1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
বাদাঘাটে যুবদলের ইফতার ও দোয়া মাহফিল তাহিরপুরে কামরুলের বৃহত্তম ইফতার মাহফিলে তৃণমূল নেতাকর্মীদের জোয়ার ডিআইজি বাতেন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা তাহিরপুরে কামরুলের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল: নেতাকর্মীদের দেশের স্বার্থে কাজ করার আহ্বান দেহপসরা’ কবি আমিনা শেলীর শারিরীক ও মানসিক আভার এক অনবদ্য কাব্য দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে উড়াল সড়ক প্রকল্পের ৯ প্যাকেজের কাজ সুনামগঞ্জে আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩ পদে আ.লীগ প্রার্থীরা জয়ী নির্বাচিত সরকার ছাড়া সংস্কার বৈধতা পায় না : মির্জা ফখরুল সোমবার থেকে বিএনপির ‘প্রাথমিক সদস্য পদ নবায়ন’ শুরু হাওরে দেশি ধান চাষ কমছেই, বাড়ছে হাইব্রীড ধান চাষ

রাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবস: মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা করায় দুইশ মানুষকে হত্যা করে পাকিস্তানী হায়েনারা

  • আপডেট টাইম :: শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭, ৯.৫১ এএম
  • ৫৪৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
১৯৭১ সনের ১ সেপ্টেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগিতার অভিযোগে সুনামগঞ্জের তৎকালীন নৌবন্ধর খ্যাত রাণীগঞ্জ বাজারে আকষ্মিক নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে প্রায় দুই শতাধিক নীরিহ বাঙ্গালিকে হত্যা করে পাক হায়েনারা। উপজেলার হবিবপুর গ্রামের রাজাকার রেজাক মিয়া ও এহিয়া মিয়া পাক হানাদারদের রাণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে এসে এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। যাওয়ার সময় বাজারের কেরোসিনের দোকান থেকে ড্রাম এনে কেরোসিন ঢেলে বাজার জ্বালিয়ে দেয়। সুনামগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে রাণীগঞ্জ ও শ্রীরামসি গ্রামেই সর্ববৃহৎ গণহত্যা সংগঠিত হয়। স্বাধীনতার ৪৪ বছর পরও গণহত্যায় শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা সম্ভব হয়নি। নেওয়া হয়নি স্মৃতি সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ।
রাণীগঞ্জ গণহত্যায় আহত বাজারের ব্যবসায়ী মজম্মিল মিয়া (৬৭) জানান, ১৯৭১ সনের ১ সেপ্টেম্বর দুপুরে সাড়ে ১২টায় হবিবপুর গ্রামের রাজাকার রেজাক মিয়া ও এহিয়া পাক হানাদারদের রাণীগঞ্জ বাজারে নিয়ে আসে। মুক্তিযুদ্ধাদের সহায়তার অভিযোগে বাজারে আগত দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ীদের তার দোকানে ডেকে জড়ো করে আনার পর পাক বাহিনী নির্বিচারে ব্রাশফায়ার হত্যা করে অন্তত দুইশত মানুষকে। এর মধ্যে কয়েকদিন পরে এসে মানুষ মাত্র শহীদ ৩৪ জনকে শনাক্ত করতে পেরেছিলেন। তিনি পিটে ও উড়–তে গুলিবিদ্ধ হয়ে একটি পা হারিয়ে বাথরুসে আশ্রয় নিয়ে কোন রকম বেঁচে গিয়েছিলেন। অধিকাংশ শহীদের লাশ বর্ষার খর¯্রােতা কুশিয়ারা হয়ে ভেসে যায় বলে তিনি জানান।
এই নৃশংসতার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী তৎকালীন সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আলীপুর গ্রামের নিশিকান্ত রায় জানান, কুশিয়ারা নদী হয়ে ভেসে যাওয়া গণহত্যায় নিহতের লাশ কাক শকুনে খায়। হানাদারদের ভয়ে মানুষ এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় লাশ উদ্ধার সম্ভব হয়নি। এ গণহত্যার খবর তখন নয়াদিল্লী থেকে বিসিসিতে প্রচার হয়েছিল বলে তিনি জানান।
মুক্তিযোদ্ধাদের অভিযোগ স্বাধীনতার ৪৬ বছর পরও গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে কোন স্মৃতিসৌধ নির্মিত হয়নি। শহীদদের স্মরণে স্মৃতি সংরক্ষণ ও গণহত্যাস্থল চিহ্নিত করার উদ্যোগও নেওয়া হয়নি। দায়সারাভাবে রাণীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যবর্তী শহীদ মিনার সংলগ্ন একটি স্মৃতি ফলক প্রতীক হিসেবে গণহত্যার স্মৃতি স্মরণ করছে। জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ ১৯৯৪ সনে একটি ফলক নির্মাণ করে সেখানে ৩৪ জন শহীদ ও আহত তিনজনের নাম ফলকে লিখে দেয়। এই ফলকটিও অরক্ষিত।
রাণীগঞ্জ গণহত্যা দিবসে আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও শহীদ স্মৃতি পাঠাগার আলোচনাসভার আয়োজন করেছে।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!