স্টাফ রিপোর্টার::
সাংবাদিক শামস শামীমের কথায় সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার অলক বাপ্পা ‘রাত্রি নামে তোমার কোলে/আড্ডাগানের জলসা নিয়ে/ সূর্য ওঠে দেখার হাওর/সুরমা নদীর হৃদয় ছুয়ে’ গানে তাঁর সঙ্গীত সন্ধ্যা শুরু করেন শুক্রবার সন্ধ্যায়। এর আগেই জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসন রাজা মিলনায়তন হাউজফুল হয়ে যায় শ্রোতা দর্শকের উপস্থিতিতে। ছুটির দিনের শীতসন্ধ্যায় সঙ্গীত সুধায় অবগাহন করতে অনেককেই দেখা গেল সপরিবারে ছুটে আসতে। গানে, সুরে, গল্পকথায় প্রায় চার ঘন্টা আনন্দে মাতিয়ে রেখেন সঙ্গীত শিল্পী ও সুরকার অলক বাপ্পা। স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘সুনামগঞ্জ কালচারাল ফোরাম’ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পী অলক বাপ্পার বাল্যবন্ধু সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ। উপস্থাপনায় ছিলেন রুনা লেইস। সুরের মুর্ছনায় ¯œাত হতে বিভিন্ন পেশাজীবীদের অনুষ্ঠানে দেখা গেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠান শেষ করেই স্থান ত্যাগ করতে দেখা গেছে তাদের।
অলক বাপ্পার গান ও গল্পকথার ফাকে ফাকে স্থানীয় শিল্পীরাও গান করেন। তার স্ত্রী প্রতিমা অলক, কালচারাল ফোরামের সভাপতি সোহেল রানা, শিল্পী পৃথা দেসহ আরো অনেক শিল্পী।
অলক বাপ্পা সুনামগঞ্জের বন্দনাবান্ধা গান দিয়ে শুরু করলেও তিনি কিছুক্ষণ পরেই প্রেম ও বিরহের রাগপ্রধান ও কাব্যধর্মী গীতল গান কণ্ঠে তুলে নেন। ফাকে ফাকে তিনি গান ও সুরের স্মৃতিচারণ করেন। কখনো সেই গল্পকথায় উকি দেন কৈশরের সোনাঝরা দিনে। সেখান থেকে তুলে আনেন বন্ধুদের ঝলমলে স্মৃতি, গান, কবিতা আর আড্ডার প্রাণবন্ত দিনের আখ্যান। সাথে দর্শকদেরও নিয়ে যান তার সঙ্গীত ভ্রমণে। তিনি প্রয়াত পৌর চেয়ারম্যান মমিনুল মউজদীন, সুনামগঞ্জের সন্তান দেশখ্যাত প্রচ্ছদ শিল্পী ধ্রুব এষ, সুনামগঞ্জের প্রবাসী কবি বাবর বখতের গানও পরিবেশন করেন। সহজ সুরের বদলে তিনি সঙ্গীত সমঝদার লোকদের রাগপ্রধান গাইয়ে অন্যরকম আনন্দ দেন।
শহরে বহুদিন পর একক সঙ্গীত সন্ধায় মুগ্ধ হয়ে বাড়ি ফিরেন দর্শক। আয়োজকদের আরো অন্যান্য গুণী শিল্পীদের দিয়েও এভাবে সঙ্গীতসন্ধ্যা আয়োজনের অনুরোধ জানান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবির সহ অধিনায়ক হাসান আলী, মুক্তিযোদ্ধা আতম সালেহ, কবি রবিউল লেইছ রোকেস, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক শামসুল আবেদিন প্রমুখ।