স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে এক কিশোরকে নিয়ে স্থানীয় কিছু অনলাইন পত্রিকায় মিথ্যা, মনগড়া ও মানহানীকর ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করায় মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে কিশোর। এ ঘটনায় সে আতœহত্যার চেষ্টাও করেছে। স্বজনরা তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে এ পথ থেকে ফেরালেও সে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। এ ঘটনায় সে মানসিক আঘাত পেয়েছে বলে জানান স্বজনরা। তারা অনলাইন পত্রিকায় ভূয়া সংবাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দাবি করেছেন।
বিভিন্ন সংবাদপত্রে পাঠানো প্রেসরিলিজ থেকে জানা যায়, জগন্নাথপুর উপজেলার জয়দা গ্রামের টুনু মিয়ার কিশোর ছেলে সালমান আহমদ (১৫) ওসমানী নগর উপজেলায় একটি ফাস্টফুড দোকানে চাকুরি করে। গত ৩০ আগস্ট স্থানীয় ২-৩টি অনলাইন পত্রিকায় সালমানকে নিয়ে মিথ্যা ও মানহানীকর বানানো সংবাদ প্রকাশিত হয়। যেদিনের ঘটনা দেখিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয় সেদিন সে দোকানে কাজ করছিল বলে জানান স্থানীয় লোকজন। কয়েকটি অনলাইন পত্রিকায় ‘ছাগল চুরির কারণে সালমানের চুল কর্তন’ নামে একটি ভূয়া সংবাদ প্রকাশ করা হয়। গত ২০ আগস্ট ঘটনাটি ঘটেছে উল্লেখ করে সংবাদে উল্লেখ করা হলেও ওই দিন এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। গ্রামে এ নিয়ে কোন শালিস বৈঠকও বসেনি এবং এলাকায় ছাগল চুরির কোন ঘটনা ঘটেনি বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। স্বজনরা জানান, গ্রামের আব্দুল মোতালেব নামের জনৈক ব্যক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে অনলাইন সাংবাদিকের মাধ্যমে এই মিথ্যা ও মানহানীকর বানানো সংবাদ প্রকাশ করান। গ্রামের ছালিক মিয়া, জিলু মিয়া, আব্দুল হক, আকল মিয়া, ফুল মিয়া, টিটো মিয়া, ছেরাগ আলী, পাবলু মিয়া বলেন, আমাদের এলাকায় ছাগল চুরি, শালিস ও চুল কর্তনসহ এমন কোন ঘটনাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন এলাকায় ছাগল চুরি বা চুল কর্তনের কোন ঘটনাই ঘটেনি।
কিশোরের পিতা টুনু মিয়া বলেন, আমার কিশোর ছেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যা ও মানহানীকর অসত্য সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুত্র আতœহত্যার চেষ্টা করেছে। আমরা তাকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে স্বাভাবিক রেখেছি। কিন্তু সে বড় মানসিক আঘাত পেয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইউপি সদস্য আব্দুস সামাদ বলেন, বিভিন্ন অনলাইনে সালমানকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার কোন সত্যতা নেই। কারণ গ্রামে ছাগল চুরি, শালিস বা চুল কর্তনের কোন ঘটনা ঘটেনি। একটি কুচক্রি মহল সালমানের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিয়ে এই ঘৃন্য কাজটি করেছে।