1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::

নিম্নতম মজুরী বোর্ড ও চা বাগানের কান্না ।। পাভেল পার্থ

  • আপডেট টাইম :: বুধবার, ৭ জুলাই, ২০২১, ৫.১৯ পিএম
  • ২৬০ বার পড়া হয়েছে

করোনা মহামারিতে দেশ-দুনিয়া লকডাউন হলেও নির্ঘুম আছে গ্রামীণ কৃষক আর চাবাগানের শ্রমিক। চাশ্রমিক সংগঠন ২৬ মার্চ ২০২০ তারিখে বাগান মালিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশীয় চা সংসদে’ চিঠি দিয়ে ৪ এপ্রিল ২০২০ পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ছুটির দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু বাগান মালিক কী রাষ্ট্র চাশ্রমিকের কথা শুনেনি। তার মানে কী চাবাগানে করোনার সংক্রমণ ঘটেনি? ২০১০ সনের এপ্রিলেই হবিগঞ্জের চন্ডীছড়া চাবাগানে ক্যান্সারআক্রান্ত এক শিশু মারা যায় এবং পরীক্ষায় যার করোনা পজিটিভ আসে। করোনায় আক্রান্ত হয় ঐ বাগানের শ্রমিক, প্রশাসন চা-শ্রমিকদের ১২টি ঘর লকডাউন করে। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের কালীঘাট চাবাগানের মন্টু তাঁতির করোনা সণাক্ত হয় ২১ এপ্রিল ২০২১। তীব্র শ্বাসকষ্ট হয়ে তার অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে নেয়ার জন্য একটা এম্বুলেন্স চেয়ে চাশ্রমিকেরা বাগান কর্তৃপক্ষকে দীর্ঘসময় অনুরোধ করে। কিন্তু নির্দয় বাগান কর্তৃপক্ষ এম্বুলেন্সটি না দিলে শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শহর থেকে চাবাগানে এম্বুলেন্স পাঠিয়ে রোগীকে এনে মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মন্টু তাঁতি করোনায় মারা যান। করোনা মহামারিকালে এম্বুলেন্স না দিয়ে একজন রোগীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়ার এই ঘটনাটি আমাদের কাছে নিদারুণ মনে নাও হতে পারে। কারণ আমরা এই সময়ে জংগলে মাকে ফেলে আসতে দেখেছি, চুল কেটে রাস্তায় নামাতে দেখেছি, ঘরছাড়া করতে দেখেছি। কিন্তু মন্টু তাঁতির সাথে চাবাগান কর্তৃপক্ষের এই নির্দয় ব্যবহার নতুন কিছু নয়, এই বঞ্চনা ও বৈষম্য চাবাগানে ঐতিহাসিকভাবে বহাল আছে। আর এই মন্টু তাঁতি কোনো ‘সাধারণ শ্রমিক ছিলেন না, ছিলেন পোস্ট অফিসের অবসরপ্রাপ্ত একজন অফিস সহকারী। নিশ্চয়ই আন্দাজ করা যায় সাধারণ চাশ্রমিকদের সাথে বাগান কর্তৃপক্ষ কেমন আচরণ করতে পারে! দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সংক্রমণ এবং অতিমারীর এই জটিল সংকটেও চা-উৎপাদন বন্ধ করেনি শ্রমিকেরা। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছে। আমাদের পেয়ালা উপচে দিয়েছে ক্লান্তি নিবারণী টলটলে চা। কিন্তু চাশ্রমিকের ক্লান্তিময় বিবর্ণ অর্থনীতি কী একটুখানিও চাঙ্গা হলো? চুমুকেই চাঙ্গা হয়ে ওঠা দেশের কতজন মানুষ জানে একজন চাশ্রমিকের দৈনিক মজুরি কত? মহামারীকালে ১৩ জুন ২০২১ সরকারের নি¤œতম মজুরী বোর্ড একজন চাশ্রমিকের নি¤œতম মজুরী দৈনিক ১১৭ টাকা প্রস্তাব করে গেজেট প্রকাশ করেছে। ১১৭ টাকা দিয়ে কী একটি পাঁচ সদস্যের পরিবারের চাল-ডাল-নুন হয়? এরপর তো পরেই রইলো শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ কী বিনোদনের খরচ। নয়াউদারবাদী বাজারের প্রবল ভোগবাদিতার হাতছানি না হয় এখানে নাই টানলাম। তো, চায়ে চুমুক দিতে দিতে চাঙ্গা হয়ে ওঠা নীতিনির্ধারকেরা কী একবার ভাববেন একজন চা শ্রমিকের দৈনিক মজুরী কত হতে পারে?
চা শ্রমিকের মাথাপিছু আয় কত?
বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তরতর করে। তার একটি মাপকাঠি দেখানো হচ্ছে মাথাপিছু আয়। প্রতিবেশী অনেক দেশের চেয়ে এখানে মাথাপিছু আয় বেশি। সরকারি হিসাবে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে এ আয় ছিল ২,০৬৪ মার্কিন ডলার বা প্রায় এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকা। অথচ ২০০৫-২০০৬ সনে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার। মানে গত ১৩/১৪ বছরে দেশে মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ। কিন্তু এই মাথাপিছু আয় কার আয়? দেশের ১৬৭টি চাবাগানের লক্ষাধিক স্থায়ী চাশ্রমিক বা প্রায় দশ লাখ বাগানিয়া মানুষের আয়? ১৩/১৪ বছর আগে একজন চাশ্রমিকের দৈনিক মজুরি ছিল প্রায় ৩০ টাকা আর বর্তমানে ১১৭ টাকা প্রস্তাব করেছে নি¤œতম মজুরী বোর্ড। নি¤œতম মজুরী বোর্ডের হিসাব ধরলে একজন চাশ্রমিকের মাসিক মজুরি মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা হয় এবং বছরে তা দাঁড়ায় মাত্র ৪২, ১২০ টাকা। কিন্তু সেটি তো এক লক্ষ পঁচাত্তর হাজার টাকার ধারেকাছেও যেতে পারছে না। নি¤œতম মজুরী বোর্ডের প্রস্তাব মেনে নিলে, পাশাপাশি এটিও মানতে হচ্ছে দেশে প্রায় দশ লাখ মানুষের মাথাপিছু আয় খুবই কম। উন্নয়নের পরিভাষায় এরা ‘গরিব’ ও ‘প্রান্তিক’। তার মানে রাষ্ট্র চাবাগানের দশ লাখ মানুষকে উন্নয়নের মূলধারায় যুক্ত করতে পারেনি। ১৭ কোটির দেশে দশলাখ মানুষ কী তাহলে পিছিয়ে আছে? নাকি পিছিয়ে রাখা হয়েছে? অথচ নিদারুণভাবে এই মেহনতি দশ লাখ মানুষেরাই প্রতিদিন তাদের রক্তজলের লিকারে চাঙ্গা রাখছেন ক্লান্ত স্বদেশ।
নি¤œতম মজুরী বোর্ড কী করেছে?
১৯৬২ সনের ‘দ্য টি প্লান্টেশন লেবার অর্ডিন্যান্স’ এবং ১৯৭৭ সনের ‘দ্য টি প্লান্টেশন লেবার রুলস’ দ্বারা চাশ্রমিকদের কল্যাণ নিয়ন্ত্রিত হতো। পরবর্তীতে ২০০৬ সনের বাংলাদেশ শ্রম আইনে চাবাগানকে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। ২০০৮ সনে একজন চাশ্রমিকের মজুরি ছিল দৈনিক ৩২ টাকা। ২০০৯ সনে নি¤œতম মজুরি বোর্ড সর্বনি¤œ মজুরি নির্ধারণ করে ৪৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা। এর আগে চাশ্রমিকদের মজুরি নির্ধারিত হতো শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি চাশ্রমিক ইউনিয়ন এবং মালিক পক্ষের প্রতিনিধি বাংলাদেশীয় চাসংসদের ভেতর সম্পাদিত চুক্তির মাধ্যমে। সর্বশেষ চুক্তিপত্রটি কার্যকর হয় ২০০৫ সনে এবং ২০০৭ সনে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলেও দেশে জরুরি অবস্থার কারণে তখন চুক্তি হয়নি। প্রতি পাঁচ বছর পরপর মজুরী বোর্ড গঠন করে চাশ্রমিকের মজুরী নির্ধারণ করার কথা থাকলেও দীর্ঘ ১১ বছর পর চলমান করোনা অতিমারির কালে ১৩ জুন চাশ্রমিকদের জন্য অন্যায্য মজুরি কাঠামো গেজেট আকারে প্রস্তাব করেছে। গেজেটে সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার চাবাগানগুলোকে এ, বি এবং সি শ্রেণিতে এবং চট্টগ্রাম, রাঙামাটি ও অন্যান্য জেলার চাবাগানকে ১, ২ ও ৩ ক্যাটাগরিতে ভাগ করে মজুরি প্রস্তাব করা হয়েছে। বছরে ১,৮০,০০০ কেজি বা তারচে বেশি চা উৎপাদন করে এমন বাগান এ শ্রেণি এবং ১,০৮,০০০ কেজির কম উৎপাদন করে চাবাগানগুলো সি শ্রেণির। এ-শ্রেণির বাগানের স্থায়ী এবং সাময়িক/ক্যাজুয়াল শ্রমিকের জন্য দৈনিক ১২০ টাকা, বি-শ্রেণির বাগানের জন্য ১১৮ টাকা এবং সি-শ্রেণির বাগানের জন্য ১১৭ টাকা প্রস্তাব করেছে মজুরী বোর্ড। পাশাপাশি চাবাগানের সাথে জড়িত সকল পদের জন্যই মজুরী প্রস্তাবিত হয়েছে। নি¤œতম মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান, নিরপেক্ষ সদস্য, মালিকগণের প্রতিনিধি এবং শ্রমিকগণের প্রতিনিধিসহ মোট ছয়জনের স্বাক্ষর এই গেজেটে আছে। কেবল শ্রমিকগণের প্রতিনিধিত্বকারী রামভজন কৈরী এই গেজেটে স্বাক্ষরদানে বিরত ছিলেন। বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের চৌদ্দ দিনের ভেতর কোনো আপত্তি বা সুপারিশ থাকলে লিখিতভাবে নি¤œতম মজুরী বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবর পাঠাতে হবে। আপত্তি বা সুপারিশ আমলে নিয়ে সরকারের কাছে বিবেচনার জন্য পেশ করবে মজুরী বোর্ড। চলতি লেখাটি সাম্প্রতিক গেজেট বিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষণ করে নি¤œতম মজুরী বোর্ডে কাছে প্রস্তাব পেশ করছে। আশা করি মজুরী বোর্ড চাবাগানের শ্রমিকের পক্ষে দাঁড়াবেন, দেশের চাশিল্প বিকাশে ন্যায়পরায়ণ হবেন।
চাশিল্পের নেতানো মেরুদন্ড
চাশ্রমিকই চাশিল্পের মেরুদন্ড। উপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনকালে ১৮৫৪ সনে সিলেটের মালনীছড়ায় এবং ১৮৯৪ সনে চট্টগ্রামের কোদালায় চা উৎপাদন শুরু হলেও চাশ্রমিকের বঞ্চনার দিন কাটেনি। বাংলাদেশের চা উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবে দেশে চাবাগান ১৬৭ টি, এমনকি ১৬৭ বছর ধরে চা উৎপাদনও করে চলেছেন শ্রমিকেরা। কিন্তু এত বছর পরে চাশ্রমিকের মজুরি ১৬৭ টাকাও হয়নি। চাশ্রমিকর ইউনিয়নর তথ্যমতে নিবন্ধিত চাশ্রমিক প্রায় ১ লাখ ১৭ হাজার এবং অনিবন্ধিত আরো প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। এছাড়াও চাবাগানে বসবাস করছেন প্রায় দশ লাখ মানুষ। ইতিহাস বলে এক পয়সা মজুরী বাড়ানোর দাবিতে শ্রমিকদের হাতবন্ধ আন্দোলনেও যেতে হয়েছে, মানতে হয়েছে জেলজুলুম। ব্রিটিশ জুলুম গেছে, পাকিস্থানি জুলুম গেছে, দেশ স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু চাবাগান গুলোর উপনিবেশিক মনস্তত্ত্ব এবং বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়নি। চাবাগানগুলো যেন এখনো এক স্বাধীন দেশের ভেতর জুলুমের মুল্লুক হয়ে আছে। আর এই জুলুমখানা ছেড়ে ১৯২১ সনে হাজারে হাজার চাশ্রমিক নিজ মুলুকে ফিরতে চেয়েছিলেন। কিন্তু চাশ্রমিকের রক্তে প্রমত্ত মেঘনা নদীকে লাল করেছিল ব্রিটিশ সরকার। স্মরণ করুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরও জন্ম এই সনেই। শতবছর পাড়ি দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন গর্ব করছে কিংবা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যখন স্পন্দিত দেশ তখন চাবাগানের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে দৈনিক ১১৭ টাকার মজুরি। অথচ এই দেশের মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের কৃষক-শ্রমিক আন্দোলনে চাশ্রমিকের আছে অবিস্মরণীয় অবদান। এখনো চাবাগানে পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, বছর বছর ডায়রিয়া আর পানিবাহিত রোগে এখানে মানুষ মারা যায়। বিপদজনক রাসায়নিক ব্যবহৃত হয় চাবাগানে, এতে নারী-শিশুরা ভুগছে দুরারোগ্য ব্যধিতে। চাবাগান গুলোতে কেন এতো ক্যান্সার আক্রান্ত মানুষ এর কারণ কী খতিয়ে দেখছে চাবোর্ড? এখনো একটা ছোট্ট দশ হাতের খুপড়ি ঘরে দিন কাটে লাখো লাখো পরিবারের। নেই নিরাপদ পুষ্টিকর খাদ্যের জোগান। ১৬৭ বছরেও নিশ্চিত হয়নি স্থায়ী আবাসন ও ভূমির মালিকানা। শিক্ষা, ক্রীড়া, প্রযুক্তি বা বিনোদন কিছুই নাগালে নেই চাশ্রমিকের। তারপরও চাশ্রমিকেরা পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণে রাখছেন অনবদ্য অবদান। চাবাগানের বিশাল সবুজের আবহ টিকে আছে কেবল চাশ্রমিকের রক্তজলের বিনিময়েই।
দৈনিক মজুরী ৬০০ টাকা হোক
নি¤œতম মজুরী বোর্ড কর্তৃক ঘোষিত ৪৩টি সেক্টরে এবং মজুরী কমিশন ঘোষিত রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প সেক্টরের মজুরীর ভেতর তুলনা করে অনেকে দেখিয়েছেন চাশ্রমিকের মজুরী কম। কিন্তু করোনা মহামারীকালেও চাশ্রমিক নির্ঘুম থেকেছে। জানবাজি রেখে চা উৎপাদন করে চলেছে। ২০২০ সনেও করোনা মহামারির ভেতর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এক কোটি চার লাখ পঞ্চাশ হাজার কেজি চা বেশি উৎপাদন করেছে চাশ্রমিকেরা। চা উৎপাদনে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে নবম স্থান অর্জন করেছে। এই অবিস্মরণীয় সাফল্যের একমাত্র কারিগর বঞ্চিত চাশ্রমিক জনগণ। করোনা মহামারীর ভেতরেও যারা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি উৎপাদন করলো, দেশের অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক পরিসরে দেশের জন্য মর্যাদা বয়ে আনলো রাষ্ট্র কী পারে তাদের ওপর এক অন্যায় মজুরী হার চাপিয়ে দিতে? আশা করি রাষ্ট্র চাশ্রমিকের ন্যায্য জীবনের পক্ষে দাঁড়াবে। ন্যায্যমজুরীসহ চাবাগানে গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় বাগান মালিকসহ সংশ্লিষ্ট পক্ষকে বাধ্যবাধকতা ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে রাষ্ট্রকে অগ্রণী হতে হবে। চাবাগানের মানুষেরা রাষ্ট্রের নাগরিক, কোনো কোম্পানি বা মালিকপক্ষের চুক্তিবদ্ধ দাস নয়। চাশ্রমিকসহ দেশের সকল নাগরিকের সমমর্যাদাকে সমুন্নত রাখার ঘোষণা দিয়েছে আমাদের সংবিধান। আশা করি নি¤œতম মজুরী বোর্ড তাদের প্রস্তাবিত মজুরী কাঠামোটি বাতিল করবে এবং চাশ্রমিক জনগণের আকাংখা, দাবি, প্রস্তাব, বিশ্লেষণ এবং সুপারিশকে গুরুত্ব দিয়ে এক ন্যায্য মজুরী কাঠামো পুন:নির্ধারণ করবে। বর্তমান বাজার ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় চাশ্রমিকদের জন্য দৈনিক মজুরী ৬০০ টাকা করা যায় কীনা বিষয়টি আমলে নেয়ার প্রস্তাব রাখছি।

গবেষক ও লেখক। ই-মেইল: animistbangla@gmail.com

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!