মো: নুরুল হক, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ::
দক্ষিণ সুনামগঞ্জের শিমুলবাঁক ইউনিয়নের উকারগাঁও গ্রামে উকারগাঁও মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লি: এর সদস্যদের মধ্যে দু-পক্ষে বিভক্ত হয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সরেজমিন ও সমিতির সদস্য সূত্রে জানা যায়: ২০০৯ সালে ১৪০২ নং নিবন্ধনের মাধ্যমে ৪৮ সদস্য বিশিষ্ট উকারগাঁও মৎস্যজীবি সমিতির যাত্রা শুরু হয়। দুই তিন বছর চলার পর সমিতির সভাপতি মো: শাহীদ আলী কিছু সদস্যকে নিয়ে এক গ্রুপ ও সদস্য আজিম উদ্দিন কিছু সদস্যকে নিয়ে অন্য আরেক গ্রপ বিভক্ত হয়ে যায়। ফলে দুজনের মধ্যে দ্বন্ধ দেখা দেয়।
এই সুবাদে সভাপতি শাহীদ আলী ২০১৮ সাল পর্যন্ত একক কর্তৃত্ব বিস্তার করে আরও ৫ জন অমৎস্যজীবি লোককে সমিতির অর্ন্তভ’ক্ত করেন এবং আজিম উদ্দিন গ্রুপের ১৮ জন সদস্যকে সমিতির সকল কার্যক্রম থেকে বিরত রাখেন। গত ৩০ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে এক পক্ষের ১৮ জনকে বাদ দিয়ে নির্বাচন দিয়ে পূনরায় শাহীদ আলী গংরা বিনাভোটে নির্বাচিত হন। ১৮ জন সদস্যের অংশগ্রহন ছাড়াই নির্বাচন হচ্ছে খবর পেয়ে সমিতির সদস্য কবির আহমদ বাদী হয়ে নির্বাচন স্থগিতের জন্য জেলা প্রশাসক বরাবর ২৯ অক্টোবর আবেদন করেন। এর আগে ১২ অক্টোবর ২০১৮ ইং তারিখে আজিম উদ্দিন বাদী হয়ে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে স্বত্ত মামলা দায়ের করেন মামলা নং ৯০/২০১৮। ১২ অক্টোবর সমিতির সদস্য চাঁন মিয়া বাদী শাহীদ আলী গংদের বিরুদ্ধে একই বিষয়ে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই জলমহাল দখলকে কেন্দ্র করে সমিতির দু-পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে।
যেকোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন আজিম উদ্দিন গ্রুপের সদস্যরা। এ ব্যপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ওসি মো. ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।