স্টাফ রিপোর্টার::
পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেছেন, হাওরের ফসলরক্ষা বাধের যথাযথভাবে করতে নীতিমালা পরিবর্তন করা হয়েছে। এখন আর কাজের অনুমোদন ঢাকা থেকে আসবে না। অনুমোদন এখানেই দেওয়া হবে। কাজের অনুমোদনের জন্য নীতিমালা বা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দিকে না চেয়ে দায়িত্ব নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের ফসলরক্ষা বাধের কাজ চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে ফসলরক্ষা বাধের সম্পূর্ণ কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি বলেন, টাকার অভাবে আর হাওরের বাধ আটকে থাকবেনা।
বৃহষ্পতিবার রাতে সুনামগঞ্জ সার্কিট হাউসে ফসলরক্ষা বাধের কাজ বিষয়ে এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ আলোচনাসভায় বক্তব্য রাখেন সনামগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ অ্যাডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ, বিশ্বনাথ বালাগঞ্জ আসনের সাংসদ এহিয়া চৌধুরী, পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর সিদ্দিক ভূইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুজ্জামান, জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম বিল্লাহ, ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মামুন খন্দকার, দিরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এছাড়াও উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন হাওর বাচাও সুনামগঞ্জ বাচাও আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সদস্য সচিব বিন্দু তালুকদার, সাংবাদিক শামস শামীম, সাংবাদিক মাসুম হেলাল, সাংবাদিক এমরানুল হক চৌধুরী, সাংবাদিক সেলিম আহমেদ, জাতীয় পার্টি নেতা সাহাব উদ্দিন, আব্দুর রশিদ, মনির উদ্দিন, চেয়ারম্যান এরশাদ মিয়া, জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
আলোচনাসভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী, সিলেটের প্রকৌশলী ও হাওর উন্নয়ন অধিদপ্তরের পরিচালকও উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন আর যেন দুর্যোগের মুখে না পড়ে হাওরবাসী। টাকার অভাব এবং গাফিলতির জন্য যাতে বাধের কাজ আটকে না থাকে সেকথা তিনি বলেছেন মন্ত্রী বলেন, টাকার জন্য কাজ ফেলে রাখবেননা। আমাকে জানালে আমি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
হাওরাঞ্চলের নদ নদী খননে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এখানে স্থাযী ড্রেজার রেখে স্থায়ীভাবে প্রতি দুই বছর পরপর খনন করা হবে। যাতে ভারতের মেঘালয় থেকে বালু ও পলি এসে আবার নদী গুলো ভরাট না হয়।