স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জে ৬ সন্তানের জনক কর্তৃক প্রাক প্রাথমিক পড়–য়া ৬ বছর বয়সী হতদরিদ্র পরিবারের এক শিশু কন্যা ধর্ষনের মেডিকেল রিপোর্ট রাজনৈতিক চাপে পাল্টে দেওয়ার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সুনামগঞ্জ আলফাত স্কয়ারে মহিলা পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ যোগ দেন। মানববন্ধন কর্মূচিতে বক্তব্য দেন মহিলা পরিষদ সভানেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য্য, লেখক সুখেন্দু সেন, উদীচীর সেক্রেটারি জাহাঙ্গীর আলম, যুব ইউনিয়নের সভাপতি আবু তাহের, সংস্কৃতিক কর্মী দেবাশীষ তালুকদার শুভ্র প্রমুখ।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা বলেন, দিনমজুরের একজন শিশু কন্যা ধর্ষিত হয়েছে। রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। রাজনৈতিক চাপে ওই শিশুর মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টে দেওয়া হয়েছে। আমরা এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত এমন ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ছোট শিশু কন্যাও ষাট বছরের বৃদ্ধের লোলুপতা থেকে রেহাই পায়নি। এখন সমাজ নিয়ন্ত্রক রাজনীতির একটি চক্র ধর্ষককে বাঁচাতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়ে মেডিকেল রিপোর্ট পাল্টে দিয়েছে। আমরা এ ঘটনায় নিন্দা জানাই। ধর্ষিত অসহায় পরিবারের শিশু কন্যা যাতে ন্যায় বিচার পায় সেই দাবি জানাই।
ধর্ষিত শিশুর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে বক্তারা আরো বলেন, দিনমজুরের শিশু কন্যা ধর্ষিত হয়েও বিচার পাবেনা, তার ধর্ষণের রিপোর্ট পাল্টে দেওয়া হবে এ কেমন সমাজে আমরা বাস করি। তিনি বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষা পাল্টে দেওয়ার ঘটনায় জড়িত তাদের সবাইকে শাস্তির আওতায় এনে ওই শিশু কন্যার ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের হালুয়ারগাঁও গ্রামের দিনমজুরের ৬ বছর বয়সী শিশু কন্যা গত সোমবার দুপুরে প্রতিবেশি আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল কাহার কর্তৃক ধর্ষিত হয় বলে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। রক্তাক্ত ওই শিশুকে মা ও অন্যান্য আতœীয়-স্বজনরা বিকেলে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। রাতে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় রাতেই পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুল কাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হলেও হাসপাতালের পরদিন প্রভাবশালী মহলের চাপে প্রদত্ত মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষিত হয়নি বলে রিপোর্ট দেয় কর্তৃপক্ষ। এসময় ওই শিশুর সিটও কেটে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জ মহিলা পরিষদের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে ওই শিশু কন্যার বাবা বলেন, জাতীয় পার্টির নেতা সমির উদ্দিনের প্রভাবে হাসপাতালের লোকজন মিথ্যা রিপোর্ট দিছে। আমি দোষীদের শাস্তি চাই।