হাওর ডেস্ক ::
ঠিক বিপরীত চিত্র দুই দলে। বছরজুড়ে পরাজয়ের গ্লানি বয়ে চলা জিম্বাবুয়ে যখন অনুশীলনে ব্যস্ত, বাংলাদেশ তখন শেষ ওয়ানডের প্রস্তুতি নিয়েছে ঢিলে-ঢালা অনুশীলনে। ২-০ তে এগিয়ে থাকা মাশরাফির ভাবনায় আরেকটি হোয়াইটওয়াশ। অন্যদিকে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার দল লজ্জা থেকে উত্তরণের পথ খুঁজতে মরিয়া! আজ শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচটি জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বিটিভি ও গাজী টেলিভিশন।
এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে ইতিহাসে ২৩তম সিরিজ জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। এবার তাই স্বাগতিকদের লক্ষ্য আরও বড় হওয়াই স্বাভাবিক। তবে তেমন লক্ষ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষার আভাস পাওয়া গেলো অধিনায়ক মাশরাফির কথায়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে ডাক পেয়েছেন সৌম্য সরকার। এছাড়া গত দুই ম্যাচে একাদশের বাইরে থাকা আবু হায়দার রনি, আরিফুল হক এবং নাজমুল হোসেন শান্তর সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। সবমিলিয়ে তৃতীয় ম্যাচটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার অনতম্য মাধ্যম হিসেবে নিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
তবে জয়ের কথা মাথায় রেখেই কম্বিনেশন সাজানো হবে বলে জানালেন অধিনায়ক মাশরাফি, ‘কিছু পরিবর্তনতো আসবেই। কিছু খেলোয়াড়কে আমাদের দেখাও জরুরি। একই সঙ্গে ম্যাচও যেন না হারি সেই ব্যাপারে খেয়াল রাখতে হবে। তবে কোথায় কী পরিবর্তন করবো এগুলো নিয়ে এখনো আলোচনা হয়নি।’
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুও অধিনায়কের মতো একই সুরে গলা মেলালেন, ‘এখনো এ বিষয় নিয়ে আলোচনা করিনি। শুক্রবারই ম্যাচ নিয়ে বসবো। অবশ্যই পরিবর্তন আসবে। যারা সুযোগ পায়নি তাদের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছি।’
চলমান সফরে পরাজয়ের বৃত্তেবন্দি জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ধবলধোলাই হয়ে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল তারা। শুক্রবার তাদের সামনে আরও একবার হোয়াইটওয়াশ হওয়ার শঙ্কা। তাই শেষ ম্যাচটিতে সান্ত্বনার জয়ের খোঁজে সফরকারী দল। বৃহস্পতিবার দুপুরে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে এমন লক্ষ্যের কথা জানালেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ‘ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাওয়া সত্যিই হতাশার। বাংলাদেশ ভালো খেলেই সিরিজ জিতেছে। আমরা ভালো খেলতে পারছি না। শেষ ম্যাচটিতে জয় তুলে নেওয়ার শেষ চেষ্টাই থাকবে। যাতে টেস্টের আগে কিছুটা হলেও আত্মবিশ্বাস পেতে পারি।’
২০০৫ সালে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। সেবার ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ বাংলাদেশ জিতেছিল ৩-২ ব্যবধানে। এরপর থেকে জয়ের পাল্লাটা ভারি হয়েই চলেছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ১০বার সিরিজ জিতেছে তাদের বিপক্ষে। দেশের মাটিতেই ৮বার, বাকি দুবার জিম্বাবুয়ের মাটিতে। সবশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০১৬ সালে ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জেতে মাশরাফিরা।
এর আগে ১১বার প্রতিপক্ষকে হোয়াইওয়াশ করার সামর্থ্য দেখিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে জিম্বাবুয়েই সবচেয়ে বেশি ধবলধোলাই হয়েছে। মাশরাফি অবশ্য হোয়াইটওয়াশ নিয়ে কিছু বললেন না। তবে জয়টা যে ভাবনায় আছে সেই কথাই মনিয়ে করিয়ে দিলেন সবাইকে, ‘ম্যাচ জিতলে এমনিতেই হোয়াইটওয়াশ হয়ে যাবে তারা। আমরা জয়ের অভ্যাসটা ধরে রাখতে চাই। নিজেদের সেরাটা দিয়ে ম্যাচটা জিততে চাই।’