স্টাফ রিপোর্টার, তাহিরপুর::
সুনামগঞ্জের নৌ পথে চাঁদাবাজি করণ ও চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসচী পালন করেছেন শ্রমিকরা।
জেলার জামালগঞ্জ উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত সুরমা ও বৌলাই নদীতে ব্যবসায়ী, নৌ যান মালিক এবং শ্রমিকদের নিকট থেকে নামে বেনামে টোল আদায়ের নামে জোরপূর্বক চাঁদাআদায়ের অভিযোগ আনা হয় মানবন্ধনে।
রবিবার দুপুরে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পূর্বতীরে গজারিয়া বাজারে ঘণ্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়।,
মানববন্ধন চলাকালে এক প্রতিবাদ সমাবেেেশ বক্তারা অভিযোগ করেন, জামালগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহমান‘সুরমা ও বৌলাই নদীর নৌ পথে নামে বেনামে টোল আদায়ের নামে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বেপরোয়া লাঠিয়াল ও অস্ত্রধারী চক্র নৌ পরিবহনগুলো থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদাবাজি করে আসছে। এতে বালু পাথর, কয়লা চুনাপাথর পরিবহন কাজে থাকা নৌ শ্রমিক -মালিক ও ব্যবসায়ীরা নানামুখী হয়রানী, হুমকি ধামকি এমনকি মারধরের শিকার হচ্ছেন।
শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নাম ভাঙ্গিয়ে উপজেলার প্রভাবশালী ও দাঙ্গাবাজ সন্ত্রাসীদের লালনকারি ইয়াকবীর আফিন্দী সুরমা ও বৌলাই নদীতে টোল আদায়ের নামে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করছেন।
চাঁদাবাজিতে তাকে পর্দার আড়ালে থেকে রাজনৈতিক দলের বেশ ক’জন চাঁদাখোর খ্যাত নেতাও জড়িত রয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতা প্রদবী ধারীদের প্রভাব খাটিয়ে নৌ পথে বালু পাথর ও কয়লা চুনাপাথর ও বিভিন্ন মালামা পরিবাহি নৌযান থেকে জোর পুর্বক নিজেদের মর্জি মাফিক চাঁদা আদায় করেন ইয়াকবীর গংলা।
নদীর তীরে বালু-পাথর কয়লা চুনাপাথর ডাম্পিং করলেও এ চক্রকে প্রতি ফুটে দুই টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। চাঁদাবাজীর কারনে নদী তীর ও বালু-পাথর ও কয়লা চুনাপাথর ব্যবসার সাথে জড়িত নৌ শ্রমিক, মালিক ও বক্যবসায়ীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছেন।
অতচ বিআইডব্লিউটি’র দায়িত্বশীল কতৃপক্ষ ব্যবসায়ী নৌ যান শ্রমিক, মালিকদের সম্প্রতি জানিয়েছেন সুরমা ও বৌলাই নদীতে টোল আদায়ের জন্য কাউকে ইজারা প্রদান করা হয়নি।
বক্তারা নৌপথে চাঁদাবাজি, হয়রানী ও শ্রমিক , মালিক ব্যবসায়ীদেও নির্যাতন বন্ধে জেলা , উপজেলা , পুলিশ সহ আইনশৃংখলা বাহিনী ও সরকারের দ্রুত সহায়তা চেয়েছেন।
অন্যথায় জেলা সকল নৌপথ অবরোধসহ কঠোর আন্দোলন কর্মসুচি দেয়া হবে বলেও হুশিয়ারী প্রদান করেন।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আসাদ আলী, ইউপি সদস্য আলী আহমদ, মোশারফ হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন, খলিলুর রহমান, ব্যবসায়ী মাওলানা মো. এমদাদুল হক, শ্রমিক নেতা কামরুল ইসলাম, নৌযানের সুকানী বশির আহমদ, নৌ মালিক আবদুর রাজ্জাক সহ ভোক্তভোগী নৌযান শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্ধ প্রমুখ।
মানববন্ধনে বালু-পাথর, কয়লা চুনাপাথর নৌ পথে পরিবহনে থাকা শ্রমিকরাছাড়া ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিগণসহ পাঁচ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
রবিবার রাতে অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে অভিযুক্ত ইয়াকবীর আফিন্দীর বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও কল রিসিভ না করায় কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।