স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার রঙ্গারচর ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামে পল্লী চিকিৎসক হেলাল মিয়া (৫২) এর উপর হামলা ও তার বাড়ীঘর ভাংচুরসহ লুঠতরাজের দায়ে দায়েরকৃত অভিযোগের তদন্ত করেছে পুলিশ। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই মোশাররফ হোসেন সরজমিনে গিয়ে মামলাটির তদন্ত ও ঘটনাস্থলের ভিডিওচিত্র এবং এলাকাবাসীর জবানবন্দী গ্রহন করে এসেছেন। গত ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় ভূক্তভোগী পল্লী চিকিৎসক বাদী হয়ে ২৭ জনকে আসামী করে থানায় মামলার অভিযোগটি দায়ের করেছেন।
দায়েরকৃত অভিযোগে স্থানীয় দক্ষিণ নৈগাং গ্রামের রহমান মিয়ার পুত্র মস্তু মিয়া, শাহপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশীদের পুত্র সাত্তার মিয়া, মৃত সৈয়দ আলীর পুত্র আব্দুল হেলিম,লিয়াকত আলী,আব্দুল মন্নান,আব্দুল হেলিম এর পুত্র লোকমান হোসেন,সোলেমান মিয়া,আব্দুল হান্নান,আবুল হোসেন,লিয়াকত আলীর পুত্র আক্রাম হোসেন,আবুল হোসেন-২,মোবারক হোসেন,আব্দুল মন্নান এর পুত্র আলমগীর,আমজাদ,মৃত আব্দুর রশিদের পুত্র মুছা মিয়া,মুছার পুত্র হাবিবুর রহমান হাবি,আজি রহমান,আনোয়ার হোসেন,মনির হোসেন,মৃত অলিল মিয়ার পুত্র হযরত আলী,আব্দুস ছাত্তারের স্ত্রী রাশেদা বেগম,আব্দুল মন্নানের স্ত্রী আজমিলা বেগম,মুছা মিয়ার স্ত্রী নুরী বেগম,লোকমান হোসেন এর স্ত্রী নুর মোহাম্মদের মা,মৃত রইছ মিয়ার পুত্র দেলোয়ার আলী ও দোয়ারাবাজার থানার মাঠগাও গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের স্ত্রী চানমালা বিবিকে আসামী করা হয়েছে। মামলার বিবরণে প্রকাশ, গত ৮ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টায় মস্তু সুদের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে হেলাল মিয়ার বাড়ীতে গিয়ে তার উপর হামলা করে ও তার স্ত্রী আকলিমা বেগমের কাছ থেকে ১৬ হাজার টাকা ছিনতাই করে নেয়। এ ঘটনার দায়ে হেলাল মিয়া বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে সদর থানার ওসি (নিরস্ত্র) আতিকুর রহমান সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসী মস্তকে আটক ও ঘটনার তদন্ত করলে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই আপোষে শেষ করার কথা বলে আসামীকে তদন্ত কর্মকর্তার কাছ থেকে ছাড়াইয়া নেন। পরে চেয়ারম্যান আব্দুল হাই,মেম্বার এরশাদ আলী,সাংবাদিক আল-হেলাল এর উপস্থিতিতে থানায় বসে ঘটনাটি নিস্পত্তি হয় এবং আসামী মস্তু মিয়া পুলিশ প্রশাসনের কাছে মুচলেকা দেয়।