দিরাই প্রতিনিধি:
অশ্রুসিক্ত নয়নে শেষ হল দিরাই মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতিরঞ্জন দাসের ৩৬ বছরের কর্মজীবন। কর্মদিবসের শেষ দিনে প্রিয় স্যারের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে সহকর্মীরাও চোখের জল ফেলে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। বৃহস্পতিবার অফিস কক্ষে নবগঠিত বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক রতি রঞ্জন দাসের শেষ কর্ম দিবস নিয়ে আলোচনা করা হয়।
কমিটির সভাপতি মতিউর রহমান গৌছ মিয়ার সভাপতিতে অন্যদের মধ্যে উপস্থি ছিলেন, সদস্য পৌরসভার প্যানেল মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক গোলাম মোস্তাফা রুমি, প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, যুগ্ম সম্পাদক আবু হানিফ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ প্রশান্ত সাগর দাসসহ সহকারি শিক্ষকবৃন্দ। রতি রঞ্জন দাস ১৯৯৯ সালে এই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত গ্রহন করেন। দীর্ঘ ১৯ বছর এই বিদ্যালয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে অনেক গৌরব অর্জন করেছেন। তিনি ৩ বার উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষকের সম্মাননা লাভ করেন। ২০১৬ সালে ¤্রষ্ঠে শিক্ষক হিসেবে তাকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয় কর্তৃক সরকারিভাবে বিদেশ সফর করেন। তিনি শিক্ষক নেতৃত্বসহ সামাজিক,সাংস্কৃতিক অঙ্গনে উনার অগ্রনী ভুমিকা রাখার কারনে অনেক সুনাম অর্জন করেন। উনার স্ত্রী উত্তর চানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিপিকা দস্তিদার এবার ¤্রষ্ঠে জননী হিসেবে উপজেলা জয়িতার পুরস্কার প্রাপ্ত হন। উনার বড় মেয়ে রাখী রানী দাস সহকারী পুলিশ সুপার( ৩৩ তম বি,সি, এস), মেঝো মেয়ে ডাঃকেয়া দাস,এম, বি, বি এস মেডিকেল অফিসার (রাগীব রাবেয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল), ও ছোট মেয়ে পারমিতা দাস. কম্পিউটার সাইন্স এণ্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়ণরত ও কণ্ঠ শিল্পী। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান শিক্ষক রতিরঞ্জন দাসের বিদায়ী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।