1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

২১ কোটি টাকা বাঁচিয়ে খাসভূমিতে নার্সিং ইনস্টিটিটিউট ও হেলথ টেকনোলজি নির্মাণের দাবিতে মালেক পীরের আবেদন

  • আপডেট টাইম :: বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ৪.৩৮ পিএম
  • ২৫৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে নির্মিতব্য নার্সিং কলেজ ও ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আই.এইচ.টি) নির্মাণে সরকারি অর্থ অপচয় রোধ করে সরকারি খাসভূমি অধিগ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন দেশব্যাপী প্রতিবাদী চরিত্রের মুক্তিযোদ্ধা মালেক হুসেন পীর। গত ১১ আগস্ট মঙ্গলবার তিনি জেলা প্রশাসক বরাবরে এই আবেদনটি করেন। উল্লেখ্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ করে ভবন গুলো নির্মাণ হলে সরকারের ২১ কোটি ৩৩ লক্ষ ৯১ হাজার ৯২০ টাকা অপচয় হবে বলে আবেদনে উল্লেখ করেন মালেক পীর। এই অপচয় বন্ধ করে ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি অধিগ্রহণ না করার আহ্বান জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত আবেদনে মালেক পীর উল্লেখ করেন এই দুটি প্রতিষ্ঠান নির্মাণের জন্য সদর উপজেলার পৌর সভার অন্তর্গত রসুলপুর মৌজার জে.এল নং- ১১৭, খতিয়ান নং- ১, দাগ নং- ৪৪ ভূমির ৭২.২৫ একর খাস ভূমি থাকা অবস্থায় ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা শহরে গুরুত্বপূর্ণ নার্সিং কলেজ এবং ইনষ্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আই.এইচ.টি) নির্মাণের জন্য সদর উপজেলার ১১১ নম্বর জে.এল সংক্রান্ত আহমদপুর মৌজার ২.৬৫ একর এবং ১১২ নম্বর জে.এল সংক্রান্ত ষোলঘর মৌজার ০.৩৫ একর আমন রকম ভূমি অধিগ্রহণের অনুমোদন করা হয়েছে। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই ভূমি অধিগ্রহণ করা হলে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আহমদপুর মৌজার প্রতি শতক আমন ভূমির মূল্য ১ লক্ষ ৭ হাজার ৫২০ টাকা দর নির্ধারিত আছে। এতে ওই ২.৩৫ একর ভূমির দাম পড়বে ২ কোটি ৮৪ লক্ষ ৯২ হাজার ৮০০ টাকা। যা অধিগ্রহণ নীতি অনুযায়ী মালিককে তিনগুণ দামে দিতে হবে ৮ কোটি ৫৪ লক্ষ ৭৮ হাজার ৪০০ টাকা। একইভাবে ষোলঘর মৌজার ০.৩৫ একর ভূমির সরকারি মূল্য প্রতি শতক ২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৬২৪ টাকা। এই মূল্য তিনগুণ হারে ৩ কোটি ১১ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫২০ টাকায় আসবে। যা সরকারকে দিতে হবে।
এদিকে সুনামগঞ্জ পৌরসভার অন্তর্গত ১১৭নং জে.এলস্থ রসুলপুর মৌজার ১নং খাস খতিয়ানের ৪৪নং দাগে ৭২.২৫ একর খাস ভূমি পরিত্যাক্ত আছে। এস.এ রেকর্ডে এই খাস ভূমি জলাশয় হিসেবে রেকর্ড হলেও বর্ণিত ভূমিতে সরেজমিনে কোন জলাশয়ের অস্তিত্ব কখনো ছিলনা। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ৬নং রেজিষ্টারভূক্ত কোন জলমহালও এই দাগে নেই। দীর্ঘদিন হতে এই খাস ভূমিতে কিছু মানুষ ইরি, আমন ও বোর ধান রোপন করে আসছে।
লিখিত আবেদনে মালেক পীর বলেন, এই খাস ভূমিতে নার্সিং কলেজ নির্মাণ করা হলে সরকারি কোষাগার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা অপচয় হবে। আই.এইচ.টি নির্মাণের জন্যও উল্লিখিত মৌজা সমূহের ৩.০০ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি অধিগ্রহণ না করে উপরে বর্ণিত খাস খতিয়ানের ভূমিতে আই.এইচ.টি নির্মাণ করা হলে সরকারকে ক্ষতি গুণতে হবেনা। তাই সরকারি অর্থ অপচয় না করে খাস ভূমিতে এই দুটি জনগুরুত্বপূর্ণ ভূমি নির্মাণ করে করে সরকারি অর্থ বাচানোর আবেদন জানান তিনি।
মালেক হুসেন পীর বলেন, সরকারকে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ক্রয় না করে মোটা অংকের টাকা অপচয় না করে আমি সরকারি ভূমিতে দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার জন্য লিখিত আবেদন দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয়ের দৃষ্টি কামনা করি।
সুনামগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. আশুতোষ দাস আবেদনটির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!