1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৩ অপরাহ্ন

ছাতকের শিশু ইমন হত্যা মামলার সাক্ষ্য দিলেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২.৩৫ পিএম
  • ১১৯ বার পড়া হয়েছে

সিলেট প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার জামায়াত নেতা কর্তৃক চাঞ্চল্যকর শিশু ইমন হত্যা মামলায় এবার সাক্ষ্য দিলেন দুই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সিলেটের দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিমের আদালতে তারা সাক্ষ্য দেন।
সাক্ষ্যকালে দুই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডের আগে ও পরে মুক্তিপণ আদায়, লাশের হাড়গুর উদ্ধার, আসামি গ্রেপ্তার ও জবানবন্দী গ্রহণসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
সাক্ষ্যদানকারী কর্মকর্তারা হলেন, সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশের তখনকার এসআই ও বর্তমানে টুরিস্ট পুলিশ জাফলং সাবজোনের পুলিশ পরিদর্শক দেবাংশু কুমার দে ও ছাতক থানার তখনকার এসআই বর্তমানে সুনামগঞ্জের পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ।
এর আগে ৪ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট (সার্জন) ডা. বিশ্বজিত গোলদার। ইতিমধ্যে হবিগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক মোহাম্মদ শহীদুল আমিন ও সুনামগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শ্যাম কান্ত সিনহাও সাক্ষ্য দিয়েছেন।
আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল হাই জানান, মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বৃহস্পতিবার দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিয়েছেন। এর মধ্যে আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদের শুধু জেরা অসম্পূর্ণ রয়েছে। পরবর্তী তারিখ ৭ জানুয়ারি তার জেরা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাক্ষ্য প্রদানকালে পুলিশ পরিদর্শক দেবাংশু কুমার দে উল্লেখ করেন, ছাতক থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদ ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে তিনি মুক্তিপণের টাকা যেসব বিকাশ নাম্বারে নেওয়া হয়েছে তা সনাক্ত, এজেন্টকে জিজ্ঞাসাবাদসহ বিভিন্ন বিষয়ে তদন্ত করেন। ২০১৬ সালের ৩০ জুন তিনি আদালতে একই ধারায় সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। আদালতে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী তাকে জেরাও করেন।
মামলার মূল তদন্তকারী কর্মকর্তা আহমদ মঞ্জুর মোর্শেদ আসামিদের গ্রেপ্তার, বিভিন্ন আলামত জব্দ, লাশের অংশ বিশেষ উদ্ধার ও ডিএনএ পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দীর্ঘ সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকেও জেরা করেন। তবে বৃহস্পতিবার তার জেরা সম্পন্ন হয়নি।
প্রসঙ্গত, ছাতক উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের বাতিরকান্দি গ্রামের সৌদি প্রবাসী জহুর আলীর ছেলে ও লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট কারখানার কমিউনিটি বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণির ছাত্র মোস্তাফিজুর রহমান ইমনকে ২০১৫ সালের ২৭ মার্চ অপহরণ করা হয়। পরে মুক্তিপণের টাকা পাওয়ার পরও অপহরণকারীরা শিশু ইমনকে হত্যা করে। ৮ এপ্রিল মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সিলেটের কদমতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে শিশু ইমনের হত্যাকারী ঘাতক ইমাম সুয়েবুর রহমান সুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইমাম জামায়াতের সক্রিয় নেতা।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!