।। মো.অাব্দুল মতিন।।
অামার বন্ধু সুশান্ত। পুরোনাম সুশান্ত দাস গুপ্ত।বাংলাদেশের সংসদ সদস্যদের সাথে জনগণের দ্রুত যোগাযোগের অনলাইন সেতু অামার এমপি ডট কম এর প্রতিষ্ঠাতা এবং কিছু দিন অাগে তাঁর সেই উদ্যোগ টি ভারতের নয়া দিল্লীতে M billionth SouthAsia Award 2017 তে ভূষিত হয়েছে। যাদের তাঁর সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তারা তাঁকে কিভাবে দেখেন সেটা তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। অামরা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২০ একরের ক্যাম্পাসে একসাথে বেড়ে উঠেছি,মিথস্ক্রিয়া হয়েছে তাই তাঁর সম্পর্কে শুনা নয়,দেখা অভিজ্ঞতা। তাঁর গুণ মানুষকে সহজে অাপন করে নেয়,বন্ধু বৎসল,সদালাপী,মানবিক,অকুতোভয় ; কিন্তু বঙ্গবন্ধুর মুল চেতনার বিরোধী অাপন পর যেই হোক সে একচুল ও ছাড় দিতে রাজী নয়। এটি তাঁর বিরল রাজনৈতিক অাদর্শের গুণ যা অাজ অনেক কৃত্রিম বড় নেতাদের মধ্যে ও নেই। দেশে এবং ইংল্যান্ডে সে ‘Civil and Environmental Engineering’ এর ডিগ্রি ধারী একজন প্রতিভাবান প্রকৌশলী। ইংল্যান্ড অাওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয়; হয়তো হৃদয়ে লালন করে নিজদেশে জনপ্রতিনিধি হয়ে ভবিষ্যতে
দেশের জন্য কিছু করবে এটাতো দোষের কিছু নয়? বরং এরকম প্রতিভায় অপেক্ষায় ভবিষ্যত বাংলাদেশ। এছাড়া ক্যাম্পাসে রাজনীতি করে যারা তাঁদেরকে রাজনীতিতে সক্রিয় হলে যে হাওরের প্রতিকূল ঢেউ অার হিজল, বরুন,করচের ভিড়ের বিষাক্ত সাপদের ফনা ডিঙ্গিয়ে রাজপথে যেতে হয় তা তাঁদের কে শেখাতে হয়না। অামরা সাস্টিয়ান দেশে,বিদেশে অামাদের ভবিষ্যত প্রতিনিধির তালিকায়তো ইতোমধ্যে সুশান্তকে তালিকা ভুক্ত করেই রেখেছি। তাঁর সৃজনশীল কর্মকান্ডে অামরা দলমত নির্বিশেষে দারুণ উদ্দীপ্ত হই। তাঁর গতকালের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পড়ে মনটা খারাপ হয়েগে। সে লিখেছে,
“গতকালকে বাসায় একটি চিঠি পেলাম-যথারীতি বেনামী। হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি। হত্যার হুমকি দিয়ে তালিকা বা বেনামে চিঠি এর আগে ও বহুবার পেয়েছি। কিন্তু এবারের বিষয়টি ভিন্ন। পরিবার পরিজন, স্ত্রী সন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়াতে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি এবং লন্ডনের ফরেস্ট গেইট পুলিশকে জানিয়েছি, পুলিশ চিঠিটি ফরেনসিক টেস্টে পাঠিয়েছে।” কি জঘন্য মানসিকতা! মানুষ কারে সাথে দ্বিমত দেখা দিলে,রাজনীতির প্রতিপক্ষ হলে,ভিন্ন অাদর্শ হলে তাকে নিবৃত করার জন্য সপরিরে হত্যার হুমকিদেখানোর মতো কাপুরুষতস? বেনামীচিঠি দিয়ে হুমকির দৃষ্টতা! ধিক্কার জানাই। জড়িতদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি অাশা করতেই পারি। বন্ধু তোমার পরবর্তী জবাবটি সঠিকই হয়েছে,
“It doesn’t matter if I am safe or not. It doesn’t matter if I am at London or Habiganj. Nobody could stop me speaking the truth. The challenge is on.”। তোমার কিসের ভয়? দেশবিদেশে অামরা তোমাকে অভিষ্ট লক্ষে পৌছে দেয়ার জন্য এখনো জীবিত অাছি। তুমি এগিয়ে যাওও ভয় হীন চিত্তে। জয় তোমার হবেই। ওরা বরং তোমাকে ভয় দেখিয়ে বড় করে দেবার দায়িত্ব নিয়েছে অবচেতন মনে।
কবি হেলাল হাফিজের ‘ তীর্থ’ কবিতার কয়েকটি লাইন তোমার জন্য উৎসর্গ করেছেন,
“ভয় দেখালে ভয় পায়না অনেকে,
তবু তাকে সে ভয় দেখালে?
যে মানুষ জীবনের সবকটি শোক- দ্বীপে গেছে,
সবকিছু হারিয়েই সে মানুষ
হারাবার ভয় হারিয়েছে,
তারপর তীর্থ হয়েছে। ”
স্নেহের মী ও নী মা মনিকে নিয়ে ভাল থাকিস বন্ধু। অনেক ভাল। অবিরাম শুভ কামনা।
লেখক: মো.অাব্দুল মতিন
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ
শাহজালাল মহাবিদ্যাল
জগন্নাথপুর,সুনাম গঞ্জ।