জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
জগন্নাথপুরে ধর্ষণের পর কিশোরীকে মারধর করে আহতাবস্তায় নদীর পারে ফেলে যান যুবক। বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে উপজেলার চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল গাঙ্গপার এলাকা থেকে গুরুতর আহতাবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। পরবর্তীতে জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওই কিশোরিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ওইদিন রাতে জাবেদ নামের একজনকে আটক করে বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
আটককৃত ব্যক্তি জগন্নাথপুর পৌরসভার ইকড়ছই (আমবাড়ি) গ্রামের আফসর উদ্দিনের ছেলে জাবেদ মিয়া (৩২)।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন থেকে ভুক্তভোগী ওই তরুণীর সঙ্গে জাবেদের প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। বুধবার দুপুরে ওই কিশোরী জাবেদকে বিয়ের জন্য চাপ দেন। এক পর্যায়ে জাবেদ ওই কিশোরীর সাথে দেখা করেন। বিয়ের বিষয় নিয়ে জাবেদের সাথে তার প্রেমিকার কথা কাটাকাটি হয় একপর্যায়ে জাবেদ তাকে মারধর এবং ধর্ষণ করেন। পরে জাবেদ তার বাড়ি থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সমধল গাঙ্গপারে ফেলে পালিয়ে যায়।
চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল মিয়া বলেন, ‘ওই কিশোরীকে গুরুতর আহত অবস্থায় সমধল গাঙ্গপারে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় এলাকাবাসী । বিষয়টি আমাদেরকে জানালে আমরা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্ত্যবরত চিকিৎসক রুবেল হোসেন বলেন, ‘মেয়েটির শরীরের বিভিন্ন অংশে প্রচন্ড আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মারধরের আগে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে মেয়েটি আমাদেরকে জানায়। তবে তার শারিরীক অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঞা বলেন, ‘আমরা জাবেদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছি। দুজনেই মাদকসেবী। তারা এক সঙ্গে স্বামী স্ত্রীর মতো বসবাস করতো। ঘটনার পর মেয়েটিকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’