স্টাফ রিপোর্টার::
পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সুনামগঞ্জের তরুণ ব্যবাসায়ী জিয়াউল হকের অর্থায়নে নির্মিত সুনামগঞ্জ অটিস্টিক ও বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুলের নূরুল হক ভবন উদ্বোধন করে বলেছেন, জিয়াউল হক ও তার পরিবার যে কাজ করেছে তা সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য। আমি দোয়া করি তার এই কল্যাণমূলক কাজের জন্য। নিজের সম্পদ থেকে পিছিয়েপড়া বাচ্চাদের জন্য তিনি মহৎ একটি কাজ করেছেন। এখন আমাকে উদ্বোধনের জন্য ডাকায় আমি আনন্দিত। ভালো একটি কাজে শরিক হতে পেরে আমি খুশি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমাদের দায়িত্ব হবে সমাজের সকল শিশুদের প্রতি সমান আচরণ করা, সমান দায়িত্ব পালন করা। কোন শিশু যাতে না বুঝে তাকে অবহেলা করা হচ্ছে। এই মুহুর্তে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার জন্য সমানভাবে কাজ করছেন। সমাজের উন্নয়নে, শিক্ষার উন্নয়নে জিয়াউল হক ও তার পরিবারের মতো এমন কাজ আমাদের সবাইকে মিলে মিশে করতে হবে। এই মহৎ কাজটির উদ্বোধন করতে আমি আমি ঢাকা থেকে এসেছি। আমার আর কোন কাজ ছিলনা। আমার জন্য এটা সম্মানের ব্যাপার। তিনি বলেন, আমার কাজ এই পিছিয়ে পড়া এলাকার উন্নয়ন করা।
মন্ত্রী বলেন, বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী আমাদের সমাজে আছে। এটা সৃষ্টিকর্তার খেলা। কেন এমন হয় কারণ জানিনা। যাদের সন্তান এমন হয় তারা বুঝে এর ব্যথা কতো। আমি অনেক জায়গায় মায়েদের দেখি কাধে করে এমন শিশুদের বয়ে বেড়াচ্ছেন। মায়েরাই বেশি তাদের নিয়ে কষ্ট করেন। এই প্রতিষ্ঠানে যারা কাজ করছেন তারা এই শিশুদের নিয়ে কঠিন কাজটি করেছেন। আমাদের সরকারেরও দায়িত্ব তাদের পাশে দাড়ানো।
মন্ত্রী বলেন, আমাদেরকে বেশি বেশি এমন শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষা মানুষকে পাশবিক থেকে মানবিক করে। এই বিশাল দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতেই হয়। কিন্তু সকল রাষ্ট্রের সমান সম্পদ নেই। আমাদের বাংলাদেশের সম্পদ খুবই কম। তাই এসব কাজে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, আমাদেরকে আরো বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী স্কুল, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ও বিদ্যা শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিশুদের মা বাবার ব্যথা কমাতে হবে। সেই কাজ সরকার করছে। এসব কাজে আমাদের দায়িত্ব নিতে হবে। নূরুল হক সাহেবের সন্তান জিয়াউল হক যেটা করেছেন সেটা প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে থাকা শিশুদের বড়ো উপকারে আসবে।