দিরাই-শাল্লা, প্রতিনিধি ঃ- সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তাকে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন না দেয়ার জন্য দলের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরে লিখিত ভাবে দাবি জানিয়েছেন এ আসন থেকে দলের মনোয়ন প্রত্যাশী ও জেলা কমিটির নেতারা। বুহস্পতিবার ঢাকার একটি হোটেলে আলোচনা সভা করে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নিয়ে সবার স্বাক্ষরসহ লিখিত আবেদনের মাধ্যমে এ দাবি জানিয়ে সভানেত্রীর ই-মেইলে পাঠিয়েছেন তারা। এতে স্বাক্ষর করেছেন মনোনয়ন প্রত্যাশী কুয়েত আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা সায়েদ আলী মাহবুব হুসেন রেজু, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও শাল্লা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এ্যডভোকেট অবনি মোহন দাস, সিলেট মাহনগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক এ্যডভোকেট সামছুল ইসলাম চৌধুরী, ইউরোপ আওয়ামীলীগের উপদেষ্ঠা ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হুসাইন (ভিপি ইকবাল), যুক্তরাজ্য শ্রমিকলীগের কার্যকরি কমিটির সভাপতি এ্যডভোকেট সামছুল হক চৌধুরী, এ্যডভোকট আব্দুল মোনেম চৌধুরী। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দাবির সাথে একাত্মতাপোষন করে আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সদস্য ও দিরাই উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আলতাব উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মঞ্জুর আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক কামরুল হাসান, উপ-প্রচার সম্পাদক হুমায়ূন রশিদ লাভলু, জেলা পরিষদের সদস্য আবু আব্দুল্লাহ চৌধুরী মাসুদ, দিরাই উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান, দিরাই উপজেলা যুবলীগ নেতা মারফত মিয়া, মকসুদ আলম, শাল্লা উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক তকদির মিয়া, রফিকুল ইসলাম, দিরাই উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পারভেজ রহমান। লিখিত আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশব্যাপি আওয়ামীলীগ সরকার ব্যপক উন্নয়ন করলেও দিরাই-শাল্লাবাসী তা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তার দূর্বল নেতৃত্বে কারণে দিরাই-শাল্লায় হাবিল, কাবিল ও আজাজিল নামে একটি দূর্ণীতিবাজ ও লুটপাটকারী সিন্ডিকেট তৈরী হয়েছে। আওয়ামীলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে দিরাই-শাল্লায় হাবিল-কাবিল-আজাজিল এক আতঙ্কের নাম। ড. জয়া সেনগুপ্তা নামমাত্র এমপি, সবই নিয়ন্ত্রন করে হাবিল, কাবিল ও আজাজিল নামক সিন্ডিকেটের সদস্যরা। ড. জয়া সেনগুপ্তাকে অদক্ষ, স্মৃতিশক্তিহীন, অরাজনৈতিক, আত্মক্ষমতাহীন. পরনির্ভরশীল নেতৃত্বদানে অযোগ্য জনবিচ্ছিন্ন উল্লেখ করে তাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য যে কাউকে মনোয়ন দেয়ার দাবি জানান তারা। এব্যাপারে মনোনয়ন প্রত্যাশী সামছুল ইসলাম বলেন, আমার ই-মেইলের মাধ্যমে লিখিতভাবে মাননীয় সভানেত্রী বরাবরে আবেদন করেছি। সায়াদ আলী মাহবুব হোসেন রেজু বলেন, দিরাই-শাল্লা আসন থেকে নৌকাকে বিজয়ী করতে হলে প্রার্থী পরিবর্তনের বিকল্প নেই। এ্যডভোকেট অবনি মোহন দাস বলেন, হাবিল-কাবিল-আবাবিল নামক বদনাম থেকে আওয়ামীলীগকে উদ্ধার ও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে প্রার্থী পরিবর্তন করা জরুরী। আমরা বিশ^াস করি মাননীয় সভানেত্রীর কাছে দিরাই-শাল্লার সকল খবর রয়েছে, এবং তিনি সঠিক সিদ্ধান্ত দেবেন।
এ ব্যাপাওে বর্তমান সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা বলেন, মনোনয়ন দাবি করা সবার গণতান্ত্রিক অধিকার । আমি বিশ^াস করি যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছেন সবাই আমরা একই পরিবারের লোক, আমরা জাতির পিতার আদর্শে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ করি। তবে তাদের অভিযোগ সত্য নয়, দিরাই-শাল্লায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এখানে কোন ধরনের দূর্ণীতি নেই, সিন্ডিকেট নেই, আছে আওয়ামীলীগের একটি শক্তিশালীদল। আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডকে যারা অস্বিকার করে তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে আমি সন্দিহান। আওয়ামীলীগের ক্ষতি হয় এমন বক্তব্য দেয়া কারোই উচিৎ নয়। সভানেত্রী যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকেই মনোনয়ন দেবেন এবং আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করবো।