স্টাফ রিপোর্টার::
শনিবারের ঝড়ো হাওয়ায় সুনামগঞ্জের ৩৩ হাজার কেভি লাইনের নানা স্থানে খুটি ভেঙ্গে পড়ায় প্রায় ২২ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎহীন আছে সুনামগঞ্জ জেলার প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার গ্রাহক। শনিবার দুপুর ১২টার আগে বিদ্যুৎ চলে যাবার পর রবিবার ১১টার পর বিদ্যুতের দেখা পায় গ্রাহকেরা। এই দীর্ঘ সময় অবর্ণণীয় দুর্ভোগে কাটাতে হয়েছে তাদের। জেলা শহরসহ কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গ্রামে এবং কয়েকটি উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার গ্রামে এখনো বিদ্যুত আসেনি।
সুনামগঞ্জ বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে পিডিবির অধীনে প্রায় ২০ হাজার গ্রাহক রয়েছে। ষাটের দশকে নির্মিত ছাতকের ৩৩ হাজার কেভি লাইনের মাধ্যমে ছাতক সাব স্টেশন থেকে বিদ্যুৎ এনে পিডিবি এই গ্রাহকদের সেবা দিয়ে আসছে। তবে একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই এই লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভোগান্তির মুখে পড়েন গ্রাহকেরা। একই সাব স্টেশন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও আলাদা লাইন নির্মাণ করে তাদের প্রায় দেড় লাখ গ্রাহককে সেবা দিয়ে আসছে। শনিবারের টানা ঝড়ো হাওয়ায় পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিবির লাইনও বিভিন্ন স্থানে খুটি নিয়ে ছিড়ে পড়েছে। ফলে শনিবার দুপুর ১২টা থেকেই পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। দুর্যোগর্পূণ আবহাওয়ার কারণে মানুষ নানা সমস্যায় থাকলেও বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়ে। বিশেষ করে শহরের লোকজন পড়ে বিপাকে। বিদ্যুতের অভাবে বাসা বাড়িতে পানি তোলতে পারেনি লোকজন। পুরো রাত অন্ধকারে কাটাতে হয়েছে সবাইকে।
জানা গেছে শনিবার দুপুর ১২টায় বিদ্যুৎ চলে যাবার পর ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্থ লাইন সংস্কারে বের হতে পারেনি। রবিবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ ও পিডিবির কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত লাইন খুজে সংস্কারে নেমেছে। দুপুরে সংযোগ দেয় তারা।
এদিকে বিদ্যুৎ বন্ধ থাকায় সকল মোবাইল অপারেটরদের সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। বিকল্প ব্যবস্থায় গ্রাহককরা কিছু সংযোগ চালু রাখলেও গ্রামীন ফোন বাদে অন্যান্য অপারেটরদের টাওয়ারগুলো বিদ্যুতের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মোবাইল টেটওয়ার্কও নেই।
সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জেনারেল ম্যানেজার সোহেল পারভেজ বলেন, আমাদের ৩৩ হাজার কেভি লাইনের অনেক স্থানে খুটি ভেঙ্গে তার ছিড়ে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার ঝড়ো হাওয়ার কারণে কর্মীরা বের হতে পারেনি। আজ সকাল থেকেই তারা বিভিন্ন স্থানে ত্রুটিপূণূ লাইন খুজে মেরামত করছে।