হাওর ডেস্ক ::
তফসিল পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। তবে সব দল চাইলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ইটিআই) ভবনে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ইটিআই মহাপরিচালক মোস্তফা ফারুকের সভাপতিত্বে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির এ অনুষ্ঠানে পরিচালক ফরহাদ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচন পেছানোর বিষয়ে ঐক্যফন্টের দাবির বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘তারা বলেছেন ৭ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপ রয়েছে। সেটি আমলে নিতে আমরা সেটি নিয়েছি।’
রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্ব দেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একক দল নয়, বাংলাদেশের যত রাজনৈতিক দল আছে সবাই যদি বলে, তাহলে নির্বাচন পেছানো যেতে পারে। জানুয়ারির ২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা আছে। এর মধ্যে সব রাজনৈতিক দল যদি বলে নির্বাচন কয়েকদিন পিছিয়ে দেন, তখন পিছিয়ে দেওয়া যাবে।’
২৮ জানুয়ারি তো দূরে আছে এক্ষেত্রে আপনাদের হাতে অনেকটা সময় আছে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, ‘সময় থাকে না। কারণ, নির্বাচনের জন্য জানুয়ারি নানা কারণে ডিস্টার্ব মাস। জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হয়, আমি যতদূর জানি দুই দফায়। একারণে ১৫-২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন করা সম্ভব হবে না। এখানে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পুলিশ ও র্যাব নিয়োগ করা হয়। ১ তারিখের (জানুয়ারি) পর থেকে স্কুলগুলো খোলা থাকে। এছাড়া, এসময়ে অনেক শীত ও কুয়াশা থাকে। এজন্য চর ও হাওর অঞ্চলে ঝুঁকি থাকে। সেকারণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।’
বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা আদালতের নির্দেশনা পালন করবো।’
পোলিং এজেন্টদের তালিকা দিলে তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে, এমন আশঙ্কার বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘তালিকা দিলে গ্রেফতার করা হবে এমন কোনও কথা নেই। তারা তালিকা দিলে দেবে, না দিলে না দেবে। তারা যদি পোলিং এজেন্ট না পাঠান, আমরা তো জোর করে আনবো না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আতঙ্কের বিষয়ে আমি জানি না। এটা অমূলক বিষয়। আমাদের সব সময় নির্দেশনা থাকে, অযথা কাউকে গ্রেফতার না করা, মামলা না দেওয়া, হয়রানি না করার। এবার তাই থাকবে।’
প্রশিক্ষণ উদ্বোধনকালে সিইসি বলেন, ‘সীমিত আকারে শরাঞ্চলে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। তবে কোথায় ব্যবহার করা হবে এটি কমিশনের হাতে থাকবে না। দ্বৈবচয়নের মাধ্যমে এটি করা হবে।’
কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম ব্যবহারে যদি দেখেন যে, ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে না, তাহলে আমাদের জানাবেন। ভোটারদের স্বার্থ রক্ষা না হলে আমরা ভোটারদের ওপর এটি জোর করে চাপিয়ে দেবো না।’