হয়েছে। তিনি ভোটারদেরকে ৩০ তারিখ এই ষড়যন্ত্রের জবাব দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!