স্টাফ রিপোর্টার::
নির্ধারিত সময়েও সুনামগঞ্জের ১ হাজার ৭৮টি ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ না হওয়ায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিন কমিটি সার্বক্ষণিক তদারকি শুরু করেছে বলে ৪ মার্চ শনিবার রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময়সভায় জানিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল আহসান। দিনে তার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সুনামগঞ্জ সদর, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওর পরিদর্শন করেন। এসময় তারা সংশ্লিষ্ট পিআইসিদের আগামী ৭ মার্চের মধ্যে কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন।
শনিবার দুপুরে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজ তদারকির সময় সচিব জানান, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও সহকারি সচিবদের নিয়ে ৯ সদস্য বিশিষ্ট ৩টি পৃথক টিম গঠন করা হয়েছে। তারা সুনামগঞ্জের হাওরের ফসলরক্ষা বাধ নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন। রাতেও মতবিনিময় সভায় এ কতা জানান তিনি।
সচিব এ সময় বলেন, সুনামগঞ্জের হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় সরকার ২০১৭ সন থেকে পিআইসির মাধ্যমে কৃষকদের নেতৃত্বে বাধের কাজ বাস্তবায়ন করছে। ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ১ হাজার ৭৮ টি পিআইসির মাধ্যমে হাওর এলাকায় ৭৪৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত করা হচ্ছে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সময় আরো এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। তাই আগামী ৭ মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে। মতবিনিময় সভায় দুর্নীতিবাজ চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বোরো ভা-ার হাওরের ফসল যাতে কৃষকরা ভালোভাবে উত্তোলন করতে পারে সেজন্য সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে উল্লেখ করে সচিব বলেন, বাঁধের কাজে অনিয়ম গাফিলতি হলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে। তদারকি টিম অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার বিষয়টিও দেখভাল করবে। তাছাড়া প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষা করে প্রকল্প বাস্তবায়নের আহ্বান জানান তিনি।
হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধ পরিদর্শনকালে সচিবের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিউর রাহিম জাদিদ প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আমজাদ, আবু সুফিয়ান, এলজিিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম, সাংবাদিক পঙ্কজ দে, লতিফুর রহমান রাজু, শামস শামীম প্রমুখ।