আমিনুল ইসলাম আজির, ছাতক::
শেখ হাসিনার দুরদর্শী নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারের ১০বছরে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে ছাতকের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাক্ষেত্রে। ১৯৯৬সালে ১ম বারের মতো এখান থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে সুনামগঞ্জ-৫ আসনে পরিকল্পিত উন্নয়নের শুভ সুচনা করেন এমপি মানিক। ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও টানা দূ’মেয়াদে সুনামগঞ্জ-৫ (ছাতক-দোয়ারাবাজার) আসন থেকে ফের টানা ১০বছর জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মুহিবুর রহমান মানিক। এ সময়ে এমপি মানিকের দুরদর্শী পরিকল্পনায়ই এ অর্জন সম্ভব হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষক মহল। শুধু ছাতক উপজেলায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় প্রায় ৩১কোটি টাকার উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।সুনামগঞ্জ-৫ আসনের উন্নয়ন বিবেচনায় মুহিবুর রহমান মানিক অপ্রতিদ্বন্ধী। কলেজ-হাইস্কুল ও মাদ্রাসা শিক্ষার দৃশ্যমাণ উন্নয়ন হচ্ছে, ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ছাতক সরকারি ডিগ্রী কলেজে ছাত্র মিলনায়তন ভবন, ১কোটি ৯০লাখ টাকা ব্যয়ে গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি ডিগ্রি কলেজে নির্মিত হয়েছে ২টি একাডেমিক ভবন, ১৮লাখ ১৩হাজার ৪শ’ টাকা ব্যয়ে মঈনপুর জনতা মহাবিদ্যালয়ে হয়েছে মেরামত-সংস্কার ও সোলার প্যানেল নির্মাণ, জাউয়াবাজার কলেজে করা হয়েছে ২টি ভবন নির্মাণ, আসবাবপত্র তৈরি, মেরামত সংস্কার ও সোলার প্যানেল স্থাপন করা হয়েছে ৩কোটি ১২লাখ ৮১হাজার ৯শ’ ৯৯ টাকা ব্যয়, ৮০লাখ টাকায় ২টি ভবন নির্মাণ করা হয়েছে ঝিগলী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, সমতা স্কুল ও কলেজে ১টি ভবন(আংশিক) নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ টাকা, ৭ লাখ ৭০ হাজা টাকা ব্যয়ে বাংলাবাজার সামারুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে ১টি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে, উত্তর সুরমা আজমত আলী স্কুল ও কলেজে ১টি ভবন নির্মাণ ও সংস্কার কাজ ব্যয় হয়েছে ৫ লাখ টাকা। ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে ছাতক সরকারি বহুমুখী মডেল হাইস্কুলে নির্মিত হয়েছে ২টি ভবন, ছাতক চন্দ্রনাথ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা, গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২টি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা, ১ কোটি ২৮ লাখ টাকায় ২টি ভবন নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজ করা হয়েছে পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে, নতুন বাজার(ধারন) বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি ভবন নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার কাজে ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, ৫৩ লাখ টাকা ব্যয়ে মুনিরজ্ঞাতি উচ্চ বিদ্যালয়ে সম্পন্ন হয়েছে মেরামত ও সংস্কার কাজ,খুরমা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৫ লাখ টাকা, শুকুরুন্নেছা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৫ লাখ টাকা, হাজি কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৫ লাখ টাকা, আনুজানি জন কল্যান উচ্চ বিদ্যালয়ে ১১ লাখ টাকা ও মঈনপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ৯ লাখ টাকা নির্মিত হয়েছে ১টি করে ভবন, ছাতক ইউনিয়ন এসইএসডিপি মডেল হাইস্কুলে ভবন নির্মাণ, আসবাবপত্র, বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি ও খেলাধুলা সামগ্রী বাবত ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা, ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে চরমহল্লাবাজার উচ্চ বিদ্যালয়, ৬১ লাখ ১৯ হাজার ৬শ’ ৭৬ টাকা ব্যয়ে হায়দরপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ৭৫ লাখ টাকায় সিবিপি (চেচান) উচ্চ বিদ্যালয়ে ১টি করে ভবন, ১কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার টাকায় ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি ভবন নির্মিত হয়েছে, ১টি ভবন ও ওয়াশরুম ব্লক নির্মিত হয়েছে হাজি আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭৯ লাখ টাকা ব্যয়ে, ৫০ হাজার টাকায় আসবাবপত্র মেরামত করা হয়েছে পালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে, জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হয়েছে ১টি ভবন, ৭৫ লাখ টাকায় মোগলগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ে নির্মিত হয়েছে ১টি ভবন, ৪লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে আলহাজ্ব আয়াজুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে, ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ছাতক জালালিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণের পর আবারো বরাদ্দ দেয়া হয়েছে উদ্ধমুখী সম্প্রসারণ কাজের, ৪ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে পালপুর আলিম মাদ্রাসায় ৩টি ভবন, ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে খরিদিচর আলিম মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণসহ পুরাতন ভবন সংস্কার করা হয়েছে, ৬৫লাখ টাকা ব্যয়ে সিংচাপইড় আলিম মাদ্রাসায় নির্মিত হয়েছে ১টি ভবন, গোবিন্দগঞ্জ মাদ্রাসায় মেরামত ও সংস্কার কাজ হয়েছে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে, নুরুল্লাপুর দাখিল মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৭৫ লাখ টাকা, পুরো ও আধাপাকা ২টি ভবন তৈরী করা হয়েছে জাহিদপুর দাখিল মাদ্রাসায়, এছাড়াও হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয়, নতুনবাজার(ধারন) বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়, হাজি আব্দুল খালিক উচ্চ বিদ্যালয় ও গোবিন্দগঞ্জ আব্দুল হক স্মৃতি কলেজ স্থাপিত হয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব, ৪৫টি হাইস্কুল ও দাখিল মাদ্রাসায় মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম, সরকারি করন করা হয়েছে ছাতক ডিগ্রি কলেজ ও ছাতক বহুমুখী মডেল হাইস্কুল, বছরের ১ম জানুয়ারি হাইস্কুল, দাখিল ও এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৪৪ লাখ ৫৮ হাজার ১শ’ ৮৯ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বিনামুল্যে বই, ২০১৫ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তরের ৯৭জন শিক্ষক/কর্মচারীকে নেয়া হয়েছে এমপিওভুক্তির আওতায়, হাইস্কুল ও দাখিল মাদ্রাসার ৫৮ হাজার ৪শ’ ৭৮জন শিক্ষার্থীকে পেয়েছেন উপবৃত্তি, সেকায়েপ কর্তৃক আইসিটি অনুদান পেয়েছে ৬৪টি হাইস্কুল ও দাখিল মাদ্রাসা, উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ৪হাজার,২৮জন শিক্ষার্থীকে দেয়া হয়েছে উপবৃত্তি, সেকায়েপ কর্তৃক পিটিএ অনুদান পেয়েছে ৬৪টি হাইস্কুল ও দাখিল মাদ্রাসা, পাঠ্যাভ্যাস উন্নয়ন কর্মসুচীর সুবিধা পেয়েছে ৬৪টি হাইস্কুল ও মাদ্রাসা, ও স্নাতক এবং সমমান পর্যায়ের ১হাজার ৩শ’ ১৫জন শিক্ষার্থী পেয়েছেন উপবৃত্তি। ৯০লাখ টাকা ব্যয়ে ৪তলা ফাউন্ডেশন সমৃদ্ধ দ্বিতল আইসিটি ট্রেনিং ও রিসোর্স সেন্টার ফর এডুকেশন (যা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস) ভবন। এ ভবনে রয়েছে ২৪টি কম্পিউটার সম্বলিত ল্যাব। এখান থেকে এ পর্যন্ত ৯৩৬জন শিক্ষককে দেয়া হয়েছে আইসিটি প্রশিক্ষণ।