স্টাফ রিপোর্টার::
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়েছে হাওরের ফসলরক্ষা বাধের নির্মাণকাজের সময়সীমা। এই সময়ের মধ্যে ৫০ ভাগের বেশি কাজ শেষ হয়নি। তাছাড়া অপ্রয়োজনীয় প্রকল্পে বরাদ্দের অপচয়সহ নির্মাণকাজে এবারও নানা ত্রুটি ও অনিয়ম হয়েছে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না হওয়ায় উদ্বিগ্ন হাওরের কৃষক। তারা অবিলম্বে বাধের কাজ শেষ করার জন্য দাবি জানাচ্ছেন। কৃষকদের এসব দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে হাওর বাচাও সুনামগঞ্জ বাচাও আন্দোলন। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব ) মোহাম্মদ সফিউল আলম স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হাওর বাঁচাও সুনামগঞ্জ বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্ঠা বিকাশ রঞ্জন চৌধুরী ভানু, সভাপতি অ্যাড. বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালেহীন শুভ, সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মালেক হোসেন পীর, চন্দন রায়, রাজু আহমদ, সাংবাদিক এআর জুয়েল প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ গত বছর হাওরের ফসলহানীর পর সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, চলতি মৌসুমে হাওরের কৃষকের বোরো ফসল রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের জন্য রেকর্ড পরিমাণ ১৭৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই টাকার সুষ্টু ও নিয়মানুযায়ী কাজ বাস্তবায়ন হলে হাওরের কৃষকরা উপকৃত হবেন। নতুন নীতিমালায় হাওরের কাজ শুরু হলেও হাওরের কৃষকদের বাধ নির্মাণের পরামর্শ ও ন্যায্য দাবি আমলে নেওয়া হয়নি বলে স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সকল হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করার কথা থাকলেও কোন বাঁধের কাজই ওই সময়ের মধ্যে সমাপ্ত করা হয়নি। দেরিতে নির্মিত বাঁধের মাটি আলাদা থাকার কারণে বাঁধগুলো দুর্বল হয়েছে। সামান্য বৃষ্টিপাত ও বন্যার পানির প্রথম ধাক্কায় বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানানো হয়। তাছাড়া বোরো ফসল রক্ষায় আবশ্যক অনেক হাওরে বাঁধ নির্মাণের প্রকল্প গ্রহণ করা প্রভাবশালীদের ইশারায় অনেক অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করে সরকারের হাওররক্ষার বরাদ্দ ভিন্ন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে। অবিলম্বে এসব বিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ ও বাধের কাজ দ্রুত শেষ করতে প্রধানমন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।