1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন

তাহিরপুরে ইএনও কর্তৃক ব্যবসায়ী লাঞ্চিতের ঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যানসহ প্রতিবাদকারীদের উপর মামলা

  • আপডেট টাইম :: সোমবার, ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১.০৯ পিএম
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
বিনা কারণে নীরিহ ব্যবসায়ীকে অফিসে ডেকে লাঞ্চিতের প্রতিবাদে ক্ষুব্দ ব্যবসায়ী জনতা প্রতিবাদে ক্ষমা প্রার্থনা করেও পুলিশ দিয়ে ১৮ প্রতিবাদকারীকে গ্রেফতার করিয়েছেন তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। রাতে গ্রেফতার করানোর পর সোমবার দুপুরে তাহিরপুর থানার এক এসআইকে দিয়ে জামায়াত-বিএনপি সন্দেহে ৫৫ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলকে। আওয়ামী লীগ-বিএনপিসহ দলমত নির্বিশেষে ব্যবসায়ী জনতা প্রতিবাদ করলেও আসামি করা হয়েছে কেবল বিএনপি নেতাকর্মীদের। তাছাড়া নির্যাতিত ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকেও আসামি করা হয়েছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, কোন কারণ ছাড়াই গত শনিবার রাতে তাহিরপুর বাজারের ব্যবসায়ী বেলায়েত হোসেনকে বাসায় ডেকে আনেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব। ব্যবসায়ীকে নাম জিজ্ঞেস করেই তাকে চড়থাপ্পড় দেন। এঘটনাটি স্থানীয় ব্যবসায়ী-জনতার কাছে পৌঁছলে তারা ক্ষুব্দ হয়ে ওঠেন। রবিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা সদরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বিরুদ্ধে মিছিল করে তার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন দলমত নির্বিশেষে ব্যবসায়ী জনতা। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে কথা বললে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূর্ণেন্দু দেব ব্যবসায়ী-জনতার সামনে এ ঘটনার জন্য প্রকাশ্যে দুঃখপ্রকাশ করেন। পরে আন্দোলনকারী ও ব্যবসায়ীরা নীরব হয়ে যান। এসময় উপস্থিত ছিলেন তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আলী মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি হাফিজুর রহমান পলাশসহ বিএনপি, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এদিকে ব্যবসায়ীকে লাঞ্চিতের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার পর ক্ষুব্দ জনতা স্বান্ত হয়ে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যান। কিন্তু রাতে হঠাৎ করে স্থানীয় পুলিশকে প্রতিবাদকারীদের তালিকা দিয়ে মামলা না করে তাদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পূর্ণেন্দু দেব। রাতেই ১৭ জনকে গ্রেফতার করে তাহিরপুর থানা পুলিশ। সোমবার দুপুরে আরেকজনেক গ্রেফতার করা হয়। দুপুর ১২টায় তাহিরপুর থানার এসআই পার্ডন কুমার সিংকে বাদী করে জামায়াত-বিএনপির নাশকতার সন্দেহে ৫৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুলকে। এদিকে নীরিহ ব্যবসায়ীকে লাঞ্চিতের ঘটনায় ক্ষমা চাওয়ার পর প্রতিবাদকারী ব্যবসায়ী জনতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করানোয় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী।
তাহিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, গত রবিবারই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যস্ততায় বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। তিনি সবার সামনে ক্ষমা চেয়েছিলেন। কিন্তু রাতে পুলিশ দিয়ে প্রতিবাদকারীদের আটক করিয়ে পরদিন দুপুরে মামলা দিয়েছেন। আমাকেও প্রধান আসামি করা হয়েছে বলে শুনেছি।
তাহিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলী মর্তুজা বলেন গত রবিবারই আমরা বিষয়টি নিষ্পত্তি করে দিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ব্যবসায়ীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। একজন সিনিয়র ব্যক্তি হিসেবে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকায় তিনি ক্ষমা চাওয়ার পর আন্দোলনকারীদের ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। রাতে শুনে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেন তিনি এমন কাজ করলেন আমাদের বোধগম্য নয়।
তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয় ও ব্যবসায়ীর বিষয়টি আমরা আপসে শেষ করে দিয়েছিলাম। কিন্তু রাতে প্রতিবাদকারী জনতা জড়ো হয়ে নাশকতার চেষ্টা করায় তাদের বিরুদ্ধে সোমবার দুপুরে মামলা দায়ের হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ বলেন, গত রবিবারেই স্থানীয় গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি শেষ করে দিয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া কে মামলা করেছে বিষয়টিও আমার জানা নেই।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!