1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৫৮ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
পৃথিবীকে গুরুত্ব দিয়ে এডিবির সেফগার্ড পলিসি সংশোধনের দাবিতে সুনামগঞ্জে অভিনব কর্মসূচী পরকীয়ার অভিযোগে স্ত্রীকে খুন করার ঘটনায় স্বামীর যাবজ্জীবন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.২ ডিগ্রি অব্যাহত! সুনামগঞ্জে প্রাণ ও প্রকৃতির সুরক্ষায় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কার্যক্রম শুরু গরমে অতি উচ্চ ঝূকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের সতর্কতা কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গাকে ভোটার করা হয়েছে জানতে চান হাইকোর্ট সোনার দাম ২১০০ টাকা কমলো প্রতি ভরিতে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ভুতুড়ে বিলে দুশ্চিন্তায় দিনমজুর কবীর দিরাই-শাল্লায় উপজেলা নির্বাচনে প্রতীক পেলেন ২৯ প্রার্থী সুনামগঞ্জের চার উপজেলায় ৫৫জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ

হাওরের পিআইসি কারবারিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে

  • আপডেট টাইম :: শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩, ৬.৩৫ পিএম
  • ৯১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি::
হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কারে পিআইসি (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) তদবিরের মাধ্যমে অনুমোদন করিয়ে সুবিধা নিচ্ছে একটি পেশাজীবী চক্র। বিভিন্ন প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপের প্রভাবশালীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার (এসও) কে প্রভাবিত করে প্রতি বছরই পিআইসি আদায় করে নিচ্ছে। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের নগদ অর্থ। এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের দুর্নীতিবাজ চক্র ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা সেকশন অফিসারের কার্যালয়ের আরেকটি চক্র দুর্নীতি ডাকতে উপজেলার বিভিন্ন প্রেসার ক্রিয়েট গ্রুপকে পিআইসি উপহার দিচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে জেলা ও উপজেলা কমিটিতে আছেন এমন সদস্যরাও তদবিরের মাধ্যমে পিআইসি আদায় করে নগদ অর্থ কামিয়ে নিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসও মাঠ পর্যায়ে গণশুনানী করে প্রিআইসি প্রস্তুত করে করার কথা। কিন্তু নীতিমালা অনুযায়ী সেটা হয়না। কৃষকদের বদলে অকৃষক ও ভূমিহীনরাও পিআইসি পেয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া এসময় অক্ষত, অপ্রয়োজনীয় ও অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প প্রস্তুত করে মোটা অংকের বরাদ্দ দেওয়া হয়। পিআইসি নিতে আগ্রহীরা তখন তাদের সঙ্গে আঁতাত করে বরাদ্দ বাড়িয়ে নিচ্ছে। এতে সরকারের বিরাট অংকের অর্থ অপচয় হচ্ছে। এসব দুর্নীতি ডাকতে বিভিন্ন উপজেলার সাংবাদিক, বিভিন্ন প্রভাবশালী গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাসহ অনেককে পিআইসি উপহার দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেয়া হয়। এছাড়াও প্রভাবশালী গোষ্ঠীর কিছু সদস্য জেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটিতে থাকার কারণে বিভিন্ন উপজেলায় পিআইসি দেওয়ার জন্য তদবির করেন। সংশ্লিষ্টরা তাদের তদবির রাখতে পিআইসি দেন। পিআইসি অনুমোদন বাবত এসব সদস্য পিআইসিদের কাছ থেকে নগদ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
গত ৪ মার্চ রাতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত পানি সচিবের মতবিনিময় সভায় ‘পিআইসি দুর্নীতি অপেন সিক্রিট’ বলে মন্তব্য করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য এডভোকেট আলী আমজাদ। তিনি বলেন, জেলার সবাই জানে পিআইসি টাকা দিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। ইউএনও ও এসওসহ ক্ষমতাসীন দলের একটি চক্র টাকা নিয়ে পিআইসি অনুমোদন দিচ্ছে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাওরবাসীর জন্য দেওয়া বিপুল বরাদ্দ লুটপাট হচ্ছে। সরকারের উন্নয়ন অর্জন এই দুর্নীতিবাজদের কারণে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এই পিআইসি সিন্ডিকেটের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
জেলা কাবিটা মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পঙ্কজ দে বলেন, আমরা খবর পাই কমিটি থেকে থেকে দু’একজন পিআইসির জন্য তদবির করেন। তারা এভাবে একাধিক পিআইসি আদায় করেও নেন। সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা আমাদেরকে তাদের তদবির অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন।
হাওরের কৃষি ও কৃষক রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, আমাদের আন্দোলনের ফসল পিআইসিকে বিতর্কিত করতে ষড়যন্ত্র করছে বিভিন্ন মহল। সব দল মিলে পিআইসি বাণিজ্য করছে। সরকারের বাস্তবায়ন কারীরাও জড়িয়ে পড়ছে দুর্নীতিতে। বিভিন্ন মহলকে পিআইসি উপহার দেওয়াসহ পিআইসি দিতে বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর প্রভাবশালীরাও তদবির করেন।
হাওর বাচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেনরায় বলেন, হাওরের ফসলরক্ষায় সরকার খুবই আন্তরিক। বরাদ্দ নিয়ে কার্পণ্য করেনা। কিন্তু বরাদ্দ বেশি থাকায় অনেক প্রভাবশালী গোষ্ঠীর চোখ পিআইসির দিকে। জেলা কমিটিতে থেকে কয়েকজন পিআইসির তদবির করেন। প্রতিটি উপজেলায় পেশাজীবী প্রভাবশালীদের পিআইসি উপহার দিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এভাবে পিআইসি বাণিজ্যে জড়িয়ে সরকারের বিশাল অর্জনকে ম্লান ও প্রশ্নবিদ্ধ করছে তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, পিআইসির জন্য বিভিন্ন পেশাজীবী গোষ্ঠীর নেতারা তদবির করেন। বাধ্য হয়ে উপজেলা কমিটি তাদের তদবিরকৃত লোকদের পিআইসি দিতে হয়। প্রতিটি উপজেলা থেকে আমরা এমন খবর পেয়েছি। তারা জনস্বার্থে বা কৃষকের স্বার্থে পিআইসির জন্য অনুরোধ করেননা। খোজ নিয়ে পরে জানা যায় আর্থিক সুবিধা নিয়ে তারা পিআইসির জন্য তদিবর করেন।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!