আমিনুল ইসলাম আজির, ছাতকঃ
ছাতকে গ্রামীন অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কাঁচা-পাকা সড়ক নির্মাণ ও রক্ষনাবেক্ষন, ব্রীজ, কালভার্ট নির্মাণ, বিদ্যালয় ও ইউপি কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ অন্য যেকোন সময়ের তুলনায় প্রশংসনীয়। সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রাণপন চেষ্টা অব্যাহত থাকায় এখানে পর্যাপ্ত সরকারী বরাদ্দ এসেছে। সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনায় টানা ১০ বছর সংসদ সদস্য থাকার সুবাধে ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার আমুল পরিবর্তনে এমপি মানিক সক্ষম হয়েছেন বলে মনে করছেন উন্নয়ন প্রত্যাশী মহল । গত ১০বছরে ছাতকে ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আধুনিক নতুন ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫৮কোটি ৮৯লাখ টাকা। ২টি নির্মাণাধীনসহ ইউনিয়ন পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন ৬টিতে ব্যয় হয়েছে ৪কোটি ২৭লাখ টাকা। ৩টি হাটবাজার ও গোথ সেন্টার উন্নয়ন সাধিত হয়েছে ২কোটি ১লাখ টাকায়। ৫৭.২০কিলোমিটার পল্লী সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ৩৭কোটি ২৮লাখ টাকা। ১০কোটি ৩৭লাখ টাকা ব্যয়ে পল্লী সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়েছে ৪৯.৩০কিলোমিটার। নির্মাণাধীন ১টি মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২কোটি ৭১লাখ টাকা। ৬৩লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ৭টি মুক্তিযোদ্ধা বাসস্থান। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে শিখা সতের নির্মিত হয়েছে ২০লাখ টাকা ব্যয়ে। ৫টি ক্ষুদ্রকার পানি সম্পদ উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ১৩কোটি ৮৩লাখ টাকা। ৪০কিলোমিটার উপজেলা সড়কে উন্নয়ন হয়েছে ১৩কোটি ৮২লাখ টাকার। ইউনিয়ন সড়ক ১০.৫০কিলোমিটার উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ৩কোটি ১২লাখ টাকা। ১৯.৫০কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক উন্নয়নে ব্যয় হয়েছে ১৪কোটি ৮৭লাখ টাকা। উপজেলা সড়কে ১২৭.০০মিটার ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৪কোটি ৬৫লাখ টাকা। বৈঠাখালী নদীসহ বেশ ক’কটি বৃহৎ ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে কয়েক কোটি টাকা। ইউনিয়ন সড়কে ৩৪০.০০মিটার ব্রীজ নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১৫কোটি ২২লাখ টাকা। গ্রামীণ সড়কে ৪৪.০০মিটার ব্রীজ নির্মিত হয়েছে ২কোটি ২০লাখ টাকা ব্যয়ে। উপজেলার ৫২৪টি এডিপি খাতে উন্নয়ন হয়েছে ৬কোটি ৪৫লাখ টাকার। ৩৬০টি উন্নয়ন খাতে ব্যয় হয়েছে ৬কোটি ৫২লাখ টাকা। হিলিপ প্রকল্পের মাধ্যমে সমিতি গঠন করে ১৪টি জলমহালে ৩৫৫জন সদস্য ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছেন। জলমহালের মধ্যে ১২টির সংস্কার কাজ করাসহ আরো ৬টি জলমহাল রয়েছে সংস্কার প্রক্রিয়াধীন। ইউনিয়ন, জনসংখ্যা ও চাহিদা অনুপাতে একই ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে দোয়ারাবাজার উপজেলায়ও। ## আমিনুল ইসলাম আজির, ছাতক, সুনামগঞ্জ।