বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা ভূমি অফিসের পাশের
সরকারি জায়গা ড্রেজার মেশিনে ভরাট করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আবু তালেব এই জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে শাল্লা উপজেলা সদরের গুঙ্গিয়ারগাও মৌজায় ৪১ নং জেএলস্থ ১৯৬/৩৩৩ নং দাগে ০৬ শতক, ২৬৫/৩৩২ নং দাগে ৫৬ শতাংশ এবং ১৭৪ দাগে ৩১ শতাংশসহ ৯৩ শতাংশ ‘ডোবা শ্রেণি’র ‘অকৃষি জমি’ ‘কৃষি জমি’ দেখিয়ে ইজারা নিয়ে বিক্রি করে দিচ্ছে মাখন রায়ের পুত্র দীলিপ রায় ও তার স্ত্রী। গুঙ্গিয়ারগাও গ্রামের ফটিক দাসের পুত্র ফনিভূষণ সরকার, তার ভাই ফেনীভূষণ সরকারসহ একটি প্রভাবশালী চক্রের কাছে বিক্রি করে দিচ্ছে দিলীপ রায় ও তার স্ত্রী বিভা রানী রায়। ইতোমধ্যে তাদের অনেকেই ভরাট করে বাসা বাড়ি নির্মাণ করে নিয়েছে। সোমবার দুপুরে অবৈধ ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে ফেনীভূষণ সরকার, তার ভাগ্নি ঝর্না সরকার দিলীপ রায়ের কাছ থেকে কেনা সরকারি ভূমি ভরাট করছিল। এই খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. আবু তালেব ঘটনাস্থলে পৌছে ড্রেজার দিয়ে ডোবা শ্রেণির অকৃষি ভূমি ভরাট করার প্রমাণ পান। তিনি দ্রুত ড্রেজার বন্ধের নির্দেশ দিয়ে অবৈধভাবে ডোবা শ্রেণির অকৃষি জমি ভরাট করার অপরাধে ফেনী ভূষণ সরকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতে যাতে এই ভূমি কোনভাবে ভরাট করতে না পারে সেজন্য সতর্ক করে দেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু তালেব বলেন, উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন ডোবা শ্রেণির ভূমি ড্রেজার দিয়ে ভরাট করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আগামীতে যাতে এই অপচেষ্টা না করনে সেজন্য সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বন্দোবস্ত শর্ত ভঙ্গ করায় সরকার বন্দোবস্ত দেওয়া জমি বাতিলের চিন্তা ভাবনা করছে।