তমাল পোদ্দার, ছাতক::
ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ছাতকের নি¤œাঞ্চলসহ বির্স্তীণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বর্তমানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে বিপদসীমার উপর দিয়ে। বন্যার পানি প্রবেশ করেছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। ফলে ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘোষনা ছাড়াই বন্ধ হয়ে গেছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য কোন আশ্রয় কেন্দ্র খোলার খবর এখনও পাওয়া যায়নি। সুরমা নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার, চেলা নদী ৬০ সেন্টিমিটার ও পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই কারনে নদী ভাঙ্গনে হুমকীর মুখে পড়েছে কয়েকটি গ্রাম। এসব নদীর পানি প্রবল বেগে প্রবাহিত হওয়ায় নৌপথে ছোট-ছোট ফেরী নৌকা চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়ক যোগাযোগ যে কোন সময় বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশংকা রয়েছে। ইসলামপুর ইউনিয়নের রতনপুর, নিজগাঁও, গাংপাড়, নোয়াকোট, বৈশাকান্দি, বাহাদুরপুর, নোয়ারাই ইউনিয়নের বারকাহন, বাতিরকান্দি, চরভাড়া, কাড়–লগাঁও, লক্ষীভাউর, চাঁনপুর, মানিকপুর, ছাতক সদর ইউনিয়নের বড়বাড়ী, আন্ধারীগাঁও, মাছুখালী, তিররাই, মুক্তিরগাঁও, উত্তর খুরমা ইউনিয়নের আমেরতল, ঘাটপার, গদারমহল, রুক্কা, এলঙ্গিঁ, চরমহল্লা ইউনিয়নের ভল্লবপুর, চরচৌলাই, দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের হরিশপুর, হাতধনালী, রাউতপুর, ধনপুর, চৌকা, কালারুকা ইউনিয়নের রামপুর, মালিপুর, দিঘলবন, আরতানপুর, রংপুর, মুক্তিরগাও, ভাতগাঁও ইউনিয়নের জালিয়া, ঘাঘলাজুর, হায়দরপুর, বাদে ঝিগলী, সিংচাপইড় ইউনিয়নের গহরপুর, মহদী, গোবিন্দগঞ্জ পুরান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকার প্রায় লক্ষাদিক মানুষ পানিবন্দি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বন্যার পানিতে সম্পূর্নভাবে তলিয়ে গেছে বীজতলা ও আমন ক্ষেত। মানিকগঞ্জ, লক্ষিবাউর, চরমহল্লা, আলীগঞ্জ বাজারে পানি প্রবেশ করায় গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে গেছে। ওই কারনে উপজেলা ও জেলা সদরের সাথে এসব এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় কোন ধরনের ত্রান সামগ্রী বিতরন লক্ষ্য করা যায়নি। দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র দাস জানান, বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। মৎস্য কর্মকর্তা ড. খালেদ কনক বলেন, কয়েকটি মৎস্য খামার তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। কৃষি কর্মকর্তা কেএম বদরুল হক বলেন, বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় শতাধিক হেক্টর রোপনকৃত আমন জমি ও বীজতলা। এতে কৃষকগণ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উল্লাহ খান বলেন, বন্যা দূর্গতদের সহায়তার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।