স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ টেকেরঘাট সীমান্তে মাদক পাচার করতে গিয়ে মোটর সাইকেল রেখে পালিয়ে গেছে বড়গোফটিলার ছিছকে মাদক কারবারি সাইদুল ইসলাম। সোমবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটেছে। টেকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের কম্পানি কমা-ার মোটর সাইকেলটি জব্দ করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে বড়গোফটিলার আব্দুর রশিদের ছেলে সাইদুল ইসলাম টিলায় মাদক কারবার গড়ে তুলেছে। এলাকার সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে সে মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য পাচার করে বলে অভিযোগ আছে। সোমবার বিকেলে টেকেরঘাট জিরো পয়েন্ট দিয়ে ভারত থেকে মোটর সাইকেলে করে মাদকের চালান আনতে যায় সাইদুল। ওপারে অন্য মাদক কারবারি চালান নিয়ে অপেক্ষা করছিল। বিষয়টি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্প অবগত হয়ে হানা দিলে জিরো পয়েন্টের ভারতীয় এলাকায় মাদকের চালান রেখে দ্রুত মোটর সাইকেল করে পালিয়ে যায় সাইদুল। তবে পিছন দিক থেকে বিজিবি ধাওয়া করলে সাইদুল গাড়ি রেখেই পালিয়ে যায়। বিজিবি মোটরসাইকেলটি জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে রেখেছে।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েক বছর আগে সাইদুল দুই আদিবাসী দুই তরুণীকে ফুঁসলিয়ে পাচার করতে সুনামগঞ্জ শহরে নিয়ে যায়। সেখানে পাচারকারিদের হাতে তাদের তুলে দেওয়ার সময় দুই তরুণি কান্নাকাটি করলে লোকজন জড়ো হয়ে তাদের উদ্ধার করে এলাকায় পাঠিয়ে দেন। সাইদুল সেখান থেকে সটকে পড়ে এলাকায় চলে আসে। পরে এলাকায় এ নিয়ে আদিবাসী পরিবারের নারীরা বিচারপ্রার্থী হলে গ্রাম্য সালিস বসে। মাহরাম টিলার আলা উদ্দিনের বাড়িতে শালিস বসে। শালিসে তাকে জুতাপেটা করা হয় এবং অর্থদ- করেন শালিসকারীরা।
অভিযুক্ত সাইদুল ইসলাম বলেন, ভারত থেকে মাদক নয় পারফিউম, প্যান্ট ও তেলের বোতল আনতে গিয়েছিলাম। বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে এসেছি। তবে আমি মাদক বা কোন খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত নই। আমার এক বন্ধু আমাকে এ ঘটনায় ফাঁসিয়েছে।
মাহরামের আলা উদ্দিন বলেন, দুই আদিবাসী তরুণীর বিষয়ে আমাদের বাড়িতে শালিস হয়েছিল। শালিসে সাইদুলকে জুতাপেটা ও অর্থদ- করা হয়েছিল।
উত্তর বড়দল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন বলেন, ৮-১০ বছর আগে এরকম একটি শালিস করেছিলাম। তবে পুরনো ঘটনা এখন আর পুরোপুরি মনে নেই।
টেকেরঘাট বিউপির ক্যাম্প কমা-ার সুবেদার দিলোয়ার হোসেন বলেন, মাদক আনতে গিয়ে আমাদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে গেছে সাইদুল। আমরা মোটর সাইকেল জব্দ করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।