হাওর ডেস্ক ::
হাসপাতালে সন্তান প্রসবের পর নবজাতককে গর্ভধারিণী মায়ের মতো একই ধরনের পরিচয় ট্যাগ পরানোর ব্যাপারে অধিক সতর্ক হওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে জীবিত নবজাতককে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা না করে মৃত ঘোষণা না করার ব্যাপারেও নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এসব ব্যাপারে গাফিলতি বা অবহেলা প্রমাণিত হলে চিকিৎসকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে গত ১০ অক্টোবর এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক এবং লাইন ডিরেক্টর হসপিটাল সার্ভিসেস ম্যানেজমন্ট) অধ্যাপক ডা. কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির গত ৫ ও ৮ আগস্টের ২৩তম বৈঠকে শিশু জম্ম নেয়ার আগে মাকে যেমন ট্যাগ পরানো হয় ঠিক একই ট্যাগ ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুকে পরিয়ে দেওয়া এবং জীবিত নবজাতককে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা না করে মৃত ঘোষণার দায়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এর আলোকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা অনুসরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কোনো গাফিলতি বা অবহেলা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট সকলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ গণমাধ্যমকে বলেন, প্রচলিত নিয়মানুসারে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে গর্ভবতী মায়েদের হাতে নাম-পরিচয়সহ ট্যাগ লাগানোর নিয়ম রয়েছে। সন্তান প্রসবের পর নবজাতককেও একই রকম পরিচয় ট্যাগ পরানোর নিয়ম রয়েছে। নবজাতক অদল-বদল ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এ নিয়ম অনুসরণ করার প্রথা চালু রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো হাসপাতালের গাইনি বিভাগে এ নিয়ম অনুসরণ না করার ফলে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। চলতি বছর বেশ কয়েকটি হাসপাতালে সন্তান অদল-বদলের অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক জীবিত নবজাতককে মৃত ঘোষণা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংসদে কঠোর সমালোচনা হয়েছে। এ কারণে চিকিৎসকদের অধিকতর সতর্ক থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়।